কলকাতা, 30 মার্চ: নির্বিঘ্নে মিটেছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের বিজোড় সেমেস্টারগুলির পরীক্ষা । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরবর্তী লক্ষ্য, দ্রুত ফল প্রকাশ করা । সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রতিটি পরীক্ষার দিন থেকে 21 দিনের মধ্যে নম্বর জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরীক্ষকদের । এমনই জানালেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় ।
8 মার্চ থেকে শুরু হয়ে 26 মার্চ পর্যন্ত স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের বিজোড় সেমেস্টারগুলির পরীক্ষা চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলিতে । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট 153 টি কলেজ রয়েছে । স্নাতকোত্তরের বিভাগ রয়েছে 68 টি । অনলাইন মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই সব পরীক্ষার্থীদের । সেই প্রশ্নপত্রে বাড়িতে বসেই পরীক্ষা দিয়ে উত্তরপত্র অনলাইন মাধ্যমে জমা করেন পরীক্ষার্থীরা । কোরোনা আবহে গত বছর অক্টোবর মাসে একই পদ্ধতিতে হয়েছিল চূড়ান্ত সেমেস্টারের পরীক্ষা । কিন্তু, সেই সময় একাধিক ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা গিয়েছিল । সময়ে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করতে না পারা তার মধ্যে অন্যতম ছিল । কিন্তু, এবার আর সেই সমস্যার সম্মুখীন হননি পরীক্ষার্থীরা । গোটা পরীক্ষাটাই নির্বিঘ্নে মিটেছে বলে দাবি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ইউজিসি-র গাইডলাইন মেনে 8 থেকে 26 মার্চ পর্যন্ত আমাদের পরীক্ষা হল । কোনও বিশ্ববিদ্যালয় পারেনি । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় করে ফেলল । যাবতীয় বিজোড় সিমেস্টারের পরীক্ষা, স্নাতকের ক্ষেত্রে প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম এবং স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে প্রথম ও তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা হয়েছে । পুরো পরীক্ষাটাই সুষ্ঠুভাবে হয়েছে ।"
আরও পড়ুন : দীর্ঘ আন্দোলনের পর প্রকাশিত জয়পুরিয়া ও ফকিরচাঁদ কলেজের ষষ্ঠ সেমেস্টারের বাকি ফলাফল
সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করার পিছনে সহ-উপাচার্য আশীষ চট্টোপাধ্যায় ও লাইব্রেরিয়ানের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন উপাচার্য । তিনি বলেন, "সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) খুবই সুষ্ঠুভাবে কাজটা করেছেন । লাইব্রেরিয়ান প্রশ্নপত্র ওয়েবসাইটে তোলার কাজটা খুব ভালোভাবে করেছেন । অনেক কলেজেরই ওয়েবসাইট ওতোটা উন্নত নয়। ফলে, তাঁরা আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত করে দেন । তাই পরীক্ষার সময় আমাদের ওয়েবসাইটের উপর বিশাল চাপ পড়ে । বিশেষত স্নাতকের ক্ষেত্রে, যেখানে আমাদের লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী থাকে । সেই সমস্যা দূর করতে আমাদের সিস্টেমটাকে উন্নত করা হয়েছে । রাত জেগে দু'জনেই খুবই দক্ষতা দেখিয়েছেন । এতো সুন্দরভাবে প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছেন, ঠিক 15 মিনিট আগে, কলেজগুলিকে গ্রুপে ভাগ করে । কোনও কলেজ থেকে ফোন করে অভিযোগ করা হয়নি । সত্যি ওনারা খুব ভালোভাবে কাজ করেছেন ।"
নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করার পরের লক্ষ্য সময়ে ফল প্রকাশ করা। তার জন্য প্রতিটি পরীক্ষা হওয়ার দিন থেকে 21 দিনের মধ্যে নম্বর জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরীক্ষকদের । সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পরীক্ষাটা শেষ হয়ে গেছে । এবার যেমন নম্বর জমা পড়বে সেভাবে আমরা রেজাল্ট বের করে দেব । আমরা বলেছি, যেদিন যেদিন পরীক্ষা হয়েছে সেই দিন থেকে 21 দিনের মধ্যে পরীক্ষকদের নম্বর জমা দিতে হবে । অর্থাৎ, যে পরীক্ষা 8 মার্চ হয়েছে তার নম্বর 8 মার্চ থেকে 21 দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে। সবাই ঠিক সময় মতো নম্বর জমা দিলে আমরা রেজাল্টও ঠিক সময়ে প্রকাশ করে দিতে পারব। নম্বর জমা করার পরে ফল প্রকাশের যে প্রক্রিয়া রয়েছে সেটা সম্পূর্ণ করতে একটু সময় লাগবে। 26 মার্চ পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া সময়মতো শেষ হলে ফল প্রকাশ মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে।"