কলকাতা, 9 নভেম্বর: আগেই মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিষেক । এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলা হল, সবটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে এথিক্স কমিটি। এক্ষেত্রে এথিক্স কমিটিতে মহুয়ার পক্ষে পড়েছে চারটি ভোট আর বিরুদ্ধে পড়েছে ছ'টি ভোট। বৃহস্পতিবার সকালেই মহুয়ার বিরুদ্ধে এই ধরণের একটা পদক্ষেপ হতে পারে আন্দাজ করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল কংগ্রেসেও মহুয়ার পক্ষেই সরব হল ।
বৃহস্পতিবার, এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদির সবথেকে বড় বন্ধুর নাম গৌতম আদানি। মোদি-আদানি স্ক্যামের পরিমাণ 120 বিলিয়ন ডলার। এই আদানিকে নিয়ে কেউ প্রশ্ন করলে তাদের গাত্রদাহ হয়। এবং তাদের বিরুদ্ধে নখ-দাঁত বের করে তারা আক্রমণ করে, এটা প্রমাণিত। একদিকে যারা বলছেন সদস্যপদ খারিজ করা হোক। তারাই আবার বলছেন সিবিআই তদন্ত করা হোক। অর্থাৎ একদিকে আমি তদন্ত চাইছি আর সেই তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই আমরা আমাদের জাজমেন্ট জানিয়ে দিচ্ছি ৷ এই সব তো একসঙ্গে হতে পারে না।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন মহুয়া মৈত্র নিজের লড়াই নিজে করে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সক্ষম। অতএব সেই দিক থেকে বিচার করলে তিনি অবশ্যই এর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন আশা করছি।" এদিন কুনাল ঘোষ বলেন, "এথিক্স কমিটির যা কাজ সেই কাজ তারা করছেন না যা করছেন তা আনএথিক্যাল কাজ। যেখানে বিজেপির একের পর এক সাংসদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেন্ডিং রয়েছে তখন এথিক্স কমিটির নাড়াচাড়া দেখা যায় না। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ঘুষ খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রকাশ্যে তাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। সে সময় এথিক্স কমিটির বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্তের অনুমতি দিতে পারেনি। যারা বিজেপির অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে কণ্ঠ তুলছেন প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাদের কণ্ঠ রোধ করতেই মহুয়ার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোনওভাবেই বিরোধী কণ্ঠ রাখতে চায় না বলেই বিজেপিকে পেছনে দরজা দিয়ে এসব করতে হয়। আমরা এর কঠোরভাবে নিন্দা করছি।"
কুনাল আরও বলেন, "এথিক্স কমিটি জবাব দিন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ঘুষের ভিডিও থাকা সত্ত্বেও অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও গ্রেপ্তারির অনুমতি দিতে কেন তারা বছরের পর বছর কাটিয়ে দিলেন।" এদিন সকালে ঠিক এই কথাই বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে এথিক্স কমিটি একজনের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ করছেন আবার একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তি বিধান করছে । দুটো এক সঙ্গে কীভাবে হতে পারে বলে, এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন অভিষেক। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকেও সেই একই প্রশ্ন আর এথ্রিক্স কমিটির সুপারিশ প্রকাশ্যে আসার পর আরও একবার প্রকাশ্যে তুলে দেওয়া হল।