ETV Bharat / state

Jiban Krishna Saha: কোটি-কোটি টাকার সম্পত্তির উৎস কী ? মুখে কুলুপ জীবনকৃষ্ণের - গরুপাচার কাণ্ড

জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং তাঁর স্ত্রীর নামে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পত্তির হদিশ মিলেছে ৷ ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকা ৷ কী এই সম্পত্তির উৎস ? মুখে কুলুপ এঁটেছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা ৷

Jiban Krishna Saha ETV BHARAT
Jiban Krishna Saha
author img

By

Published : Apr 17, 2023, 4:55 PM IST

কলকাতা, 17 এপ্রিল: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে একের পর এক নাটকীয় ঘটনার পর সোমবার ভোরে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই ৷ সোমবার সকালে তাঁকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে আনা হয়েছে ৷ সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং তাঁর স্ত্রীর নামে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে ৷ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা মজুত রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ কিন্তু, কোথা থেকে এল আয় বহির্ভূত এই সম্পত্তি ? সে নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক ৷ সিবিআই সূত্রে খবর, গরুপাচার-কাণ্ডেও তাঁর নাম উঠে এসেছিল ৷ গতবছর অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের সময় জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম উঠে এসেছিল ৷ ফলে প্রশ্ন, এই হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তিতে কি গরুপাচারের টাকাও রয়েছে ?

গত তিনদিন ধরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে সিবিআই ৷ মূলত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর মুর্শিদাবাদের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা ৷ সেখানে সিবিআই এর সামনে নিজের এবং পরিবারের যে সম্পত্তির হিসেব পেশ করেছেন বিধায়ক, তার সঙ্গে আয়ের কোনও সামঞ্জস্য নেই বলে সিবিআই সূত্রে খবর ৷ এ নিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন ৷ জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সম্পত্তি নিয়ে যে মুচলেকা জমা দিয়েছেন তাঁর সঙ্গে আয়ের কোনও মিল নেই ৷

2015-2018 এবং 2019 অর্থবর্ষের যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, সেখানে জীবনকৃষ্ণ সাহার বার্ষিক আয় ছিল 3-6 লক্ষ টাকা ৷ আর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত নথি অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ছিল 2-4 লক্ষ টাকা ৷ কিন্তু, ব্যাংকের পাস বুক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ 3 কোটি টাকারও বেশি ৷ যেখানে ব্যাংকে মজুত টাকার পরিমাণ 1 কোটির বেশি ৷ এমনকি তাঁর স্ত্রী নামে একটি ফিক্সড ডিপোজিট পাওয়া গিয়েছে ৷ সেই টাকার পরিমাণও বার্ষিক আয়ের থেকে অনেক বেশি ৷ ফলে প্রশ্ন উঠছে, শুধু কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকাতেই এই বিশাল পরিমাণ সম্পত্তি ? সিবিআই'য়ের জিজ্ঞাসাবাদে যদিও সেসব কোনও উত্তর দেননি জীবনকৃষ্ণ সাহা ৷

আরও পড়ুন: প্রায় 72 ঘণ্টা পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার জীবনকৃষ্ণের দ্বিতীয় মোবাইল

এখানেই উঠে আসছে একটি তথ্য ৷ গরুপাচারের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ৷ এমনকি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র রয়েছে ৷ অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার সময় বড়ঞার বিধায়কের নাম একবার উঠে এসেছিল ৷ সেই সময় থেকে তাঁর উপরে নজর রাখছিল সিবিআই ৷ কিন্তু, কোনও তথ্য প্রমাণ জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে পাননি তদন্তকারীরা ৷ সূত্রের খবর, বীরভূম থেকে গরু মুর্শিদাবাদের বড়ঞা হয়ে বাংলাদেশে পাচার হত ৷ অভিযোগ সেই সময় স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে গরুপাচারের টাকার ভাগ নিতেন তিনি ৷ কিন্তু, এর কোনও প্রমাণ সিবিআই এর হাতে আসেনি ৷ তাই কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া যায়নি ৷ তবে, মনে করা হচ্ছে এই হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি সেই সূত্রেও আসতে পারে ৷

কলকাতা, 17 এপ্রিল: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে একের পর এক নাটকীয় ঘটনার পর সোমবার ভোরে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই ৷ সোমবার সকালে তাঁকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে আনা হয়েছে ৷ সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং তাঁর স্ত্রীর নামে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে ৷ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা মজুত রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ কিন্তু, কোথা থেকে এল আয় বহির্ভূত এই সম্পত্তি ? সে নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক ৷ সিবিআই সূত্রে খবর, গরুপাচার-কাণ্ডেও তাঁর নাম উঠে এসেছিল ৷ গতবছর অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের সময় জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম উঠে এসেছিল ৷ ফলে প্রশ্ন, এই হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তিতে কি গরুপাচারের টাকাও রয়েছে ?

গত তিনদিন ধরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে সিবিআই ৷ মূলত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর মুর্শিদাবাদের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা ৷ সেখানে সিবিআই এর সামনে নিজের এবং পরিবারের যে সম্পত্তির হিসেব পেশ করেছেন বিধায়ক, তার সঙ্গে আয়ের কোনও সামঞ্জস্য নেই বলে সিবিআই সূত্রে খবর ৷ এ নিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন ৷ জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সম্পত্তি নিয়ে যে মুচলেকা জমা দিয়েছেন তাঁর সঙ্গে আয়ের কোনও মিল নেই ৷

2015-2018 এবং 2019 অর্থবর্ষের যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, সেখানে জীবনকৃষ্ণ সাহার বার্ষিক আয় ছিল 3-6 লক্ষ টাকা ৷ আর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত নথি অনুযায়ী, তাঁর স্ত্রীর বার্ষিক আয় ছিল 2-4 লক্ষ টাকা ৷ কিন্তু, ব্যাংকের পাস বুক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ 3 কোটি টাকারও বেশি ৷ যেখানে ব্যাংকে মজুত টাকার পরিমাণ 1 কোটির বেশি ৷ এমনকি তাঁর স্ত্রী নামে একটি ফিক্সড ডিপোজিট পাওয়া গিয়েছে ৷ সেই টাকার পরিমাণও বার্ষিক আয়ের থেকে অনেক বেশি ৷ ফলে প্রশ্ন উঠছে, শুধু কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকাতেই এই বিশাল পরিমাণ সম্পত্তি ? সিবিআই'য়ের জিজ্ঞাসাবাদে যদিও সেসব কোনও উত্তর দেননি জীবনকৃষ্ণ সাহা ৷

আরও পড়ুন: প্রায় 72 ঘণ্টা পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার জীবনকৃষ্ণের দ্বিতীয় মোবাইল

এখানেই উঠে আসছে একটি তথ্য ৷ গরুপাচারের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে ৷ এমনকি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র রয়েছে ৷ অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার সময় বড়ঞার বিধায়কের নাম একবার উঠে এসেছিল ৷ সেই সময় থেকে তাঁর উপরে নজর রাখছিল সিবিআই ৷ কিন্তু, কোনও তথ্য প্রমাণ জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে পাননি তদন্তকারীরা ৷ সূত্রের খবর, বীরভূম থেকে গরু মুর্শিদাবাদের বড়ঞা হয়ে বাংলাদেশে পাচার হত ৷ অভিযোগ সেই সময় স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে গরুপাচারের টাকার ভাগ নিতেন তিনি ৷ কিন্তু, এর কোনও প্রমাণ সিবিআই এর হাতে আসেনি ৷ তাই কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া যায়নি ৷ তবে, মনে করা হচ্ছে এই হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি সেই সূত্রেও আসতে পারে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.