কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর : বেআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করলেন কলকাতা পৌরনিগমের কমিশনার বিনোদ কুমার । এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা অথবা বৈধতা দেওয়া নিয়ে বিল্ডিং বিভাগের অফিসার ও কিছু ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে অতি সক্রিয়তা রয়েছে । বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ এলে কিছু পৌর আধিকারিক অতি সক্রিয় হয়ে ওঠেন । বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের আধিকারিক ও কর্মীরা অনেক সময় পরিকল্পনা করে বেআইনি বাড়ি নির্মাণ ভাঙা বা বৈধতা দেওয়া নিয়ে যোগসাজশ করে থাকেন । অনেক ক্ষেত্রে অবৈধ টাকা লেনদেনের ঘটনাও ঘটে । এই ধরনের অনৈতিক আর্থিক লেনদেনকে বন্ধ করতেই কড়া নির্দেশ দিলেন পৌর কমিশনার ।
এই নির্দেশিকা বলা হয়েছে, বাড়ি ভাঙার আগে অথবা বেআইনি অংশ বৈধতা দিতে হলে আগে প্রশাসক মণ্ডলীর অনুমতি নিতে হবে । পৌর আইনে কোন ধারায় কী কী অভিযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে । অভিযোগ প্রমাণিত হলে তবেই ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসক মণ্ডলীর অনুমতি নিয়ে । এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কোরোনার সংক্রমণের জন্য যদি অভিযুক্ত পৌরনিগমে আসতে না পারেন তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে অভিযুক্তকে শুনানি নিতে হবে ।
আগে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করতে গেলে মেয়রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। পরবর্তী সময়ে ফিরহাদ হাকিম দায়িত্ব নেওয়ার পরে সেই প্রথা বন্ধ হয়ে যায় । প্রশাসনিক ও বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের হাতেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয় । অনেক ক্ষেত্রেই পৌরনিগমের কাছে অভিযোগ আসছে বাড়ি ভাঙার কারণ নোটিশে স্পষ্ট ব্যাখ্যা না করেই বাড়ি ভাঙা হচ্ছে । এমনকী অর্থের বিনিময় বেআইনি নির্মাণে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে । এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনও অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হলে সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে হবে আধিকারিকদের । কোন অংশ অবৈধ রয়েছে, কেন সে অংশটি অবৈধ, যাবতীয় তথ্য দিয়ে তবেই নিতে হবে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার অনুমতি ।
সেই সঙ্গেই এ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে অবৈধ নির্মাণের কোন অংশটা রাখা যাবে এবং কোন অংশটা ভাঙা হবে তা স্পষ্ট জানাতে হবে । বাড়ির মালিককে লিখিতভাবে যাবতীয় তথ্য দেবে পৌরনিগম । পৌর আইনের কোন বিধি অগ্রাহ্য করে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে সেটি উল্লেখ করতে হবে পৌর আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের । এবার থেকে বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের অফিসার, ইঞ্জিনিয়াররা নিজেদের সিদ্ধান্তে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে পারবেন না ।