বিধাননগর, 30 ডিসেম্বর: স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা, চিঠি পাওয়া গেল আত্মঘাতী যুবকের। ঘটনা রাজারহাটের নারায়ণপুর থানার 100 গজের মধ্যে। শনিবার একটি বহুতল আবাসন থেকে উদ্ধার হয় দম্পতির দেহ ৷ ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় সন্তানকেও। আহত কিশোরী চিৎকার শুনেই আবাসনের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনার কথা জানতে পারেন ৷ পুলিশে খবর দেন তাঁরাই ৷ আহত কিশোরীকে চিনার পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর , আত্মঘাতী ব্যক্তির নাম সাগর মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি নিজে আত্মহত্যা করার আগে স্ত্রী রূপা ও তাঁর কন্যাকেও মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন ৷ স্ত্রী মারা গেলেও মেয়েটি বেঁচে যায় ৷ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও ৷ জানা গিয়েছে চিঠিতে উঠে এসেছে আর্থিক অনটনের কথা ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা ৷ সুইসাইড নোট ছাড়াও দড়ি এবং খুনের জন্য় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করেন তিনি ৷ আবাসনের অন্য়ান্য লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি পরীক্ষা করেন সিসিটিভি ফুটেজও ৷
গৌরব শর্মা বলেন, "প্রাথমিকভাবে আমরা যে প্রমাণ পেয়েছি তাতে আর্থিক অনটনের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ ঘটনাস্থল থেকে এই সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে ৷ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ ওনার মেয়ে জীবিত ৷ তাকেও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷" আগামীতে মেয়ের জবানবন্দি ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবেন তাঁরা এমনটাই জানান তিনি ৷
স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সাগর পেশায় ছিলেন ব্যবসায়ী ৷ তিনি ওষুধপত্রের ব্যবসা করতেন ৷ পুলিশ জানিয়েছে, বাজারে বেশ কিছু দেনা ছিল তাঁর ৷ এমনটাও জানানো হয়েছে সুইসাইড নোটে ৷ যদিও সবটাই প্রমাণ সাপেক্ষ ৷ পাড়ার সকলেই তাঁদের সুখী পরিবার হিসাবেই জানতেন ৷ প্রতিবেশীদের দাবিও সেরকমই ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্য়ায়ও ৷
আরও পড়ুন: