ETV Bharat / state

SSKM-এর ট্রমা সেন্টারে হোক কোরোনায় আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসা, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি - অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস

28 মার্চ এবং 17 জুন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠকেও এই দাবি জানানো হয়েছিল । তবে, শুধুমাত্র এই দুই বৈঠক নয়, বিভিন্ন সময় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েও পৃথক এই হাসপাতাল চালুর দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন ।

SSKM-এর ট্রমা সেন্টার
SSKM-এর ট্রমা সেন্টার
author img

By

Published : Aug 9, 2020, 9:49 PM IST

কলকাতা, 9 অগাস্ট : SSKM হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারকে কোরোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হোক । কোরোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি কর্পোরেট হাসপাতালে ন‍্যূনতম 25 শতাংশ বেড সংরক্ষিত করা হোক । কর্পোরেট হাসপাতালে কোরোনার চিকিৎসার খরচের উপর রাখা হোক নজরদারি । মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এই একাধিক দাবি পেশ করল রাজ‍্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন ।

28 মার্চ এবং 17 জুন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠকেও এই দাবি জানানো হয়েছিল । তবে শুধুমাত্র এই দুই বৈঠক নয় । বিভিন্ন সময় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েও পৃথক এই হাসপাতাল চালুর দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন ।

সাধারণ মানুষের দিশেহারা অবস্থা । কোরোনার সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । কোরোনায় বহু সংখ্যক চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন । মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠকে আশ্বাস পাওয়া গেলেও কোরোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ডেডিকেটেড কোরোনা হাসপাতাল এখনও চালু করা হয়নি ।

সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কোরোনায় আক্রান্ত হলে কী করবেন, তা নিয়ে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ‍্যে আশঙ্কা-আতঙ্কও দেখা দিয়েছে । কোরোনা যোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোরোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে শামিল হয়েছেন ৷ অভিযোগ ICMR-এর গাইডলাইন থাকলেও নিয়মিত তাঁদের অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হচ্ছে না ।

উপসর্গহীন কোরোনা রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে । অথচ বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালে এই ঝুঁকি কমানোর জন্য কোনও বিশেষ ব‍্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না । আউটডোরগুলিতে ভিড় করছেন রোগী ও তাঁদের পরিজনরা । তাঁদের হাত স‍্যানিটাইজ়ড করিয়ে আউটডোর বা হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়ার বিষয়ে কোনও উদ‍্যোগ নেই । ইনডোরে ভরতি থাকা অন্য রোগীদের মধ‍্যেও বড় একটি অংশ উপসর্গহীন কোরোনায় আক্রান্ত । তাঁদের ক্ষেত্রে পরীক্ষা হলেই এই বিষয়টি ধরা পড়ছে । বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালেই ভরতির আগে কোরোনা পরীক্ষা হচ্ছে না । এর ফলে নন-COVID-19 রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি চিকিৎসককে অসুরক্ষিত অবস্থায়, ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে ।

এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, SSKM হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারকে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরিত করতে হবে । কারণ, এই ট্রমা কেয়ার সেন্টারে উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে ৷’’ এই দাবির বিষয়টি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে ফের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠন । তবে শুধুমাত্র কোরোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালুর দাবি নয় । অন্য আরও একাধিক দাবি ওই চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে । মানস গুমটা বলেন, ‘‘আমাদের অন্য দাবিগুলির মধ‍্যে রয়েছে, কোরোনার চিকিৎসার জন্য প্রতিটি কর্পোরেট হাসপাতালে ন্যূনতম 25 শতাংশ বেড সংরক্ষিত করে রাখতে হবে । বেসরকারি হাসপাতালে কোরোনার চিকিৎসার খরচের উপর নজরদারি রাখার জন্য প্রোটোকল মনিটরিং টিমকে দায়িত্ব দিতে হবে। ’’

তিনি বলেন, "ICMR-এর গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী, স্যানিটাইজ়েশন কর্মী, পুলিশকর্মী সহ কোরোনার বিরুদ্ধে জারি এই যুদ্ধের অন্যান্যদের জন্য নিয়মিত অ্যান্টিবডি টেস্ট চালু করতে হবে । কোরোনা রোগীদের পরিবহনের জন্য 102 নম্বর অ্যাম্বুলেন্সের ঘাটতি দূর করতে বিভিন্ন ক্লাব এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে থাকা অ্যাম্বুলেন্সগুলি প্রয়োজন অনুযায়ী অধিগ্রহণ করতে হবে ৷ কোরোনা হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনীয় এবং জীবনদায়ী সব ওষুধের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে হবে ৷’’

