কলকাতা, 24 জুন: কথা মতোই কাজ । কোনোরকম ছাড় নয় । অবাধ্য কর্মী ও নেতাদের ছেঁটে ফেলল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস । এখনও পর্যন্ত 56 জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ যা পঞ্চায়েট ভোটের আগে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
শনিবার তৃণমূল সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, দলের নির্দেশ অমান্য করে যাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে । সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এখনও পর্যন্ত 56 জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । যার মধ্যে সব থেকে বেশি আছে নদিয়া জেলায় তৃণমূলে এই শাস্তি দেওয়াকে দুই রকম ভাবে দেখছে রাজনীতিক মহল । এক, তৃণমূলে দলীয় অনুশাসন মানতে হবে । দুই, সাংগাঠনিক দুর্বলতা রাখা যাবে না। যাতে বিরোধীরা কোনোভাবেই এসব বিষয় নিয়ে সমালোচনা না করতে পারে ।
সূত্রের দাবি, নদিয়া জেলায় 21 জনকে সাসপেন্ড করা হয় । দিন চারেক আগে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেই এই সাসপেনশন শুরু হয়েছিল । তারপর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে 17 জনকে সাসপেন্ড করেছে দল । তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, দলের বিরুদ্ধে কেউ নির্দলে দাঁড়াবেন না । এরপরেও কেউ যদি নির্দেশ অমান্য করেন, তাহলে তাঁদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে ।
জানা গিয়েছে, এই সাসপেনশনের সংখ্যাটা আরও বাড়বে । অনেক জেলাতেই প্রচুর তৃণমূল নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছে । দলের কাছে সেই সব নামের তালিকা আসছে রাজ্যস্তরের নেতাদের কাছে । কয়েকদিন আগে কালীঘাটের বৈঠকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ জানিয়েছিলেন, যাঁরা দলের টিকিট না পেয়ে নির্দলে দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা দ্রুত প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করে নিন । তারপরেও বহু জেলার বহু কর্মী এই অনুরোধ রাখেননি ।
স্বাভাবিকভাবেই সেই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের চিহ্নিত করে দল থেকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । শেষ পৌরসভা নির্বাচনে এই বহিষ্কারের পর্ব চলেছিল । শুধু বহিষ্কার নয়, নির্দল প্রার্থী হয়েও যাঁরা জিতেছিলেন, তাঁদেরকে কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দলে ফেরানো হয়নি ।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে মমতা, কোচবিহার থেকে শুরু যাত্রা