কলকাতা, 9 জুন: 8 জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পালা ৷ তবে সেখানেও ধরা পড়েছে অশান্তির ছবি ৷ শুক্রবার মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে শাসক শিবিরের আক্রমণের মুখে পড়ার অভিযোগ করেছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক ৷ যদিও তা অস্বীকার করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পরের দিন থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ধার্য করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মত বিভিন্ন জেলায় মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে প্রশাসনের প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক ঝামেলা দুই ছবি ফুটে উঠেছে একাধিক জেলায়। এদিন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা, লোকজন নিয়ে পঞ্চায়েতে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তাঁর পালটা দাবি, মিডিয়াকে মশলা দিতেই নিজের লোক দিয়ে ইট ছুরিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন কোনও বিরোধীদলের তরফে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, তাহলে কারা মনোনয়ন জমা দিতে গেলেন? এদিন বিধায়কের গাড়িতে হামলা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "যাঁরা ছবি তুলছেন, তাঁদের লোকই ইট ছুঁড়ে মেরেছে। আমরা শুনেছি সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস কোনও দলের তরফে এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। তাহলে কি করে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলেন তাঁদের কর্মীরা! কারা এরা? নির্দল?" এর পর মিডিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "আপনাদের একটা মশলা লাগে। তাই বিরোধীরা ছবি তুলে আপনাদের মশলা দিতে এগুলো করেছে। কোনও দলের তালিকাই বেরোয়নি ৷ তাহলে গণ্ডগোল কিসের!"
কংগ্রেস ও বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হওয়া নিয়েও এদিন তিনি কটাক্ষ করেন। জানান, এতদিন পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে না বলে প্রশ্ন তুলত। এখন বলছে, হাতে সময় দিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন কি আইন না মেনে, বুঝে ভোটের দিন ঘোষাণা করেছে ?
আরও পড়ুন: প্রতিটি মানুষ ভোট দিতে পারবে, আদালতে মুখ্যমন্ত্রীর এই হলফনামা চান অধীর
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষাণার পর থেকেই ডিএ আন্দোলনকারী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তাঁদের নিরাপত্তার না দিলে কোনও ভাবেই পঞ্চায়েত ভোট করাতে যাবেন না। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমার এখানে এত সরকারি কর্মী ৷ কেউ যাবেন না বলে দাবি করেননি এখনও। সবাই ভোটের কাজে যেতে প্রস্তুত। কিছু কর্মী এসব বলছে।"