কলকাতা, 9 অগাস্ট : SSKM হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারকে কোরোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হোক । কোরোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি কর্পোরেট হাসপাতালে ন‍্যূনতম 25 শতাংশ বেড সংরক্ষিত করা হোক । কর্পোরেট হাসপাতালে কোরোনার চিকিৎসার খরচের উপর রাখা হোক নজরদারি । মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এই একাধিক দাবি পেশ করল রাজ‍্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন ।

28 মার্চ এবং 17 জুন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠকেও এই দাবি জানানো হয়েছিল । তবে শুধুমাত্র এই দুই বৈঠক নয় । বিভিন্ন সময় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েও পৃথক এই হাসপাতাল চালুর দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন ।

সাধারণ মানুষের দিশেহারা অবস্থা । কোরোনার সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । কোরোনায় বহু সংখ্যক চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন । মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠকে আশ্বাস পাওয়া গেলেও কোরোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ডেডিকেটেড কোরোনা হাসপাতাল এখনও চালু করা হয়নি ।

সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কোরোনায় আক্রান্ত হলে কী করবেন, তা নিয়ে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ‍্যে আশঙ্কা-আতঙ্কও দেখা দিয়েছে । কোরোনা যোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোরোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে শামিল হয়েছেন ৷ অভিযোগ ICMR-এর গাইডলাইন থাকলেও নিয়মিত তাঁদের অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হচ্ছে না ।

উপসর্গহীন কোরোনা রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে । অথচ বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালে এই ঝুঁকি কমানোর জন্য কোনও বিশেষ ব‍্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না । আউটডোরগুলিতে ভিড় করছেন রোগী ও তাঁদের পরিজনরা । তাঁদের হাত স‍্যানিটাইজ়ড করিয়ে আউটডোর বা হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়ার বিষয়ে কোনও উদ‍্যোগ নেই । ইনডোরে ভরতি থাকা অন্য রোগীদের মধ‍্যেও বড় একটি অংশ উপসর্গহীন কোরোনায় আক্রান্ত । তাঁদের ক্ষেত্রে পরীক্ষা হলেই এই বিষয়টি ধরা পড়ছে । বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালেই ভরতির আগে কোরোনা পরীক্ষা হচ্ছে না । এর ফলে নন-COVID-19 রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি চিকিৎসককে অসুরক্ষিত অবস্থায়, ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে ।

এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, SSKM হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারকে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরিত করতে হবে । কারণ, এই ট্রমা কেয়ার সেন্টারে উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে ৷’’ এই দাবির বিষয়টি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে ফের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে সরকারি চিকিৎসকদের এই সংগঠন । তবে শুধুমাত্র কোরোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালুর দাবি নয় । অন্য আরও একাধিক দাবি ওই চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে । মানস গুমটা বলেন, ‘‘আমাদের অন্য দাবিগুলির মধ‍্যে রয়েছে, কোরোনার চিকিৎসার জন্য প্রতিটি কর্পোরেট হাসপাতালে ন্যূনতম 25 শতাংশ বেড সংরক্ষিত করে রাখতে হবে । বেসরকারি হাসপাতালে কোরোনার চিকিৎসার খরচের উপর নজরদারি রাখার জন্য প্রোটোকল মনিটরিং টিমকে দায়িত্ব দিতে হবে। ’’

তিনি বলেন, "ICMR-এর গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী, স্যানিটাইজ়েশন কর্মী, পুলিশকর্মী সহ কোরোনার বিরুদ্ধে জারি এই যুদ্ধের অন্যান্যদের জন্য নিয়মিত অ্যান্টিবডি টেস্ট চালু করতে হবে । কোরোনা রোগীদের পরিবহনের জন্য 102 নম্বর অ্যাম্বুলেন্সের ঘাটতি দূর করতে বিভিন্ন ক্লাব এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে থাকা অ্যাম্বুলেন্সগুলি প্রয়োজন অনুযায়ী অধিগ্রহণ করতে হবে ৷ কোরোনা হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনীয় এবং জীবনদায়ী সব ওষুধের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে হবে ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.