কলকাতা, 4 ডিসেম্বর: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যা অবস্থান করছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি তামিলনাড়ুর উত্তর উপকূল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছবে। আর আগামিকাল ঘূর্ণিঝড় 'মিগজাউম' অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ উপকূলে আছড়ে পড়বে বলেই মৌসম ভবন সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ৷ তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি থাকতে বলেছেন ৷ পশ্চিমবঙ্গের ওপর এই ঘূর্ণিঝড়ের বিশেষ কিছু প্রভাব পড়বে না। তবে আগামিকাল অর্থাৎ 5 ডিসেম্বর থেকে 7 তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী 4 থেকে 5 দিন তাপমাত্রারও উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন নেই। কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগামী 2 থেকে 3 দিন আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে বলে জানিয়েছেন, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহাওয়াবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিসেম্বরের শুরুতে শীতের প্রস্তুতির চিহ্নমাত্র নেই বরং শীতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে। এর কারণ অবশ্যই সাগরে ঘূর্ণিঝড়। মেঘলা দিন এবং ভ্যাপসা রাত বেলাশেষে হেমন্তের তাল কাটছে। এই তাল কাটা যত দ্রুত দূর হবে শীতের আগমন ততই মসৃণ হবে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় শীত পড়তে শুরু করবে। অর্থাৎ পৌষ মাসের শুরুতেই শীতের অনুভূতি মিলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে হাওয়া অফিসের তরফে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তুরে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতি আগামী 8 ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। 9 ডিসেম্বর শনিবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষদিকে কলকাতা এবং তৎপার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 17 ডিগ্রির নীচে নামতে পারে বলে মনে করছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
রবিবার কলকাতা এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 28.9 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 1 ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 21.6 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 5 ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল 87 শতাংশ। আজ সপ্তাহের প্রথম দিন আকাশ মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 28 ডিগ্রি এবং 22 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: