বিধাননগর, 3 অগস্ট: উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের আচার্য সদন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সল্টলেকে। চাকরির দাবিতে আচার্য সদনের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় ৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিধাননগর পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, প্রায় 14 হাজার 339 শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে নয় বছর যাবৎ তাঁরা চাকরি থেকে বঞ্চিত। অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে সল্টলেক আচার্য সদনের সামনে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয় ৷ সকাল আটটা আচার্য সদনের সামনে জমায়েত করে আন্দোলন শুরু করেন চাকরি প্রার্থীরা। হাতে প্ল্যাকার্ড, থালা হাতে বসে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: রোজ কেন দেরিতে চলছে ট্রেন ? যাত্রীদের বিক্ষোভ হাওড়ার রামরাজতলা স্টেশনে
বিক্ষোভের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পূর্ব বিধাননগর থানার পুলিশ। নামানো হয় র্যাপ। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। চ্যাংদোলা করে ভ্যানে তোলা হয় আন্দোলনকারীদের। উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার দাবি জানান ৷ অভিযোগ, গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের আটকে দেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিধাননগর পুলিশ বাহিনী । বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয় । রীতিমতো জোর করে টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ ।
মূলত, 2016 সালের চাকরিপ্রার্থীরা এই নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের বক্তব্য, 2014 সালে টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী 2015 সালে পরীক্ষায় বসেন এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর 2016 সালে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়। তাঁরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও পান। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, নিয়োগ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। প্রায় 14 হাজার 339 শূন্যপদ থাকলেও নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে নয় বছর যাবৎ তাঁরা চাকরি থেকে বঞ্চিত ৷
আরও পড়ুন: মণিপুরে হিংসার প্রতিবাদে নীরব বিক্ষোভ লন্ডনে