কলকাতা, 30 অগস্ট: কথা ছিল দুর্গাপুজোর আগেই খিদিরপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত আবার দৌরবে ট্রাম । অন্তত তেমনটাই কথা দিয়েছিলেন আগের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তবে এই বিষয়টি এখনও ভাবনা চিন্তার স্তরেই রয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর । স্বাভাবিকভাবেই রুটটি পুনরায় চালু করার সদিচ্ছা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।
আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি ট্রাম রুট আবার চালু করা হবে বলে জানিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর (Transport Department) । আগের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, দুর্গা পুজোর আগেই চালু করা হবে খিদিরপুর-এসপ্ল্যানেড এবং বিধাননগর-রাজাবাজার ট্রাম রুট ।
2020 সালের আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শহরের প্রায় সবকটি রুটের তারগুলি । সেগুলি আবার মেরামত করে ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে দুটি রুট গড়িয়াহাট-এসপ্ল্যানেড ও টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ । 36 নম্বরের মতো ঐতিহ্যশালী ও অতি জনপ্রিয় ট্রাম রুটটি চালু করার বিষয় বর্তমান পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Transport minister Snehasish Chakraborty) বলেন, "এটা আমি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে দেখি কি করা যায় ।"
ট্রাম গবেষক ডক্টর দেবাশিস ভট্টাচার্য্য বলেন, "পরিবহণ দফতরের থেকে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে পুজোর আগেই এই দুটি রুট চালু করা হবে । তবে বর্তমান মন্ত্রী জানিয়েছেন যে বিষয়টি দেখা হচ্ছে । তাহলে কি আগের মন্ত্রীর কথার কোনও দাম নেই ? তবে তো দফতরের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এবার । আসলে ট্রাম রুটগুলিকে পুনরায় মেরামত করে ট্রাম চালাবার সদিচ্ছা রাজ্য পরিবহণ দফতরের নেই ।"
আরও পড়ুন: নোনাপুকুর ওয়ার্কশপে রসগোল্লা হাব, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শহরের ট্রামপ্রেমীরা
তিনি আরও বলেন, "পুজোর বাকি এখনও একমাস । আর এই রুট দুটি চাইলে 10 দিনের মধ্যেই চালু করা যায় । ঝড়ের অনেক আগেই একাধিক রুটে ট্রামের তার খুলে নেওয়া হয়েছিল । সেগুলি যদি চুরি না গিয়ে থাকে তবে সেই তারকে পুনরায় ব্যবহার করা যায় । ঠিক একইভাবে ট্রাম ট্রাকের যেখানে ঘাস গজিয়ে গেছে সেখান থেকে ঘাস তুলে পরিষ্কার করে নেওয়া যায় । যে অংশের উপর পিচ ঢালা হয়েছে সেইসব অংশ থেকে পিচ সরিয়ে নেওয়া যায় । আর এই সব কাজ করার জন্য ট্রাম কোম্পানির নিজস্ব দক্ষ কর্মীরাও রয়েছেন ।"