কলকাতা, 23 অগস্ট: একটি মামলার হলফনামা দিতে হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এদিন তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টে নিয়ে আসা হয়। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে মানিক ভট্টাচার্যের মেয়ে একদফা হলফনামা জমা দিয়েছিলেন আদালতে। কিন্তু তা গ্রহণ করেননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই বাধ্য হয়ে বুধবার মানিক ভট্টাচার্যকেই হাইকোর্টে সশরীরে এসে হলফনামা জমা দিতে হয়।
2014 সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ওএমআর শিট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলাতেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। 2014 সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করারও অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তাতে অ্যাড হক কমিটির কী ভূমিকা ছিল, সেই প্রশ্নও উঠেছিল আদালতে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন।
এর আগে আদালতে তাঁর হয়ে হলফনামা দিতে এসেছিলেন তাঁর মেয়ে স্বাতী ভট্টাচার্য। যদিও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই হলফনামা খারিজ করে দেন। পালটা তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, মানিককে নিজে এসেই দিতে হবে হলফনামা। হাইকোর্টে এসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সাংবাদিকরা তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, "প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব পক্ষই এই ঘটনায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমি রাজ্যের বাসিন্দা হিসাবে চাই এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হোক। প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হোক।" মানিক ভট্টাচার্য এদিন আরও বলেন, "আমার বিরুদ্ধে যতবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ততবার সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত হয়ে গিয়েছে সেই নির্দেশ।"
আরও পড়ুন: যাদবপুর ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীকে পালটা দিলেন রাজ্যপাল
এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল বিদায়ক মানিক ভট্টাচার্য ৷ গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্ত্রী, ছেলেকেও ৷ যদিও সম্প্রতি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীকে জামিন দিয়েছে আদালত ৷ তবে এখনও জেল হেফাজতেই রয়েছেন মানিক এবং তাঁর ছেলে ৷