ETV Bharat / state

কেন্দ্রীয় হারে DA পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা ? আগামীকাল রায়দান - government employee

আগামীকাল দুপুর 1 টায় DA মামলার রায় দেওয়া হবে SAT (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল)-এ ৷ 18 জুন DA মামলার শুনানি শেষ হয় ৷ কেন্দ্রের হারে DA পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা কি না তা নিয়ে চলছিল মামলা ৷ আগামীকালের রায়দানে তা পরিষ্কার হবে ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 25, 2019, 5:51 PM IST

Updated : Jul 25, 2019, 7:12 PM IST

কলকাতা, ২৫ জুলাই : DA মামলার রায় দিতে চলেছে SAT (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল) । আগামীকাল দুপুর 1 টায় মামলার রায় দেওয়া হবে ৷ 18 জুন DA মামলার শুনানি শেষ হয় SAT-এ । এরপর স্থগিত ছিল রায়দান ৷

DA রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনসংগত অধিকার বলে গতবছর 31 অগাস্ট রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । রায়ে দুটি বিষয় দু'মাসের মধ্যে ঠিক করতে বলা হয় SAT(স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল)-কে ৷ বিষয় দুটি ছিল - (1) রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-এর হার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সমহারে হবে কি না ? (2) রাজ্যেরই কিছু কর্মচারী আছে, যারা দিল্লির বঙ্গভবন এবং চেন্নাইয়ের ইউথ হস্টেলে নিযুক্ত । তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হারেই DA পান । রাজ্যে নিযুক্ত কর্মচারীরাও কি এদের মতোই পাবেন ? এই জায়গাতেই রাজ্যের তরফে আপত্তি ছিল । এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই SAT-এ মাসের পর মাস ধরে চলে DA মামলার শুনানি ।

গত বছর 15 অক্টোবর DA মামলার শুনানি শেষ হয় SAT-এ ৷ এরপর আবার রাজ্যের তরফে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে বিশেষ শুনানির আবেদন করা হয় হাইকোর্টে । এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও শেখর ববি শরাফের নেতৃত্বে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠিত হয়৷ কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ এবছর 8 মার্চ মামলায় রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেয় । এবং SAT-কেই আবার বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় । সেটারই শুনানি শেষ হয় 18 জুন ।

১২ জুন রাজ্য সরকার SAT-এ জানায়, রাজ্যের ফান্ড নেই তাই দিতে পারছে না DA । রাজ্যের তরফে আইনজীবী অপূর্বলাল বসু বলেন, "DA দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে DA দিতে পারছে না রাজ্য । কেন্দ্রীয় সরকারও অসহযোগিতা করছে । কারণ সেন্ট্রাল ফিনান্সিয়াল রেসপন্সিবিলিটি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল অনুয়ায়ী রাজ্য 3 শতাংশের বেশি ধার নিতে পারবে না । ফলে কেন্দ্রের থেকে রাজ্য ধার নিতে পারছে না । সেজন্য DA দেওয়ার সমস্যা হচ্ছে ।"

অন্যদিকে, কর্মচারীদের তরফে আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি ও ফিরদৌস শামিম বলেন, "এর সঙ্গে DA-র কোনও সম্পর্ক নেই । DA সম্পূর্ণভাবে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত । এইসব যুক্তি দেখিয়ে আসলে রাজ্য বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছে । শুনানিতে কর্মচারীদের তরফে আইনজীবীরা আরও বলেন, "রাজ্যের বহু কর্মচারী আছে যাদের পরিবার হয়তো রয়েছে জেলায় আর তাকে চাকরিসূত্রে থাকতে হচ্ছে ভিন্ন কোথাও৷ ফলে তাতেই রোজগারের অনেকটা চলে যায় । পাশাপাশি দিনের পর দিন মূল্যবৃদ্ধি হলেও রাজ্য সেই অনুপাতে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করেনি ।"

