কলকাতা, 31 মার্চ: তিলজলা থেকে শিক্ষা নিল কলকাতা পুলিশ ৷ নাবালিকাকে অপহরণ করে যৌন হেনস্থা এবং শেষে খুনের ঘটনায় সম্প্রতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল তিলজলা এলাকা। এবার সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে একাধিক গাইডলাইনসের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং বিভিন্ন ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারদের নয়া নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল। এই নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বিভাগীয় ডিসি এবং কলকাতা পুলিশের মিসিং পার্সেন্ট স্কোয়াডকে আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে।
তিলজলা কাণ্ডে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে কলকাতা পুলিশকে ৷ যার জেরেই নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার ৷ এবার কলকাতা পুলিশের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোন থানা এলাকায় কতজন নাবালক এবং নাবালিকা এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে তার তালিকা তৈরি করতে হবে ৷ পাশাপাশি নিখোঁজ থাকা ওই নাবালক-নাবালিকাদের খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট থানার তদন্তকারী আধিকারিক কী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, তার লিখিত বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জের থেকে সরাসরি পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট ডিভিশনাল ডিসিদের। ডিসিদের তরফ থেকে সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর সরাসরি তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে লালবাজারে।
নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রতিদিন বিভিন্ন থানায় নাবালক-নাবালিকাদের রহস্যভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার এবং অপহরণের মত ঘটনা সামনে আসার পর তার একটি লিখিত বিবরণ বা তালিকা তৈরি করতে হবে। যা পাঠিয়ে দিতে হবে ডিভিশনাল ডিসি অফিসে। জানা গিয়েছে, তার এক কপি সকাল ছ'টার মধ্যে পাঠিয়ে দিতে হবে লালবাজার ক্রাইম কন্ট্রোল সেকশনে এবং অপর একটি কপি পাঠাতে হবে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ওসি ক্রাইম এবং ক্রাইম রেকর্ড সেকশনকে।
আরও পড়ুন: রামনবমীতে শিবপুর-ডালখোলা কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত, হাইকোর্টে শুভেন্দু
সম্প্রতি তিলজলায় এক নাবালিকার অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এলাকার বাসিন্দারা পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ সামনে এনে থানা চত্বরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। দফায় দফায় উত্তেজনা বেড়ে চলে এলাকায়। অভিযোগ, এই ঘটনার পর লালবাজারকে যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। এছাড়াও ওই নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কোনও এলাকায় নাবালিকা বা নাবালক নিখোঁজ থাকলে তার বিস্তারিত তথ্য ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নিতে হবে তদন্তকারী আধিকারিকদের এবং তার বিস্তারিত তথ্য প্রত্যেকটি ডিভিশন এবং বিভিন্ন জেলা পুলিশে পাঠিয়ে দিতে হবে। আর এই কাজ করতে হবে অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে এবং তাড়াতাড়ি।