কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: বাংলার শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষিত ব্যক্তি হবেন, এমনটাই আশা করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান ৷ আর তাই ব্রাত্য বসুকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শ, এমন কোনও মন্তব্য তাঁর করা উচিত নয়, যাতে বাংলার সভ্যতা ও সংস্কৃতির অপমান হয় ৷ গতকাল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ৷ বৈঠক যাওয়ায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ওই সকল উপাচার্যদের ‘গোলাম’ বলে কটাক্ষ করেন ৷
আজ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ব্রাত্য বসুর সেই মন্তব্যের সমালোচনায় বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের যিনি শিক্ষামন্ত্রী, তিনি পড়াশোন জানা ব্যক্তি হওয়া উচিত, হবেনও ৷ তাই তাঁর ওই পদে বসে এমন মন্তব্য করা সাজে না ৷ এটা বাংলার সভ্যতা ও সংস্কৃতির অপমান ৷ যদি আমার সঙ্গে কয়েকজন উপাচার্য দেখা করেন এবং আমি তাঁদের সঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতি এবং বাংলার শিক্ষানীতি নিয়ে কিছু আলোচনা করি, তাতে কোনও দ্বিচারিতা নেই ৷ এখানে একনায়কতন্ত্র চলছে না ৷’’
এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘সবার স্বাধীনতা রয়েছে কারও সঙ্গে দেখা করার ৷ কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করার ৷ এতে আপত্তির কী আছে ? এক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রী এমন ভাষার প্রয়োগ রাজ্যের অপমান ৷’’ পাশাপাশি, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্যের সঙ্গে সরকারের যে সংঘাত তৈরি হয়েছে, তারও সমালোচনা করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান ৷
আরও পড়ুন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এত ভয় পাচ্ছেন কেন, উনি কি বিচারক? কটাক্ষ ধর্মেন্দ্র প্রধানের
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, রাজ্যপালের নিজস্ব কিছু ভূমিকা এবং দায়িত্ব রয়েছে ৷ সেগুলি তিনি পালন করবেন ৷ আর তিনি নিজের পদাধিকার বলে কোনও পরামর্শ দিলে বা মতামত প্রকাশ করলে তা মান্যতা দেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান ৷ তবে, রাজ্যপালের মতামতকে খণ্ডন করতে রাজ্য সরকারের ভুল উপায় বেছে নেওয়া ঠিক নয় বলে মতপ্রকাশ করেছেন তিনি ৷ শেষবার রাজ্য সফরে এসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ৷ রাজ্য সরকারকে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশনের নির্দেশিকা পালন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ৷