ETV Bharat / state

পর্যালোচনা বৈঠকে দুই বর্ধমান নিয়ে ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

পূর্ব বর্ধমানে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ৷ তার থেকেও বেশি আক্রান্তের সংখ্যা পশ্চিম বর্ধমানে ৷ কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা কী? নবান্নে ছয় জেলার পর্যালোচনা বৈঠকে দুই জেলা প্রশাসনকে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর ৷

Mamata banerjee
Mamata banerjee
author img

By

Published : Aug 25, 2020, 3:43 PM IST

Updated : Aug 25, 2020, 4:51 PM IST

কলকাতা, 25 অগাস্ট : কোরোনা পরিস্থিতি ঠিক করে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না ৷ পূর্ব-পশ্চিম দুই বর্ধমানেই কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ৷ সেই সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানে রাজ্যে সরকারের একাধিক প্রকল্প পিছিয়ে ৷ কোথাও সড়ক তৈরি প্রকল্প, তো কোথাও সাধারণ মানুষের কাছে ঠিক মত পৌঁছাচ্ছে না সরকারি প্রকল্প ৷ এই রকম একাধিক অভিযোগ করে পর্যালোচনা বৈঠকে দুই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর ৷

গতকাল থেকে একাধিক জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ আজ তার দ্বিতীয় দিন ৷ প্রতিটি জেলা ধরে ধরে কোরোনা পরিস্থিতি, সুস্থতার হার, মৃত্যুর হার নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই সঙ্গে কোন জেলায় সামাজিক দূরত্ব পালন ভালো হচ্ছে, কোথায় হচ্ছে না, কেন হচ্ছে না?-- এই সব বিষয়গুলি জেলা প্রসাশনের আধিকারিক DM, BDO, SDO,SP-দের আলোচনা করেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে যে জেলাগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেখানকার আধিকারিকদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান । কোরোনা আক্রান্তের হারের দিক থেকে দ্বিতীয় দিনে শীর্ষস্থানে রয়েছে দুই বর্ধমান ৷ আর তা চোখ এড়াইনি মুখ্যমন্ত্রীর ৷

পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমানে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে তিনি বলেন, "পূর্ব বর্ধমানে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ৷ তার থেকেও বেশি আক্রান্তের সংখ্যা পশ্চিম বর্ধমান ৷" কেন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নিয়েও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে তিনি দুই বর্ধমানে সরকারি কাজ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন । একাধিক সরকারি প্রকল্প থমকে রয়েছে ৷ তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমানে কাজের প্রগ্রেস খুবই কম বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি ৷

এই সবের পাশাপাশি কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু নিয়েও রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য ও নির্দেশ দেন তিনি ৷ তিনি বলেন, রাজ্যে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার কমেছে ৷ কিন্তু যে সমস্ত ব্যক্তিদের শরীরে আগে থেকে বিভিন্ন জটিল রোগ রয়েছে যেমন হার্টের রোগ ইত্যাদি, সেক্ষেত্রে তাঁরা কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন ৷ যার ফলে এমন একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে যাঁদের বিভিন্ন জটিল রোগ থাকার কারণে কোরোনা ভাইরাসের সঙ্গে লাড়াইয়ে হার মেনেছেন ৷ এর ফলে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে ৷ সেই সঙ্গে রাজ্যে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাজ্য থেকে একাধিক মানুষ এ-রাজ্যে এসে কোরোনার চিকিৎসা করাচ্ছেন ৷ কিন্তু, যখন তাঁদের হাসপাতালের ভরতি করা হচ্ছে তখন তাঁদের স্থানীয় ঠিকানা নথিবদ্ধ করা হচ্ছে ৷ ফলে রাজ্যে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ এরপরই মুখ্য সচিবকে এবার থেকে কোরোনা চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের স্থায়ী ঠিকানা নথিভূক্ত করার নির্দেশ দেন ৷

কলকাতা, 25 অগাস্ট : কোরোনা পরিস্থিতি ঠিক করে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না ৷ পূর্ব-পশ্চিম দুই বর্ধমানেই কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ৷ সেই সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানে রাজ্যে সরকারের একাধিক প্রকল্প পিছিয়ে ৷ কোথাও সড়ক তৈরি প্রকল্প, তো কোথাও সাধারণ মানুষের কাছে ঠিক মত পৌঁছাচ্ছে না সরকারি প্রকল্প ৷ এই রকম একাধিক অভিযোগ করে পর্যালোচনা বৈঠকে দুই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর ৷

গতকাল থেকে একাধিক জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ আজ তার দ্বিতীয় দিন ৷ প্রতিটি জেলা ধরে ধরে কোরোনা পরিস্থিতি, সুস্থতার হার, মৃত্যুর হার নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই সঙ্গে কোন জেলায় সামাজিক দূরত্ব পালন ভালো হচ্ছে, কোথায় হচ্ছে না, কেন হচ্ছে না?-- এই সব বিষয়গুলি জেলা প্রসাশনের আধিকারিক DM, BDO, SDO,SP-দের আলোচনা করেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে যে জেলাগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেখানকার আধিকারিকদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান । কোরোনা আক্রান্তের হারের দিক থেকে দ্বিতীয় দিনে শীর্ষস্থানে রয়েছে দুই বর্ধমান ৷ আর তা চোখ এড়াইনি মুখ্যমন্ত্রীর ৷

পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমানে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে তিনি বলেন, "পূর্ব বর্ধমানে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ৷ তার থেকেও বেশি আক্রান্তের সংখ্যা পশ্চিম বর্ধমান ৷" কেন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নিয়েও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে তিনি দুই বর্ধমানে সরকারি কাজ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন । একাধিক সরকারি প্রকল্প থমকে রয়েছে ৷ তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমানে কাজের প্রগ্রেস খুবই কম বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি ৷

এই সবের পাশাপাশি কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু নিয়েও রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য ও নির্দেশ দেন তিনি ৷ তিনি বলেন, রাজ্যে কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার কমেছে ৷ কিন্তু যে সমস্ত ব্যক্তিদের শরীরে আগে থেকে বিভিন্ন জটিল রোগ রয়েছে যেমন হার্টের রোগ ইত্যাদি, সেক্ষেত্রে তাঁরা কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন ৷ যার ফলে এমন একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে যাঁদের বিভিন্ন জটিল রোগ থাকার কারণে কোরোনা ভাইরাসের সঙ্গে লাড়াইয়ে হার মেনেছেন ৷ এর ফলে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে ৷ সেই সঙ্গে রাজ্যে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাজ্য থেকে একাধিক মানুষ এ-রাজ্যে এসে কোরোনার চিকিৎসা করাচ্ছেন ৷ কিন্তু, যখন তাঁদের হাসপাতালের ভরতি করা হচ্ছে তখন তাঁদের স্থানীয় ঠিকানা নথিবদ্ধ করা হচ্ছে ৷ ফলে রাজ্যে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ এরপরই মুখ্য সচিবকে এবার থেকে কোরোনা চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের স্থায়ী ঠিকানা নথিভূক্ত করার নির্দেশ দেন ৷

Last Updated : Aug 25, 2020, 4:51 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.