কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর : যোগ্যতা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত । জঙ্গিবিরোধী অভিযান হোক কিংবা হাওয়ালা কেলেঙ্কারি, ইতিমধ্যেই সাফল্য দেখিয়েছে কলকাতা পুলিশের STF । কিন্তু, তারপরও এরাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয়েছে জঙ্গি মডিউল । তাই জঙ্গিদের এই বাড়বাড়ন্ত রুখতে এবার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার । তৈরি হচ্ছে STF ওয়েস্টবেঙ্গল । যা চলবে একটি পৃথক ডাইরেক্টরেটের অধীনে । CID-র পাশাপাশি কাজ করবে এই নতুন ডাইরেক্টরেট । নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে । দ্রুত বাস্তবায়নের পথে পরিকল্পনা ।
সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের ইউনিটটি অবশ্য থেকেই যাচ্ছে । শুধু নাম পালটে যাবে । মাদক, জঙ্গিদমনের যে কাজ ওই ইউনিট করে থাকে তাই করবে । তবে স্পেশাল টাস্কফোর্স কাজ করবে আরও বড় আকারে । STF ওয়েস্ট বেঙ্গলের হেড কোয়ার্টার হতে চলেছে রিপন স্ট্রিটে । এই ডাইরেক্টরেটের দায়িত্বে থাকবেন IG পদমর্যাদার একজন অফিসার । তিনিই হবেন STF ওয়েস্ট বেঙ্গলের ডিরেক্টর । অতিথি হিসেবে থাকবেন দু'জন DIG এবং দু'জন SP পদমর্যাদার অফিসার । উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে থাকবে আলাদা ইউনিট ।
2008 সাল । তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময় তৈরি করেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । এই ইউনিটের দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজীব কুমারকে । জঙ্গি দমন থেকে শুরু করে মাওবাদী দমন, সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । তবে সাম্প্রতিক অতীতে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের পর্দা ফাঁস স্পেশাল টাস্কফোর্সের সবথেকে বড় সাফল্য । বর্তমান কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বাধীন স্পেশাল টাস্কফোর্স বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের পাণ্ডাদের গ্রেপ্তার করে । STF-এর এই সাফল্য প্রশংসাও কুড়িয়েছিল ৷ সেই সূত্রেই সামনে আসে জামাত-উল-মুজাহিদিন সম্পর্কে একের পর এক তথ্য । খাগড়াগড় কাণ্ডের পর সামনে এনেছিল জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের সক্রিয়তা । আর বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের সূত্র ধরে সামনে আসে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের ইন্ডিয়া চ্যাপ্টারের কথা । জামাত-উল-মুজাহিদিন ইন্ডিয়া । তারপর চলে একের পর এক ধরপাকড়।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় মডিউল তৈরি করে ফেলেছে জামাত-উল-মুজাহিদিন ইন্ডিয়া । কয়েকটি জেলায় আবার তৈরি হয়েছে একাধিক মডিউল । গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সামনে আসার পর স্বরাষ্ট্র দপ্তর চিন্তাভাবনা শুরু করে । তারপর আরও বড় আকারে স্পেশাল টাস্কফোর্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । রাজ্য পুলিশের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এই ফোর্সকে।