ETV Bharat / state

যাদবপুরের পড়ুয়াদের অহিংস পথে আন্দোলনের বার্তা ওমর খালিদদের

author img

By

Published : Jan 13, 2020, 10:46 PM IST

তাঁরা জানান CAA, NRC, NPR-র বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে । আর তা অহিংসার মাধ্যমেই করতে হবে ।

image
ওমর খালিদ ও যোগেন্দ্র যাদব

কলকাতা , 13 জানুয়ারি : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে আন্দোলন । আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এর বিরোধিতায় সভার আয়োজন করা হয় । সেখানেই পড়ুয়াদের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন ওমর খালিদ ও যোগেন্দ্র যাদব । তাঁরা দুজনেই এই আন্দোলন অহিংস পথে করার পরামর্শ দিয়েছেন । পাশাপাশি এ সভায় উপস্থিত ছিলেন চিত্র পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ও ।

সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওমর খালিদ বলেন, "ওরা আমাদের আক্রমণ করতে এসেছিল, আমাদের ভাগ করতে এসেছিল । তার বদলে আমাদের সকলকে একত্রিত করে দিয়েছে । তার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ । দেশের যুবসমাজ NRC, NPR ও CAA চায় না । আমাদের শিক্ষা ও রোজগার চাই । দেশকে আবার ভাগ করার চেষ্টা করার হচ্ছে । NRC, NPR এবং CAA হল জিন্না, সাবারকরের টু নেশন থিয়োরি । আমাদের একসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে বলতে হবে, সাবারকার, গোয়ালকর মহম্মদ আলি জিন্নাকে আমরা 21 দশকে আবার জন্ম দিতে দেব না । গুজরাতে যে মডেল করে এসেছেন সেটাই দেশজুড়ে করতে চাইছেন মোদিজি । একটা মডেল দমন করার, গুন্ডামি করার , আতঙ্ক ছড়ানোর, আর একটা মডেল মিথ্যা কথা বলার । আমাদের খুব দুঃখ হয় যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন মিথ্যাবাদী । কালকেও তিনি পশ্চিমবঙ্গে এসে বলেছেন এখানে যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে । তার মানে হচ্ছে আমরা বাচ্চা । মিথ্যা কথা বলে উনি আমাদের মন ভোলানোর চেষ্টা করছেন । শুধুমাত্র তাঁরা ভাবতে পারেননি হিন্দুস্থানের জনগণ এক সুরে এইভাবে তাঁদের বিরোধিতা করবেন ।" পাশাপাশি অহিংস পথে আন্দোলন করার পরামর্শ দিয়ে বলেন " দেশে যে গ্রেডেড সিটিজেনশিপ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের সংঘবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে । আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা শিখেছি, সমান অধিকারের জন্য লড়াই করা শিখেছি । তার জন্যই আমাদের আজ লড়াই করতে হবে । আমরা এই লড়াই সংবিধানকে বাঁচানোর জন্য করছি । তাই এই লড়াই সংবিধানের গণ্ডির মধ্যে থেকেই লড়তে হবে । আমাদের অহিংস হওয়ার কোনো দরকার নেই । আমরা সত্যের সঙ্গে আছি । আমরা অহিংস এবং সত্যাগ্রহ পদ্ধতিতে এই লড়াইয়ে জিতব । "

NRC ও CAA-র চেষ্টা ভারতের জন্য ভালোই হয়েছে বলে মনে করছেন ওমর খালিদ । তিনি বলেন, "দেশে সাম্প্রদায়িকতা, জাতপাতের ভিত্তিতে যে একটা দেওয়াল উঠেগেছিল NRC ও CAA আসার পর একতা দেখা গেছে । এটা আমাদের কাছে সুবর্ণ সুযোগ যে, বিগত 20-30 বছর ধরে ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা করার যে নোংরা রাজনীতি হচ্ছিল সেই রাজনীতিকে আমরা পরাজিত করি এবং সেই রাজনীতিকে আমরা কড়া থাপ্পর মারি । "

পাশাপাশি অহিংস পথে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে যোগেন্দ্র যাদব বলেন, "ওমরের মতো আমিও বলব, শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উপায়ে বিরোধিতার মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যেতে পারব । 'এক হাথত মে তেরঙ্গা, দুসরে মে সংবিধান, মনমে অহিংসা, জনগণমন কা গান'। এটাই ফর্মুলা হতে হবে । আমি জানি, অহিংসা খুব জনপ্রিয় শব্দ হবে না । কিন্তু, আমাদের এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে এবং আমি নিশ্চিত আমরা এই লড়াইয়ে জয়ী হব ।

কলকাতা , 13 জানুয়ারি : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে আন্দোলন । আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এর বিরোধিতায় সভার আয়োজন করা হয় । সেখানেই পড়ুয়াদের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন ওমর খালিদ ও যোগেন্দ্র যাদব । তাঁরা দুজনেই এই আন্দোলন অহিংস পথে করার পরামর্শ দিয়েছেন । পাশাপাশি এ সভায় উপস্থিত ছিলেন চিত্র পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ও ।

সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওমর খালিদ বলেন, "ওরা আমাদের আক্রমণ করতে এসেছিল, আমাদের ভাগ করতে এসেছিল । তার বদলে আমাদের সকলকে একত্রিত করে দিয়েছে । তার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ । দেশের যুবসমাজ NRC, NPR ও CAA চায় না । আমাদের শিক্ষা ও রোজগার চাই । দেশকে আবার ভাগ করার চেষ্টা করার হচ্ছে । NRC, NPR এবং CAA হল জিন্না, সাবারকরের টু নেশন থিয়োরি । আমাদের একসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে বলতে হবে, সাবারকার, গোয়ালকর মহম্মদ আলি জিন্নাকে আমরা 21 দশকে আবার জন্ম দিতে দেব না । গুজরাতে যে মডেল করে এসেছেন সেটাই দেশজুড়ে করতে চাইছেন মোদিজি । একটা মডেল দমন করার, গুন্ডামি করার , আতঙ্ক ছড়ানোর, আর একটা মডেল মিথ্যা কথা বলার । আমাদের খুব দুঃখ হয় যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন মিথ্যাবাদী । কালকেও তিনি পশ্চিমবঙ্গে এসে বলেছেন এখানে যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে । তার মানে হচ্ছে আমরা বাচ্চা । মিথ্যা কথা বলে উনি আমাদের মন ভোলানোর চেষ্টা করছেন । শুধুমাত্র তাঁরা ভাবতে পারেননি হিন্দুস্থানের জনগণ এক সুরে এইভাবে তাঁদের বিরোধিতা করবেন ।" পাশাপাশি অহিংস পথে আন্দোলন করার পরামর্শ দিয়ে বলেন " দেশে যে গ্রেডেড সিটিজেনশিপ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের সংঘবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে । আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা শিখেছি, সমান অধিকারের জন্য লড়াই করা শিখেছি । তার জন্যই আমাদের আজ লড়াই করতে হবে । আমরা এই লড়াই সংবিধানকে বাঁচানোর জন্য করছি । তাই এই লড়াই সংবিধানের গণ্ডির মধ্যে থেকেই লড়তে হবে । আমাদের অহিংস হওয়ার কোনো দরকার নেই । আমরা সত্যের সঙ্গে আছি । আমরা অহিংস এবং সত্যাগ্রহ পদ্ধতিতে এই লড়াইয়ে জিতব । "

NRC ও CAA-র চেষ্টা ভারতের জন্য ভালোই হয়েছে বলে মনে করছেন ওমর খালিদ । তিনি বলেন, "দেশে সাম্প্রদায়িকতা, জাতপাতের ভিত্তিতে যে একটা দেওয়াল উঠেগেছিল NRC ও CAA আসার পর একতা দেখা গেছে । এটা আমাদের কাছে সুবর্ণ সুযোগ যে, বিগত 20-30 বছর ধরে ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা করার যে নোংরা রাজনীতি হচ্ছিল সেই রাজনীতিকে আমরা পরাজিত করি এবং সেই রাজনীতিকে আমরা কড়া থাপ্পর মারি । "

পাশাপাশি অহিংস পথে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে যোগেন্দ্র যাদব বলেন, "ওমরের মতো আমিও বলব, শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উপায়ে বিরোধিতার মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যেতে পারব । 'এক হাথত মে তেরঙ্গা, দুসরে মে সংবিধান, মনমে অহিংসা, জনগণমন কা গান'। এটাই ফর্মুলা হতে হবে । আমি জানি, অহিংসা খুব জনপ্রিয় শব্দ হবে না । কিন্তু, আমাদের এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে এবং আমি নিশ্চিত আমরা এই লড়াইয়ে জয়ী হব ।

Intro:কলকাতা, 13 জানুয়ারি: গোটা দেশজুড়ে আন্দোলনের চেহারা নিয়েছে CAA ও NRC-র বিরোধিতা। বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের আক্রমণ সেই আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন ওমর খালিদ ও যোগেন্দ্র যাদব। তাঁরা দুজনেই এই আন্দোলন সহিংস পথে করার পরামর্শ দিয়েছেন। দুজনেই তাঁদের বক্তব্যে সাম্প্রতিককালে গোটা দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে CAA, NRC, NPR-কে কেন্দ্র করে তার মোকাবিলা কীভাবে করা উচিত তা তুলে ধরেন। ওমর খালিদ, যোগেন্দ্র যাদবের সঙ্গে এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন ফিল্ম মেকার সুমন মুখোপাধ্যায়ও।


Body:এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে CAA, NRC, NPR-এর বিরোধিতায় এই সভা হয়। সেখানে বক্তব‍্য রাখতে গিয়ে ওমর খালিদ বলেন, "ওরা আমাদের আক্রমণ করতে এসেছিল, আমাদের ভাগ করতে এসেছিল। তার বদলে আমাদের সকলকে একত্রিত করে দিয়েছে। তার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন‍্যবাদ। সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসঙ্গে হয়ে গেছে সেই রকম বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমাজও একসঙ্গে হয়ে গেছে। এই দেশের যুবসমাজ, ছাত্র তাঁদের NRC, NPR এবং CAA চাই না। আমাদের শিক্ষা ও রোজগার চাই। দেশকে আবার ভাগ করার চেষ্টা করার চেষ্টা হচ্ছে। NRC, NPR এবং CAA হল জিন্না, সাবারকরের টু নেশন থিয়োরি। এই দেশভাগ নিয়ে আমাদের একসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে বলতে হবে, সাবারকার, গোয়ালকর মহম্মদ আলি জিন্নাকে আমরা 21 দশকে আবার জন্ম দিতে দেব না। পুরো দেশে
NRC, NPR এবং CAA-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনকে ভাঙার জন্য আলাদা আলাদা পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। গুজরাতে যে মডেল করে এসেছেন সেটাই দেশজুড়ে করতে চাইছেন মোদিজী। একটা মডেল দমন করার, গুণ্ডামি করে, আতঙ্ক ছড়িয়ে, আর একটা মডেল মিথ‍্যা কথা বলার। আমাদের খুব দুঃখ হয় যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন মিথ্যাবাদী। আমার মনে হয় উনার ঘুম আসে না যদি উনি আগের দিনের থেকে বড় কোনো মিথ্যা কথা পরের দিন না বলতে পারেন। কালকেও উনি বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে এসে, এখানে যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তার মানে হচ্ছে আমরা বাচ্চা। মিথ্যা কথা বলে উনি আমাদের মন ভোলানোর চেষ্টা করছেন। তবে, এই মিথ্যা কথা ওনারা বলতে বাধ‍্য হয়েছেন শুধুমাত্র ওনারা ভাবতে পারেননি হিন্দুস্থানের জনগণ এক সুরে এভাবে ওনাদের বিরোধিতা করবেন।"

এদিন NRC, NPR ও CAA সহ কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি সরকারের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে বিরোধিতা ফুটে ওঠে দু'জনেরই বক্তব‍্যে। যোগেন্দ্র যাদব বলেন, " কাল প্রধানমন্ত্রী এখানে এসেছিলেন। তিনি বলেন, মিথ্যে কথা রটানো হচ্ছে। আমি খুব খুশি হয়েছিলাম যে, আমার প্রধানমন্ত্রী সত্যিতে বিশ্বাস করেন। এটা ব্রেকিং নিউজ। স্বামী বিবেকানন্দ এই ভারতের জন্য লজ্জিত হতেন যে ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি CAA করে তৈরি করতে চাইছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোশাক দেখতে পান উনি। পোশাক বলতে হিজাব আর টুপি দেখতে পান। দুনিয়ার আর কিছু তো ওনার চোখে পড়ে না।" NRC, NPR ও CAA কীভাবে ভারতের নাগরিকদের বিপক্ষে কাজ করবে তারই কথা ফুটে ওঠে দুজনেরই বক্তব্যে র ছত্রে ছত্রে। উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর মিথ‍্যাচারের প্রসঙ্গ। উঠে আসে জামিয়া মিলিয়া, আলিগড়, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আক্রমণের প্রসঙ্গ ও তার পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার কথা। NRC, NPR ও CAA-র বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন সুমন মুখোপাধ্যায়ও।

