ETV Bharat / state

কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ তৃণমূলের

author img

By

Published : May 6, 2020, 4:12 PM IST

রাজ্যে লকডাউন ও কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করল তৃণমূল । কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুললেন ডেরেক ও ব্রায়েন । কেন্দ্রকে সমালোচনা করতে দেখা গেল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে ।

তৃণমূল কংগ্রেস ভবন
তৃণমূল কংগ্রেস ভবন

কলকাতা, 6 মে : লকডাউন ও কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের নেতারা । প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্স তহবিল নিয়ে কার্যত কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুললেন ডেরেক ও ব্রায়েন । ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা ও কোরোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার ।

গত দু'দিনের মতো আজও কেন্দ্রীয় সরকার ও BJP-কে একযোগে আক্রমণ করল তৃণমূল । প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্স তহবিলে কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ডেরেক ও ব্রায়েন । তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্সের 151 কোটি টাকা কোথায় গেল ? এই তহবিল আসলে BJP-র তহবিল । কেলেঙ্কারির পর কেলেঙ্কারি করছে কেন্দ্রীয় সরকার ।" কোরোনা নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ মিথ্যে বলে জানান তিনি । বলেন, "সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । রাজ্য সরকার কোনও তথ্য গোপন করছে না ।"

ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ডেরেক বলেন, "ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয় । শ্রমিকরা নিজেরা ট্রেনের টিকিট কেটেছেন । ভিনরাজ্যে আটকে থাকা এক শ্রমিককে 715 টাকার টিকিট কাটতে হয়েছে । রেল কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিনা পয়সায় টিকিট দেওয়া একটা বদ অভ্যাস হয়ে যাবে । কেন্দ্র খুবই বাজে আচরণ করল শ্রমিকদের প্রতি । ছবি দেখিয়ে বলা হচ্ছে রেলওয়ে কম্পার্টমেন্টে আইসোলেশন ওয়ার্ড হবে ! আমরা বোকা নাকি । এভাবে আইসোলেশন সেন্টার হতে পারে কি কখনও । শ্রমিকদের টিকিটের 15 শতাংশ পরে দেবে বলেছে কেন্দ্র । এটা BJP-র ধাপ্পা । এবারে আপনারা যা বোঝার তা বুঝে নিন । 20,172 দিনে একটা প্রশ্নেরও উত্তর দেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।"

তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলেন, "লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দূরদর্শিতার অভাব ছিল । পরিকল্পনা যেটা প্রথমে করা উচিত ছিল সেটা তৃতীয় পর্যায়ে এসে করতে হচ্ছে এটাই দুঃখজনক এবং পরিতাপের বিষয় । নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে শ্রমিকদের । নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে তাদের ফেরত আনতে হবে ।" বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, "ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের অবহেলা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে অর্থ নেই । তাদের ট্রেনের ভাড়া দিতে বলা হচ্ছে । এদের কাছ থেকে টিকিটের পয়সা নেওয়া হয়েছে । খাদ্য নেই, জল নেই, শিশুদের সঙ্গে নিয়ে রোদের মধ্যে হেঁটেছে তারা । এদের কাছ থেকে ট্রেন ভাড়া নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । হেলিকপ্টার থেকে ফুল ছড়াতে 100 কোটি টাকা খরচ হয়েছে । চিকিৎসকরা PPE চাইছে । তারা মাথার উপরে ফুল চাইছে না ।"

রাজ্যে কোরোনার সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকেই দুষলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার । এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, "কেন একদম প্রথমেই আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ করা হল না । যদি প্রথমে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ করা হত তাহলে এত সংক্রমণ হত না । পশ্চিমবঙ্গে কি সংক্রমণ ছড়াতেই ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠানো হয়েছিল ? আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে চিকিৎসা হচ্ছে না‌ । আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে । কোরোনা নিয়ে বাংলার তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠছে তা ভিত্তিহীন ।"

অন‍্যদিকে, রাজ্যপালের প্রসঙ্গে ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, "উনি প্রাক্তন BJP সাংসদ । পশ্চিমবঙ্গের ভালো বাংলোতে থাকছেন । ভালো খাচ্ছেন । সুস্থ থাকুন । ভালো থাকুন ।"

