কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: এবার আরও চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজ্যপালের এক্তিয়ার বুঝিয়ে দিল রাজ্য সরকার। রাজভবনের নয়া বিজ্ঞপ্তি বৈধ নয়, বলেই সাফ জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে রাজভবনে পাঠানো হল চিঠি ৷
সম্প্রতি রাজভবনের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান উপাচার্যই । আচার্যের পরে উপাচার্যের কথাই শুনতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের । সরকারের ওপর নির্ভর করতে হবে না। মানতে হবে না-সরকারি নির্দেশ। রাজভবনের ওই বিতর্কিত নির্দেশের পরেই ফের তুঙ্গে ওঠে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। সেই সংঘাতের মাঝেই রাজভবনকে চিঠি দিল রাজ্য সরকার। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে সরকারকে না-জানিয়ে এমন নির্দেশ রাজ্যপাল তথা আচার্য দিতে পারেন না।
ফলে এই নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলকে অমান্য করতে বলেছে রাজ্য সরকার। সরকারের এই নির্দেশ ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে। যদিও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতী উপাচার্যের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনও নির্দেশ আসেনি বলেই জানা গিয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, রাজ্যপালির ইদানিং কর্মকাণ্ড নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার আরও একবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। জেমস বন্ড থেকে বিদূষক সব কিছুই বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভার শ্রেষ্ঠ বিদূষক, শিক্ষাব্যবস্থাকে দেউলিয়া করছেন রাজ্যপাল: ব্রাত্য
শিক্ষামন্ত্রী এদিন বলেন, "আচার্যের এক্তিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট-অর্ডিন্যান্স দিয়ে সুনির্দিষ্ট। তিনি এই বিধির অভিভাবক। কিন্তু যেভাবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আইন সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করে একের পর এক উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন। আচার্য কীভাবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা না-বলে উপাচার্য নিয়োগ করতে পারেন ?" অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে বিধানসভায় বিল পাশ করায় রাজ্য সরকার। সম্প্রতি, আচার্য রাজ্যপাল বোস 16টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন। 3 জন উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশ দেন। যাকে বেআইনি বলে আখ্যা দেয় সরকারপক্ষ।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে পারে শাসক দল