কলকাতা, 16 জুলাই : নির্বাচনের সময় রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদি 'দিদি... ও দিদি' ডাকে রাজ্যের শাসকদলকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন । এই ডাকে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস একে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর অপমান বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন । কিন্তু বিজেপির তাতে থোড়াই কেয়ার । প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত ভোট প্রচারে এই একই ধরনের খোঁচা অব্যাহত ছিল । এদিকে, নির্বাচনের ফলাফলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৃণমূলের দাবি, বাংলার মানুষ অন্তত মোদিজির এই স্লোগানে সাড়া দেয়নি । শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এবার প্রধানমন্ত্রীকে সেই কটাক্ষের জবাব দেওয়া হবে । তৃণমূল সূত্রে খবর, শীঘ্রই শুরু হতে চলা সংসদের বাদল অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে এর পাল্টা জবাব দেওয়া হবে ।
তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের সদস্যরা এক জায়গায় বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে এলেই তাঁকে 'দাদা... ও দাদা' বলে সম্বোধন করা হবে । প্রথমে ঠিক ছিল প্রধানমন্ত্রী সংসদে ঢুকলেই ‘মোদি ও মোদি’ বলে স্লোগান দেবে তৃণমূল । কিন্তু এমন স্লোগানে তৃণমূল সংসদীয় দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ উঠতে পারে । আর তাতে বেকায়দায় পড়তে পারেন তৃণমূল সাংসদরা । তাই স্ট্র্যাটেজি পাল্টে ‘দাদা ও দাদা’ ডাকের ভাবনা । এতে সাপও মরবে লাঠিও ভাঙবে না ।
আরও পড়ুন, বঙ্গে দ্রুত উপনির্বাচন নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল, কমিশন-সাক্ষাতের পর জানালেন সুদীপ
এদিন এই নিয়ে হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'ভোট রাজনীতির ময়দানে সৌজন্যে জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । রাজনীতির ময়দানে নেমে সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোংরা আক্রমণ করেছিলেন তিনি ৷ বাংলার মানুষ এই ঘটনাকে মোটেই ভালোভাবে নেয়নি । এখন সংসদে দাঁড়িয়ে তার পাল্টা জবাব পেতেই হবে ওঁকে ।'
আসলে, রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বাংলা হল সৌজন্যের মাটি । সেখানে এই ধরনের স্লোগান যথেষ্টই অপমানের । কাজেই এই অপমানকে মুখ বুজে মেনে নেওয়া মানে, নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করা । তাই এবার পাল্টা প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে তৃণমূল ।