কলকাতা, 23 অক্টোবর: নবমী মানেই বাতাস ভারী করা বিষাদের সুর ৷ চার দিনের আনন্দ স্মৃতি সারা বছর সঙ্গে নিয়ে কাটানো, সেই সঙ্গে আরও একটা বছরের অপেক্ষা ৷ তাই নবমী মানেই প্রতিমা দর্শনের আরও তাড়াহুড়ো ৷ দর্শকদের এই উৎসাহে জল ঢালল মুষলধারে বৃষ্টি ৷ নবমীর সকাল থেকেই শুরু বৃষ্টি। আর এই পুজোর সময় বৃষ্টি হওয়ার ফলে একদিকে সন্ধ্যায় যেমন দর্শনার্থীদের ঢল বাড়বে ঠিক সেইভাবে শহরের বেশ কিছু নীচু এলাকায় যে জল জমে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ জল জমা মানেই শহরে ট্রাফিকের গতি স্লথ ৷ তাই রাতে যে ট্র্যাফিক হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷
রাতে কীভাবে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট করবে সেই নিয়ে লালবাজারে বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে । এই বৈঠকে আছেন, কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল-সহ কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । স্বেচ্ছাসেবকদেরও ট্রাফিক সার্জেন্টদের সাহায্য করার কাজে লাগানোর জন্য বলা হয়েছে এই বৈঠকে । ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে রাস্তায় নামতে পারেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । পরিস্থিতি জটিল হলে নগলপাল বিনীত গোয়েল নিজেই ট্রাফিক কন্ট্রোলে নামতে পারেন । এক আধিকারিকের কথার রেশ টেনেই আরও এক আধিকারিক জানান, দক্ষিণে ত্রিধারা, দেশপ্রিয় পার্ক, চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সঙ্ঘকে ভিড়ে টেক্কা দিয়েছিল উত্তরের আহিরীটোলা, সন্তোষ মিত্র পার্ক, টালা প্রত্যয় । তার প্রভাব পড়েছিল রাস্তাতেও । প্রায় সারাদিনই পুলিশ কর্মীরা রাস্তায় ডিউটি করেছেন ।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়, রাজ্যে কী প্রভাব?
লালবাজার সূত্রের খবর, অষ্টমীর দিন রাত 11টার পর থেকে আচমটাই দক্ষিণে রুবি থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত রাস্তায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছিল । অন্য দিনের তুলনায় দ্বিগুণ সময় আটকে থাকতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে । নবমীতে যেহেতু রাতের আলোয় মণ্ডপে ঘোরা এবং আলোর সাজ দেখার শেষ দিন। ফলে লালবাজারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা মনে করছেন যে নবমীর রাতের শহরে আবার একই রকম ভিড় হতে পারে । আর এই ভিড়ের মধ্যে রাস্তায় জল জমে থাকলে দেখা যাবে তীব্র যানজট । কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এবং স্বয়ং কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল নবমীর রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ।