ETV Bharat / state

তিন তালাক বিল মহিলাদের স্বার্থ কতখানি সুরক্ষিত করবে সন্দেহ আছে : মিরাতুন নাহার

তিন তালাক বিরোধী বিল মুসলিম মহিলাদের স্বার্থকে আদৌও সুরক্ষিত করবে কি ? প্রশ্ন সমাজকর্মী মিরাতুন নাহারের । তিনি মনে করেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে এই বিল পাশ করিয়েছে মোদি সরকার ।

মিরাতুন নাহার
author img

By

Published : Jul 26, 2019, 1:05 AM IST

কলকাতা, 26 জুলাই : তিন তালাক বিল মুসলিম মহিলাদের স্বার্থ কতখানি সুরক্ষিত করবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন সমাজকর্মী মিরাতুন নাহার । তাঁর দাবি, এই বিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে পাশ করানো হয়েছে। এই বিল ধ্বংসাত্মক ।

গতকাল লোকসভায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ হয় ৷ বিলটিতে তাৎক্ষণিক তিন তালাকের মতো ঘটনাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে ৷ এই বিল নিয়ে ETV ভারতকে মিরাতুন নাহার বলেন, "এদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্রতি কেন্দ্রের শাসকদলের কোনওরকম সদর্থক ভূমিকা আমরা পাইনি । ওঁরা যা তা বলেন, দেখতে পাই বা শুনতে পাই, তা হল এই ধর্মের মানুষ কোনও দেশের জন্য বিপদজনক । দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি কমসংখ্যক হলেও এদেশের একটা অংশের মুসলিম মহিলা তিন তালাকের মতো কুপ্রথার শিকার হন । আর শাসকদলের দাবি, মুসলিম বোনেদের জন্যে তিন তালাক বিল পাশ করা হচ্ছে । কিন্তু যে পদ্ধতিতে তারা এই তিন তালাক দূর করতে চাইছেন তার মধ্যে আমি যতদূর জানি, তিন তালাক যিনি দেবেন তাকে জেলে যেতে হবে । যতদূর জানি তিন বছর বা একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য জেলে যেতে হবে । কিন্তু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী যিনি তিন তালাক দেন, তাকে স্ত্রী সন্তানদের জন্য একটা খোরপোষও দিতে হয় । এখন প্রশ্ন হল, যে অপরাধী জেলে যাবেন তিনি কীভাবে এই খোরপোষ দেবেন? আমি যতদূর জানি খুব কম সংখ্যক পুরুষ তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেন । তবে কি মুসলমান পুরুষদের কারাগারে বন্দি করার জন্যই এই বিল পাশ করা হল? তালাকপ্রাপ্ত মহিলারা যদি খোরপোষ না পান তবে তাদের লাভটা কী হবে? উদ্দেশ্যটা যদি থাকে মুসলিম মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়া তাহলে সেই উদ্দেশ্য কিন্তু খুব স্পষ্ট হচ্ছে না । রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের যে মনোভাব তাতে হঠাৎ তারা মুসলিম মহিলাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার একটা আপাত রূপ আছে । কিন্তু প্রকৃত রূপ হল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন । আসল হল নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ক্ষতি করা । এবংসেই রূপটি ধ্বংসাত্মক ।"

এই সংক্রান্ত খবর : বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভায় পাশ তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল

গতকাল কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজু জনতা দল, ওয়াই এস আর কংগ্রেস সহ বিরোধীরা বিলটির বিরোধিতা করে । কিন্তু, ধ্বনি ভোটে পাশ হয় তিন তালাক বিরোধী বিল ৷ বিলের পক্ষে 302টি ভোট পড়ে ৷ বিপক্ষে পড়ে 78টি ৷ তবে, সরকারের আসল পরীক্ষা রাজ্যসভায় ৷ কারণ, প্রথম মোদি সরকারের আমলে লোকসভায় বিলটি পাশ হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যা না থাকায় রাজ্যসভায় আটকে গেছিল ৷

কলকাতা, 26 জুলাই : তিন তালাক বিল মুসলিম মহিলাদের স্বার্থ কতখানি সুরক্ষিত করবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন সমাজকর্মী মিরাতুন নাহার । তাঁর দাবি, এই বিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে পাশ করানো হয়েছে। এই বিল ধ্বংসাত্মক ।

