কলকাতা, 19 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এই অবস্থায় বারংবার প্রশ্ন উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে। কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা? কেন এত বড়ো ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই? এই প্রশ্ন তুলেছে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষরা। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ক্যাম্পাসের গেটে এবং বেশ কিছু জায়গায় সিসিটিভ ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানিয়েছিলেন রেজিস্ট্রার। কিন্তু তা কবে? তাই এবার প্রতীকী সিসিটিভি নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। শনিবার সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন রাজন্যা হালদার ও সঞ্জীব প্রামাণিক।
শনিবার বিকেলে প্রতীকী সিসিটিভি হাতে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একটি ডেপুটেশন কর্মসূচি নিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তৃণমূল সংগঠন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসে ডেপুটেশন জমা দেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। তারপর রাজন্যা বলেন, "বাম-অতিবাম দ্বারা তৃণমূল ছাত্রদের উপর যে মানসিক অত্যাচার চলছে সেটা দেখে যেন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, নইলে আমরা আইনের পথে হাঁটব। আমরা জানি এই ক্যাম্পাসে অনেক অসামাজিক কাজ হয়। তাই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগলে সেই সব অসামাজিক কাজ বন্ধ হবে।"
এর সঙ্গে রাজন্যার দাবি, যদি কর্তৃপক্ষ আগামী 10 দিনের মধ্যে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে না-পারে, তাহলে যাদবপুরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ দায়িত্ব নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাবে। সিসিটিভি নিয়ে যখন তারা অরবিন্দ ভবনের সামনে যান ৷ সেখানে দীর্ঘদিন অবস্থানে ছিল এসএফআই এবং আইসা (এআইএসএ)। ফলত দু'দলের মাঝে স্লোগান লড়াই চলে বেশ কিছুক্ষণ। অন্যদিকে, সিসিটিভি লাগানো নিয়েও প্রথম থেকেই দ্বিমত শোনা যাচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে।
তাঁদের দাবি, সিসিটিভি লাগাতেই পারে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কারও ব্যক্তিগত পরিসরে তা ব্যবহার যেন না-হয়। এই বিষয়ে আজ এসএফআইয়ের সদস্য রুদ্র চট্টোপাধ্যায় জানান, সিসিটিভি লাগালে যাদবপুরে তৃণমূল উঠে যাবে। কারণ সব থেকে বেশি নেশা করতে ক্যাম্পাসে ওদেরকেই দেখা যায়। যাদবপুর আগেও তৃণমূল-বিজেপিকে কখনও মানেনি। আগামিদিনেও মানবে না। তাই যখন সিসিটিভি লাগতে বলছে তখন যেন নিজেদের ভবিষ্যতটা একবার ভেবে নেয়। কিন্তু আমরা সব ছাত্রছাত্রী, গবেষক, পড়ুয়ারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেব।"
আরও পড়ুন: হস্টেল ছাড়ছেন পড়ুয়ারা, যাদবপুরের ঘটনায় ভিড় বাড়ছে আশপাশের মেস-পিজিতে