ETV Bharat / state

CUTA on Chancellor: সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিই হোন আচার্য যিনি থাকবেন রাজনীতির ঊর্ধ্বে, দাবি কুটার - বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য

সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হওয়া উচিত, যিনি রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন ৷ সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই দাবি জানাল কুটা ৷

CUTA on Chancellors
CUTA on Chancellors
author img

By

Published : May 15, 2023, 8:28 PM IST

কুটার সাংবাদিক সম্মেলন

কলকাতা, 15 মে: সমাজের কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিকে করা হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, যিনি রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন । আজ এই দাবি তুলল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি । এই দাবির পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, দীর্ঘ সাত মাস ধরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন ভাবে চলছে । একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে রয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিরও অভাব দেখা যাচ্ছে । তাই অবিলম্বে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়েছে তারা ৷

আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি । সেখানেই কুটার সভানেত্রী অধ্যাপক মহালয়া চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি চলছে । যেটা একেবারেই কাম্য নয় । তাঁর দাবি, শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করতে হবে । বর্তমানে যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, তিনি এক অর্থে রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি । তাঁর মতে, একদিকে রয়েছে রাজ্য সরকার আর অন্যদিকে রাজ্যপাল । এর ফলে অধ্যাপকরা টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি ।

তিনি বলেন, "রাজ্যপাল তথা আচার্য ডক্টর সিভি আনন্দ বসু একদিন হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলেন এবং কিছু বাছা বাছা লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন । সেখানে গিয়ে জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে অনেক কথা বললেন তিনি । এটা তিনি সব বিশ্ববিদ্যালয়েই করছেন । তাহলে আচার্যও তো এক ধরনের রাজনীতি করছেন । আমরা অধ্যাপকরা সব সময় একটা সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশ চাই । এটা তো রাজনৈতিক কুস্তি করার জায়গা নয় ।"

গত বছর অক্টোবর মাস থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নেই । শুধু তাই নয়, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে একজন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যও নেই । দীর্ঘ বিলম্বের পর আচার্য অবশেষে উপাচার্য নিয়োগের জন্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করার আদেশে তাঁর সম্মতি দিয়েছেন । তাই এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে কুটা বলেছে যে, রাজ্যপাল ও সরকারের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ধন্ধ চলছে ।

কুটার সভানেত্রী অধ্যাপক মহালয়া চট্টোপাধ্যায় জানান যে, 2014 সালে পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন এবং শিক্ষা প্রদানের সব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়া হয়েছে । তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী পর্ষদ সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই । এই পর্ষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিসরের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা বন্ধ করে দিয়েছে ৷ এখন শুধুমাত্র বিশেষ বিশেষ পদাধিকারী সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছে এই পর্ষদ । ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের অবস্থাও তথৈবচ ।

মহালয়া চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, গত পাঁচ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি ৷ রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য তহবিল প্রদান করেনি । একাধিক পদ খালি রয়েছে । সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রস্তাবিত কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য পদ বৃদ্ধি করা না গেলেও শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ ও পরিকাঠামোর ব্যাপক বৃদ্ধি ও পুনর্গঠনের প্রয়োজন রয়েছে । শিক্ষক এবং শিক্ষক পদগুলোতে তাই দ্রুত নিয়োগ করতে হবে বলে তাঁর মত। দীর্ঘ সময় ধরে যে অধ্যাপদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে, সেটাও চালু করতে হবে বলে জানান তিনি ।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিলের সিদ্ধান্ত যথাসময়ে, বললেন রাজ্যপাল

কুটার সাংবাদিক সম্মেলন

কলকাতা, 15 মে: সমাজের কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিকে করা হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, যিনি রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন । আজ এই দাবি তুলল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি । এই দাবির পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, দীর্ঘ সাত মাস ধরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন ভাবে চলছে । একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে রয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিরও অভাব দেখা যাচ্ছে । তাই অবিলম্বে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়েছে তারা ৷

আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি । সেখানেই কুটার সভানেত্রী অধ্যাপক মহালয়া চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি চলছে । যেটা একেবারেই কাম্য নয় । তাঁর দাবি, শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করতে হবে । বর্তমানে যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, তিনি এক অর্থে রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি । তাঁর মতে, একদিকে রয়েছে রাজ্য সরকার আর অন্যদিকে রাজ্যপাল । এর ফলে অধ্যাপকরা টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি ।

তিনি বলেন, "রাজ্যপাল তথা আচার্য ডক্টর সিভি আনন্দ বসু একদিন হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলেন এবং কিছু বাছা বাছা লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন । সেখানে গিয়ে জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে অনেক কথা বললেন তিনি । এটা তিনি সব বিশ্ববিদ্যালয়েই করছেন । তাহলে আচার্যও তো এক ধরনের রাজনীতি করছেন । আমরা অধ্যাপকরা সব সময় একটা সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশ চাই । এটা তো রাজনৈতিক কুস্তি করার জায়গা নয় ।"

গত বছর অক্টোবর মাস থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নেই । শুধু তাই নয়, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে একজন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যও নেই । দীর্ঘ বিলম্বের পর আচার্য অবশেষে উপাচার্য নিয়োগের জন্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করার আদেশে তাঁর সম্মতি দিয়েছেন । তাই এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে কুটা বলেছে যে, রাজ্যপাল ও সরকারের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ধন্ধ চলছে ।

কুটার সভানেত্রী অধ্যাপক মহালয়া চট্টোপাধ্যায় জানান যে, 2014 সালে পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন এবং শিক্ষা প্রদানের সব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়া হয়েছে । তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী পর্ষদ সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই । এই পর্ষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিসরের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা বন্ধ করে দিয়েছে ৷ এখন শুধুমাত্র বিশেষ বিশেষ পদাধিকারী সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছে এই পর্ষদ । ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের অবস্থাও তথৈবচ ।

মহালয়া চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, গত পাঁচ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি ৷ রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য তহবিল প্রদান করেনি । একাধিক পদ খালি রয়েছে । সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রস্তাবিত কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য পদ বৃদ্ধি করা না গেলেও শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ ও পরিকাঠামোর ব্যাপক বৃদ্ধি ও পুনর্গঠনের প্রয়োজন রয়েছে । শিক্ষক এবং শিক্ষক পদগুলোতে তাই দ্রুত নিয়োগ করতে হবে বলে তাঁর মত। দীর্ঘ সময় ধরে যে অধ্যাপদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে, সেটাও চালু করতে হবে বলে জানান তিনি ।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিলের সিদ্ধান্ত যথাসময়ে, বললেন রাজ্যপাল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.