তবে, আখেরে NRC ও CAA-র চেষ্টা ভারতের জন‍্য ভালোই হয়েছে বলে মনে করছেন ওমর খালিদ তিনি বলেন, "দেশে সাম্প্রদায়িকতা, জাতপাতের ভিত্তিতে যে একটা দেওয়াল উঠে গেছিল NRC ও CAA আসার পর যেভাবে আলাদা আলাদা সম্প্রদায়ের মধ্যে একতা দেখা গেছে, এটা আমাদের কাছে সুবর্ণ সুযোগ যে, বিগত 20-30 বছর ধরে ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা করার যে নোংরা রাজনীতি হচ্ছিল সেই রাজনীতিকে আমরা পরাজিত করি এবং সেই রাজনীতিকে আমরা কড়া থাপ্পর মারি।" যোগেন্দ্র যাদব বলেন, "একমাস হয়ে গেল বিক্ষোভ চলছে। 12 ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি CAA-তে স্বাক্ষর করেছিলেন। এই একমাস ধরে সারা দেশজুড়ে নজিরবিহীনভাবে প্রোটেস্ট চলছে। এই এক মাসে কী পরিবর্তন হয়েছে? যেটা প্রোটেস্ট হিসাবে শুরু হয়েছিল সেটা আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, যেটা শুধু প্রভাবিত কমিউনিটির বিরোধিতা হিসেবে শুরু হয়েছিল, সেটা এখন ইয়ং ইন্ডিয়ার বিরোধিতায় পরিণত হয়েছে। তৃতীয়ত, যেটা বিরোধিতা হিসেবে শুরু হয়েছিল সেটা কিছুর জন্য আন্দোলনে পরিণত হয়েছে, ভারতের হৃদয় বাঁচাবার আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী 1942 সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু করেছিলেন। আমার মতে বিগত এক মাস ধরে আমরা যে আন্দোলনের সাক্ষী রয়েছি সেটাকে একমাত্র 'ভারত জোড়ো' আন্দোলন বলা যায়।"

দেশের সাম্প্রদায়িক এই অবস্থায় সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে লড়াই করার প্রয়োজন রয়েছে তবে তা অহিংসভাবে, সহিংসভাবে নয়। ওমর খালিদ বলেন, "দেশে যে গ্রেডেড সিটিজেনশিপ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে আমাদের সংঘবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা শিখেছি, সমান অধিকারের জন্য লড়াই করা শিখেছি। তার জন্যই আমাদের আজ লড়াই করতে হবে। আমরা এই লড়াই সংবিধানকে বাঁচানোর জন্য করছি। তাই এই লড়াই সংবিধানের গণ্ডির মধ্যে থেকেই লড়তে হবে। অন্যদিক থেকে প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে, ওরা চেষ্টা করবে এই আন্দোলনকে ভায়োলেন্ট করে দেওয়ার। আমাদের ভায়োলেন্সের কোনো দরকার নেই। ভায়োলেন্সের দরকার তাঁদের হয় যারা মিথ্যার সঙ্গে আছে, আমরা সত্যির সঙ্গে আছি। আমরা অহিংস এবং সত্যাগ্রহ পদ্ধতিতে এই লড়াইয়ে জিতব। আমরা সবাই যদি একটি নীতিকে বয়কট করে দিই, প্যারালাইস করে দিই, সেই নীতি কখনো লাগু হবে না। এটাই আমাদের সবাইকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে।"

অহিংস পথে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে যোগেন্দ্র যাদব বলেন, "ওমরের মতো আমিও বলব, শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উপায়ে বিরোধিতার মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। 'এক হাথত মে তেরঙ্গা, দুসরে মে সংবিধান, মনমে অহিংসা, জনগণমন কা গান'। এটাই ফর্মুলা হতে হবে। আমি জানি, অহিংসা খুব জনপ্রিয় শব্দ হবে না। কিন্তু, আমাদের এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে এবং আমি নিশ্চিত আমরা এই লড়াইয়ে জয়ী হব।" যদিও শুধুমাত্র অহিংস পদ্ধতি অবলম্বন করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে প্রশ্ন তোলেন উপস্থিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক পড়ুয়ার প্রশ্নের ভিত্তিতে যোগেন্দ্র যাদব এদিন জানান, সব রাজনৈতিক দল জোট বাঁধলেও বিজেপির বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না। তিনি বলেন, "2024 সালের আগে, আজ নয়, 2024 সালের আগে, হয়তো পশ্চিমবঙ্গের জন্য 2021-এর আগে যে কোনো ধরনের বিরোধী জোট প্রয়োজনীয়। কিন্তু, সেটা যথেষ্ট নয়। 2029-এর লোকসভা নির্বাচন তার প্রমান। বিরোধী জোট যখন শাসক দলের বিরুদ্ধে রিসেন্টমেন্টের আবহাওয়ায় হয় কখন সেটা কাজ করে। ডিসক্রেডিটেড পার্টির বিরুদ্ধে বিরোধী জোট কখনো কাজ করে না।"



Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.