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে DA দেওয়ার ব্যাপারে 21 জুলাই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কেন্দ্রীয় হারে DA চাইলে কেন্দ্রে চলে চান ।" যদিও আগামীকালের রায় কর্মচারীদের পক্ষেই যাবে বলে মনে করছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ।

কলকাতা, ২৫ জুলাই : DA মামলার রায় দিতে চলেছে SAT (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল) । আগামীকাল দুপুর 1 টায় মামলার রায় দেওয়া হবে ৷ 18 জুন DA মামলার শুনানি শেষ হয় SAT-এ । এরপর স্থগিত ছিল রায়দান ৷

DA রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনসংগত অধিকার বলে গতবছর 31 অগাস্ট রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । রায়ে দুটি বিষয় দু'মাসের মধ্যে ঠিক করতে বলা হয় SAT(স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল)-কে ৷ বিষয় দুটি ছিল - (1) রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-এর হার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সমহারে হবে কি না ? (2) রাজ্যেরই কিছু কর্মচারী আছে, যারা দিল্লির বঙ্গভবন এবং চেন্নাইয়ের ইউথ হস্টেলে নিযুক্ত । তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হারেই DA পান । রাজ্যে নিযুক্ত কর্মচারীরাও কি এদের মতোই পাবেন ? এই জায়গাতেই রাজ্যের তরফে আপত্তি ছিল । এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই SAT-এ মাসের পর মাস ধরে চলে DA মামলার শুনানি ।

গত বছর 15 অক্টোবর DA মামলার শুনানি শেষ হয় SAT-এ ৷ এরপর আবার রাজ্যের তরফে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে বিশেষ শুনানির আবেদন করা হয় হাইকোর্টে । এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও শেখর ববি শরাফের নেতৃত্বে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠিত হয়৷ কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ এবছর 8 মার্চ মামলায় রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেয় । এবং SAT-কেই আবার বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় । সেটারই শুনানি শেষ হয় 18 জুন ।

১২ জুন রাজ্য সরকার SAT-এ জানায়, রাজ্যের ফান্ড নেই তাই দিতে পারছে না DA । রাজ্যের তরফে আইনজীবী অপূর্বলাল বসু বলেন, "DA দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে DA দিতে পারছে না রাজ্য । কেন্দ্রীয় সরকারও অসহযোগিতা করছে । কারণ সেন্ট্রাল ফিনান্সিয়াল রেসপন্সিবিলিটি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল অনুয়ায়ী রাজ্য 3 শতাংশের বেশি ধার নিতে পারবে না । ফলে কেন্দ্রের থেকে রাজ্য ধার নিতে পারছে না । সেজন্য DA দেওয়ার সমস্যা হচ্ছে ।"

অন্যদিকে, কর্মচারীদের তরফে আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি ও ফিরদৌস শামিম বলেন, "এর সঙ্গে DA-র কোনও সম্পর্ক নেই । DA সম্পূর্ণভাবে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত । এইসব যুক্তি দেখিয়ে আসলে রাজ্য বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছে । শুনানিতে কর্মচারীদের তরফে আইনজীবীরা আরও বলেন, "রাজ্যের বহু কর্মচারী আছে যাদের পরিবার হয়তো রয়েছে জেলায় আর তাকে চাকরিসূত্রে থাকতে হচ্ছে ভিন্ন কোথাও৷ ফলে তাতেই রোজগারের অনেকটা চলে যায় । পাশাপাশি দিনের পর দিন মূল্যবৃদ্ধি হলেও রাজ্য সেই অনুপাতে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করেনি ।"

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে DA দেওয়ার ব্যাপারে 21 জুলাই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কেন্দ্রীয় হারে DA চাইলে কেন্দ্রে চলে চান ।" যদিও আগামীকালের রায় কর্মচারীদের পক্ষেই যাবে বলে মনে করছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ।