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কোরোনা পরিস্থিতি যতদিন চলবে রাজ্যপালের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেব না । উনি রাজভবনে থাকুন আর গোটা পৃথিবী থেকে বিচ‍্যুত হয়ে থাকুন ।"

কলকাতা, 6 মে : লকডাউন ও কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের নেতারা । প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্স তহবিল নিয়ে কার্যত কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুললেন ডেরেক ও ব্রায়েন । ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা ও কোরোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার ।

গত দু'দিনের মতো আজও কেন্দ্রীয় সরকার ও BJP-কে একযোগে আক্রমণ করল তৃণমূল । প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্স তহবিলে কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ডেরেক ও ব্রায়েন । তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্সের 151 কোটি টাকা কোথায় গেল ? এই তহবিল আসলে BJP-র তহবিল । কেলেঙ্কারির পর কেলেঙ্কারি করছে কেন্দ্রীয় সরকার ।" কোরোনা নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ মিথ্যে বলে জানান তিনি । বলেন, "সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । রাজ্য সরকার কোনও তথ্য গোপন করছে না ।"

ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ডেরেক বলেন, "ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয় । শ্রমিকরা নিজেরা ট্রেনের টিকিট কেটেছেন । ভিনরাজ্যে আটকে থাকা এক শ্রমিককে 715 টাকার টিকিট কাটতে হয়েছে । রেল কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিনা পয়সায় টিকিট দেওয়া একটা বদ অভ্যাস হয়ে যাবে । কেন্দ্র খুবই বাজে আচরণ করল শ্রমিকদের প্রতি । ছবি দেখিয়ে বলা হচ্ছে রেলওয়ে কম্পার্টমেন্টে আইসোলেশন ওয়ার্ড হবে ! আমরা বোকা নাকি । এভাবে আইসোলেশন সেন্টার হতে পারে কি কখনও । শ্রমিকদের টিকিটের 15 শতাংশ পরে দেবে বলেছে কেন্দ্র । এটা BJP-র ধাপ্পা । এবারে আপনারা যা বোঝার তা বুঝে নিন । 20,172 দিনে একটা প্রশ্নেরও উত্তর দেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।"

তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলেন, "লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দূরদর্শিতার অভাব ছিল । পরিকল্পনা যেটা প্রথমে করা উচিত ছিল সেটা তৃতীয় পর্যায়ে এসে করতে হচ্ছে এটাই দুঃখজনক এবং পরিতাপের বিষয় । নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে শ্রমিকদের । নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে তাদের ফেরত আনতে হবে ।" বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, "ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের অবহেলা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে অর্থ নেই । তাদের ট্রেনের ভাড়া দিতে বলা হচ্ছে । এদের কাছ থেকে টিকিটের পয়সা নেওয়া হয়েছে । খাদ্য নেই, জল নেই, শিশুদের সঙ্গে নিয়ে রোদের মধ্যে হেঁটেছে তারা । এদের কাছ থেকে ট্রেন ভাড়া নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । হেলিকপ্টার থেকে ফুল ছড়াতে 100 কোটি টাকা খরচ হয়েছে । চিকিৎসকরা PPE চাইছে । তারা মাথার উপরে ফুল চাইছে না ।"

রাজ্যে কোরোনার সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকেই দুষলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার । এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, "কেন একদম প্রথমেই আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ করা হল না । যদি প্রথমে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ করা হত তাহলে এত সংক্রমণ হত না । পশ্চিমবঙ্গে কি সংক্রমণ ছড়াতেই ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠানো হয়েছিল ? আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে চিকিৎসা হচ্ছে না‌ । আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে । কোরোনা নিয়ে বাংলার তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠছে তা ভিত্তিহীন ।"

অন‍্যদিকে, রাজ্যপালের প্রসঙ্গে ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, "উনি প্রাক্তন BJP সাংসদ । পশ্চিমবঙ্গের ভালো বাংলোতে থাকছেন । ভালো খাচ্ছেন । সুস্থ থাকুন । ভালো থাকুন ।"

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কোরোনা পরিস্থিতি যতদিন চলবে রাজ্যপালের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেব না । উনি রাজভবনে থাকুন আর গোটা পৃথিবী থেকে বিচ‍্যুত হয়ে থাকুন ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.