কলকাতা, 11 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল যত স্পষ্ট হচ্ছে, ততই রাজ্যজুড়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ ৷ যদিও গণনার শুরু থেকেই রাজনৈতিক নেতাদের তরজায় সরগরম পশ্চিমবঙ্গ ৷ মঙ্গলবার সকালেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ বিজেপির প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদের গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে তৃণমূল বাধা দিচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ ৷ সেই টুইট রিটুইট করে করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷ তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের ট্রেন্ড আসতে শুরু হতেই হারের আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন বিরোধী দলনেতা ৷
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ: মঙ্গলবার সকালে টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেই টুইটে তিনটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি ৷ সেই ভিডিয়োতে গণনাকেন্দ্রের বাইরে গোলমালের ছবি তিনি তুলে ধরেছেন ৷ আর রয়েছে বিজেপি প্রার্থীদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত বক্তব্য ৷
সেই নিয়ে টুইটে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘‘গণনার দিনও ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ পুরোদমে চলছে ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা কাউন্টিং এজেন্ট ও প্রার্থীদের বাধা দিয়ে নির্বাচনে চুরি করার শেষ মরিয়া চেষ্টা করছে ৷ বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না । তাদের 1-2 কিলোমিটার দূর থেকে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে । কাউন্টিং এজেন্টদের ভয় দেখানোর জন্য বোমাবাজি করা হচ্ছে । তাদের নির্দয়ভাবে মারধর করা হচ্ছে, এমনকি অপহরণও করা হচ্ছে ।’’
আরও পড়ুন: গণনার দিনেও অব্যাহত অশান্তি, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা রুখতে কড়া কমিশন
বিরোধী দলনেতার দাবি, দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবারের ফকির চাঁদ কলেজ, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর কলেজ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, বীরভূম-সহ বিভিন্ন জেলার গণনাকেন্দ্রে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ তিনি কমিশন গণনা বন্ধ করে বিরোধী দলের প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদের গণনা কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করুক ৷
কুণাল ঘোষের দাবি:
শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগের জবাব টুইটারেই দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷ তিনি শুভেন্দুর টুইটটি রিটুইট করে লেখেন, ‘‘আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনও ঘোষণা হয়নি ৷ তার আগেই সকালেই ফলাফলের ইঙ্গিত বুঝে নিয়ে হারের ভয় পাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভিত্তীহন অভিযোগ করছেন ৷ তিনি ভুলে গিয়েছেন যে তাঁর প্ররোচনায় সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরে ভোটকেন্দ্রের বাইরে বোমাবাজি করে বিজেপি কর্মীরা ৷’’
তাঁর প্রশ্ন, কোচবিহারের দিনহাটার বিজেপি নেতা অজয় রায় কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় গতকাল রাতে জোর করে স্ট্রংরুমে প্রবেশ করেছিলেন, সেই সম্বন্ধে বিরোধী দলনেতা কেন নীরব ? তাঁর আরও দাবি, ভোট বানচালের সমস্তরকম চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর জনগণের দ্বারা প্রত্যাখাত হয়ে এখন অজুহাত তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি ৷
আরও পড়ুন: গণনার দিন ভাঙড়ে রাজ্যপাল, ভোট-হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে সিভি আনন্দ বোস