গতকাল লোকসভায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ হয় ৷ বিলটিতে তাৎক্ষণিক তিন তালাকের মতো ঘটনাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে ৷ এই বিল নিয়ে ETV ভারতকে মিরাতুন নাহার বলেন, "এদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্রতি কেন্দ্রের শাসকদলের কোনওরকম সদর্থক ভূমিকা আমরা পাইনি । ওঁরা যা তা বলেন, দেখতে পাই বা শুনতে পাই, তা হল এই ধর্মের মানুষ কোনও দেশের জন্য বিপদজনক । দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি কমসংখ্যক হলেও এদেশের একটা অংশের মুসলিম মহিলা তিন তালাকের মতো কুপ্রথার শিকার হন । আর শাসকদলের দাবি, মুসলিম বোনেদের জন্যে তিন তালাক বিল পাশ করা হচ্ছে । কিন্তু যে পদ্ধতিতে তারা এই তিন তালাক দূর করতে চাইছেন তার মধ্যে আমি যতদূর জানি, তিন তালাক যিনি দেবেন তাকে জেলে যেতে হবে । যতদূর জানি তিন বছর বা একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য জেলে যেতে হবে । কিন্তু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী যিনি তিন তালাক দেন, তাকে স্ত্রী সন্তানদের জন্য একটা খোরপোষও দিতে হয় । এখন প্রশ্ন হল, যে অপরাধী জেলে যাবেন তিনি কীভাবে এই খোরপোষ দেবেন? আমি যতদূর জানি খুব কম সংখ্যক পুরুষ তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেন । তবে কি মুসলমান পুরুষদের কারাগারে বন্দি করার জন্যই এই বিল পাশ করা হল? তালাকপ্রাপ্ত মহিলারা যদি খোরপোষ না পান তবে তাদের লাভটা কী হবে? উদ্দেশ্যটা যদি থাকে মুসলিম মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়া তাহলে সেই উদ্দেশ্য কিন্তু খুব স্পষ্ট হচ্ছে না । রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের যে মনোভাব তাতে হঠাৎ তারা মুসলিম মহিলাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার একটা আপাত রূপ আছে । কিন্তু প্রকৃত রূপ হল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন । আসল হল নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ক্ষতি করা । এবংসেই রূপটি ধ্বংসাত্মক ।"

এই সংক্রান্ত খবর : বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভায় পাশ তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল

গতকাল কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজু জনতা দল, ওয়াই এস আর কংগ্রেস সহ বিরোধীরা বিলটির বিরোধিতা করে । কিন্তু, ধ্বনি ভোটে পাশ হয় তিন তালাক বিরোধী বিল ৷ বিলের পক্ষে 302টি ভোট পড়ে ৷ বিপক্ষে পড়ে 78টি ৷ তবে, সরকারের আসল পরীক্ষা রাজ্যসভায় ৷ কারণ, প্রথম মোদি সরকারের আমলে লোকসভায় বিলটি পাশ হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যা না থাকায় রাজ্যসভায় আটকে গেছিল ৷

Intro:কলকাতা, ২৫ জুলাই: তিন তালাক বিল কত খানি মুসলিম মহিলাদের স্বার্থ সুরক্ষিত করবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে সমাজকর্মীর অধ্যাপিকা ড: মীরাতুন নাহারের। তাঁর দাবি, এই বিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে পাস করানো হয়েছে। এই বিল ধ্বংসাত্বক।Body:তিন তালাক বিল পাসের খবর শুনে ইটিভি ভারতকে ড: মীরাতুন নাহার বলেন, “এ দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্রতি কেন্দ্রের শাসকদলের কোনও রকম সদর্থক ভূমিকা আমরা পাইনি। ওনারা যা তা বলেন, দেখতে পাই বা শুনতে পাই, তা হল এই ধর্মের মানুষ কোন দেশের জন্য বিপদজনক। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি কমসংখ্যক হলেও এদেশের একটা অংশের মুসলিম মহিলা তিন তালাকের মত কুপ্রথার শিকার হন। আর শাসক দলের দাবি, মুসলিম বোনেদের জন্যে তিন তালাক বিল পাস করা হচ্ছে। কিন্তু যে পদ্ধতিতে তারা এই তিন তালাক দূর করতে চাইছেন তার মধ্যে আমি যতদূর জানি, তিন তালাক যিনি দেবেন তাকে জেলে যেতে হবে। যতদূর জানি তিন বছর বা একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য জেলে যেতে হবে। কিন্তু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী যিনি তিন তালাক দেন, তাকে স্ত্রী সন্তানদের জন্য একটা খোরপোষ দিতে হয়। এখন প্রশ্ন হল, যে অপরাধী জেলে যাবেন তিনি কিভাবে এই খোরপোষ দেবেন? আমি যতদূর জানি খুব কম সংখ্যক পুরুষ তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেন। তবে কি মুসলমান পুরুষদের কারাগারে বন্দি করার জন্যই এই বিল পাস করা হলো? তালাকপ্রাপ্ত মহিলারা যদি খোরপোষ না পান তবে তাদের লাভটা কি হবে? উদ্দেশ্যটা যদি থাকে মুসলিম মহিলাদের সুরক্ষা দেবার তবে সেই উদ্দেশ্য কিন্তু খুব স্পষ্ট হচ্ছে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের যে মনোভাব তাতে হঠাৎ তারা মুসলিম মহিলাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার একটা আপাত রূপ আছে। কিন্তু প্রকৃত রূপ হল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন। আসল হল নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ক্ষতি করা। এবং সেই রূপটি ধ্বংসাত্বক।"Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.