Intro:আগামীকাল ডি এ মামলার রায় স্যাটে Body:
মানস নস্কর---

আগামীকাল ডি এ মামলার রায় স্যাটে


কলকাতা ২৫ জুলাইঃ
আগামীকাল বেলা ১ টার সময় ডিএ মামলার রায় দিতে চলেছে স্যাট(স্টেট এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল।
গত ১৮ জুন স্যাটে শেষ হয় ডিএ মামলার শুনানি। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিল স্যাট।

এর আগে ডি এ রাজ্যসরকারি কর্মচারীদের আইন সঙ্গত অধিকার বলে গত বছর ৩১অগাস্ট রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।এবং রায়ে দুটো বিষয় দুমাসের মধ্যে ঠিক করতে বলা হয় SAT(স্টেট এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালকে)কে
বিষয় দুটি হলঃ ১.রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ এর হার কেন্দ্র সরকারি কর্মচারী দের সমহারে হবে কিনা!
২.রাজ্যেরই কিছু কর্মচারী আছে যারা দিল্লীর বঙ্গভবন এবং চেন্নাই এর ইউথ হোস্টেলে নিযুক্ত। তারা কেন্দ্র সরকারি কর্মচারী দের হারেই ডিএ পান। রাজ্যে নিযুক্ত কর্মচারীরাওও কি এদের মতই পাবে! এই জায়গাতেই রাজ্যের তরফে মুল আপত্তি। এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই স্যাটে মাসের পর মাস ধরে চলে ডিএ মামলার শুনানি।


গত বছর ১৫ই অক্টোবর ডিএ মামলার শুনানি শেষ হয়ে যায় স্যাটে।কিন্ত এর পর আবার রাজ্যের তরফে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে বিশেষ শুনানির আবেদন করা হয় হাইকোর্টে।এই জন্য হাইকোর্ট বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও শেখর ববি শরাফের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করে।কিন্ত ডিভিশন বেঞ্চ চলতি বছরের ৮ মার্চ
ডিএ মামলায় রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন ও খারিজ করে দেয়।এবং স্যাটকেই আবার বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।সেটারই শুনানি শেষ হয় ১৮জুন।


১২ জুন রাজ্য সরকার স্যাটে জানায় রাজ্যের ফান্ড নেই তাই দিতে পারছে না ডিএ। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অপূর্ব লাল বসু জানান,"ডিএ দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে ডিএ দিতে পারছে না রাজ্য।কেন্দ্র সরকার ও অসহযোগীতা করছে।কারন সেন্ট্রাল ফিনান্সিয়াল রেসপন্সিবিলিটি এমেন্ডমেন্ট বিল অনুয়ায়ী রাজ্য ৩% বেশি ধার নিতে পারবে না।ফলে কেন্দ্রের থেকে রাজ্য ধার নিতে পারছে না। সেই জন্য ডিএ দেওয়ার সমস্যা হচ্ছে। "অন্যদিকে কর্মচারী দের তরফের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি ও ফিরদৌস শামিম বলেন," এর সাথে ডিএ এর কোন সম্পর্ক নেই। ডিএ সম্পুর্ণ মূল্যবৃদ্ধির সাথে যুক্ত। এই সব যুক্তি দেখিয়ে আসলে রাজ্য এড়িয়ে যেতে চাইছে। শুনানিতে কর্মচারীদের তরফে আইনজীবীরা আরো বলেন ," রাজ্যের বহু কর্মচারী আছে যাদের পরিবার হয়ত রয়েছে জেলায় আর তাকে চাকরি সুত্রে থাকতে হচ্ছে ভিন্ন কোথাও, ফলে রোজগারের অনেকটাই চলে যায়। পাশাপাশি দিনের পর দিন মুল্য বৃদ্ধি হলেও রাজ্য সেই অনুপাতে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করেনি।।" প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় হারে ডি এ দেওয়ার ব্যাপারে ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, "কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চাইলে কেন্দ্রে চলে চান।"যদিও আগামীকালকের রায় কর্মচারীদের পক্ষেই যাবে বলে মনে করছেন কর্মচারীদের তরফের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
Conclusion:
Last Updated : Jul 25, 2019, 7:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.