কলকাতা, 8 মে : কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত কোভিড ভ্যাকসিনেশনের জন্য 4 হাজার 744 কোটি টাকা খরচ করেছে । যা চলতি আর্থিক বছরে মোট ভ্যাকসিনেশনের জন্য যত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই বাজেটের মাত্র 14 শতাংশ । এর ফলে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা দান কর্মসূচি মারাত্মক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে । অত্যন্ত ধীরে ধীরে টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি চলছে । ইটিভি ভারতে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয় ৷ সেই প্রতিবেদন তুলে ধরে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও ৷ লিখেছেন, ভ্যাকসিনের জন্য বাজেট সঠিকভাবে ব্যবহার হয়নি ৷ মানুষের জীবনকে মূল্য দেওয়া হয়নি ৷ কারণ, প্রধানমন্ত্রীর ইগো বড় হয়ে গিয়েছিল ৷
-
Vaccine budget- underutilized.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 8, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
Human life- undervalued.
Because PM’s ego- overinflated. pic.twitter.com/OTEOCYOG4n
">Vaccine budget- underutilized.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 8, 2021
Human life- undervalued.
Because PM’s ego- overinflated. pic.twitter.com/OTEOCYOG4nVaccine budget- underutilized.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 8, 2021
Human life- undervalued.
Because PM’s ego- overinflated. pic.twitter.com/OTEOCYOG4n
কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আজও বিধানসভায় তিনি বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাকসিন নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নীতিই নেই । আমরা বারবার দাবি করেছি সকলের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন । প্রয়োজনে রাজ্য নিজ খরচেও টাকা দিতে প্রস্তুত । অথচ নিরুত্তর কেন্দ্র । আর এই অবস্থায় গোটা দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে সঙ্কট বাড়ছে ।’’ এদিন অক্সিজেন বণ্টন নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন মমতা । এ প্রসঙ্গে মমতার বক্তব্য, অক্সিজেন ও ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচারণ করছে ।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই সরব হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ । তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের তরফ থেকে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন সকলের বিনামূল্যে টিকাকরণ । কেন তা করছে না কেন্দ্র ? সম্প্রতি কেন্দ্রের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, কেন্দ্রীয় সরকার বাজেট বরাদ্দের মাত্র 14 শতাংশ ভ্যাকসিন কিনতে খরচ করেছে । যখন দিনের-পর-দিন মানুষ মরছেন, তখন কেন্দ্রের এই নীতি কীভাবে মেনে নেওয়া যায় ৷’’ তিনি এও বলেন, ‘‘সকলের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রের একটি নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন নীতি গ্রহণ করা উচিত । এভাবে দেশের মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া কখনোই সমর্থন যোগ্য হতে পারে না ।’’
এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও আজ দাবি তুলেছেন কোভিডের সময় বিলাসবহুল সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে 20 হাজার কোটি টাকা খরচের কি প্রয়োজন । কেন্দ্রীয় সরকার যে বিপুল অর্থ বাজেটে টিকা করনের জন্য ধার্য করেছিল সেই অর্থ কোথায় গেল? কেন দেশবাসীকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া যাচ্ছে না ! একইসঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গের অক্সিজেন ও ভ্যাকসিনের সঙ্কট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন । চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছেন ।
আরও পড়ুন : টিকার জন্য হাহাকার, কিন্তু ভ্যাকসিন বাজেটের মাত্র 14 শতাংশ খরচ কেন্দ্রের
বামেদের তরফ থেকেও কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিচারিতার বিরোধিতা করা হয়েছে । সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রের ভুল নীতির জন্যই দেশের মানুষকে অক্সিজেন ও ভ্যাকসিনের অভাবে মরতে হচ্ছে । করোনার প্রথম পর্যায় আছড়ে পড়ার পর কেন্দ্র যথেষ্ট সময় পেয়েছে নিজেদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সামলে নেওয়ার । কিন্তু তা না করে ক্ষমতা দখলে ব্যস্ত ছিল । তার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । সবচেয়ে বড় কথা, কেন্দ্রীয় বাজেটের যে অর্থ ভ্যাকসিন কেনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল তা কেন ব্যবহার করা হচ্ছে না । করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের ৷ কেন তাদের কথা ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার ?’’
যদিও এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা কেন্দ্রের ভূমিকায় খুশি । তাঁরা কেন্দ্রের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করছেন । বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রক কোভিড মোকাবিলায় ভালো কাজ করছে । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন প্রতিটি রাজ্যকে সমান ভাবেই ভ্যাকসিন ডোজ় সরবরাহ করছে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন ।"
কিন্ত কেন্দ্রীয় বাজাটে বরাদ্দ টাকার খরচ কম কেন ? জয়প্রকাশের যুক্তি, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে । রাজ্যগুলির যে পরিমাণে ভ্যাকসিনের চাহিদা সেই পরিমাণে ভ্যাকসিন পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না । তার ফলেই এখনও পর্যন্ত 4 হাজার 744 কোটি টাকা খরচ হয়েছে । তবে এই হিসাবটি ঠিক নয় বলেও জানান তিনি ।