কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দল ছাড়ার পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, এই তিনটি জেলাকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) । গত লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল এই তিন জেলায় বড় সাফল্য পেয়েছিল গেরুয়া শিবির । পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির (BJP) হাত থেকে কিছুটা জমি উদ্ধার করলেও এখনও অনেক কাজ বাকি বলে মনে করেন দলের নেতারা ।
ঘাসফুল শিবিরের বক্তব্য, এই সময় দলের হারানো জমি উদ্ধারে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । এই অবস্থায় দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে আগামিকাল, শনিবার কেশপুরে সভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক । পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম শুভেন্দু অধিকারীর গড় হিসাবে পরিচিত, সেখানেই নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে আসন ছিনিয়ে আনতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল । তাই এই সভার তাৎপর্য রয়েছে যথেষ্ট ৷
রাজ্যের শাসক দলের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, আগামিকালের এই সভাতে একটা বড় চমক অপেক্ষা করছে । কী সেই চমক ! কয়েকদিন আগেই এই জেলার এক বিধায়কের ছবি ঘিরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল । এরপর তা নিয়ে অবশ্য কম জলঘোলা হয়নি । এই অবস্থায় জেলা তৃণমূলের বলা এই চমক আসলে কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । তবে এ বিষয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এসেছে রাজ্যের শাসক দল ।
জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামিকাল কেশপুরের সমাবেশ পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম বড় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি হতে চলেছে । অতীতে কখনোই এত বড় সমাবেশ পশ্চিম মেদিনীপুরের মাটিতে দেখা যায়নি বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি । একই সঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সভায় যে চমকের কথা বলা হচ্ছে সেই চমক আসলে কী ! যদিও তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলতে চাননি এই বর্ষীয়ান নেতা ।
তথ্য বলছে, এই সভা যে জায়গায় হবে সেই আনন্দপুরকে সভাস্থল হিসাবে বেছে নেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । এই আনন্দপুর আসলে এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংগঠনিক জেলা ঘাটাল ও মেদিনীপুরের সীমান্ত এলাকা । গত লোকসভা ও বিধানসভার ফল দেখলে ঘাটালে বিজেপির প্রভাব বাড়লেও শাসক শিবির শক্তিশালী । অন্যদিকে মেদিনীপুরে বিজেপির সংগঠন অনেক বেশি শক্তিশালী ৷ সেই জায়গা থেকে এই সভা হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য পায়ের তলা থেকে হারিয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধারের লড়াই । এখন দেখার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সভা সেই লক্ষ্য পূরণে কতটা সফল হয় !
আরও পড়ুন: দাবি পূরণের আশা আছে বলেই ক্ষোভ দেখাচ্ছে মানুষ, মত অভিষেকের