কলকাতা, 11 নভেম্বর : রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা । শুক্রবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে রাজারহাটের হিটকো ভবনে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি ।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা ও ডিজি মনোজ মালব্য । এই বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদেরও ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে । এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক-সহ নৌ সেনা ও বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তারাও ।
মূলত রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর । কাঁটাতার লাগানো থেকে শুরু করে সীমান্তে নিরাপত্তা, চেকপোস্ট বাড়ানো ও বিএসএফের নতুন ক্যাম্প তৈরির জন্য জমি নিয়ে মাঝেমধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে একটা সংঘাতের আবহ তৈরি হয় ৷ সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে যাতে রাজ্য এবং কেন্দ্র সীমান্তে একসঙ্গে কাজ করতে পারে সেই জন্যই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন : Salua Training Camp : দয়া করে গুলি চালানো বন্ধ করুন, জেলাশাসককে চিঠি সালুয়াবাসীর
সম্প্রতি বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল । নবান্নের তরফে জানা গিয়েছে, এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে সামনে পেয়ে রাজ্যের বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব ।
ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে তিনি বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে বলেছেন, "আমি সেনাকে সম্মান করি । কিন্তু এই সেনাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে । আগে সেনারা সীমান্তের 15 কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঘুরত ।এখন তারা 50 কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে গ্রেফতার ও তল্লাশি চালাচ্ছে । যেটা মূলত রাজ্য পুলিশের আওতাভুক্ত এলাকা । তাই রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফা এই সিদ্ধান্ত কখনোই সমর্থনযোগ্য নয় ।"
বিএসএফের এলাকা বিন্যাস নিয়ে এই বিতর্কের মাঝেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজির বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই প্রশাসনিক মহল সূত্রে খবর ৷
আরও পড়ুন : Coal Block : মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও দেউচা-পাচামির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান বিরোধীরা