ETV Bharat / state

I PAC: এবার ত্রিপুরা গেলেন ডেরেক-কাকলি, শুক্রে অভিষেক

প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের (I PAC) কর্মীদের নিয়ে সরগরম ত্রিপুরা (Tripura) ৷ কালই তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল আগরতলা গিয়ে সে রাজ্যের বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ৷ আর আজ সেখানে গেলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O Brien) ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)৷ কাল যাওয়ার কথা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ।

TMC leaders Derek O Brien and Kakoli Ghosh Dastidar went to Tripura after I PAC team detained in hotel
এবার ত্রিপুরায় গেলেন ডেরেক-কাকলি, শুক্রে যাচ্ছেন অভিষেক
author img

By

Published : Jul 29, 2021, 10:11 AM IST

কলকাতা, 29 জুলাই: লড়াই জমে উঠেছে ত্রিপুরায় । রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি জমজমাট মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও । বুধবার ত্রিপুরায় (Tripura) ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা পৌঁছনোর পর থেকেই বিপ্লব দেবের সরকার তাদের আটকানোর চেষ্টা করছে । সরাসরি তাদের গতিবিধিতে হস্তক্ষেপ না করলেও কড়া পুলিশি নজরদারি রাখা হয়েছে । একেই রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস । আর তাই আজ সকালে দিল্লি থেকে ত্রিপুরায় পা রেখেছেন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O Brien) এবং বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবার দুপুরে ত্রিপুরা পৌঁছবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ।

আজই ত্রিপুরা যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে থাকায়, সেই সূচি বদল করে শুক্রবার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ।

মূলত ত্রিপুরায় আইপ্যাকের (I PAC) কর্মীদের আটকানো ও তাঁদের উপর পুলিশি নজরদারির ঘটনাকে সামনে রেখেই জোরালো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস । এই মুহূর্তে বিরোধী শক্তি হিসেবে যে শূন্যস্থান ত্রিপুরাতে তৈরি হয়েছে, এই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে মূলত পায়ের তলার মাটি তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল । তৃণমূলের দাবি, যে প্রক্রিয়ায় বিপ্লব দেবের সরকার প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের নজরবন্দি করে রেখেছে, তা সম্পূর্ণভাবে অগণতান্ত্রিক। এই বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ মানুষ ইতিবাচকভাবে নেবে বলেই আশা করছে তৃণমূল । আর সে কারণেই এ দিন তিন প্রতিনিধিকে আগরতলা পাঠানো হয় এবং একইভাবে আজ সেখানে গেলেন ডেরেক এবং কাকলি ।

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ফ্যাসাদে টিম পিকে, পাকড়াও আই-প্য়াকের 22 সদস্য

ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের বেশ কিছু বাকি, কিন্তু এখন থেকেই রাজনৈতিক ভাবে তেতে রয়েছে বাংলার এই প্রতিবেশী রাজ্য । 21জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস পালনের দিন থেকেই আগরতলায় বিজেপি বনাম তৃণমূল পারদ চড়ছিল । তারপরেই আইপ্যাক সংস্থার তরফে 23 জনের একটি দল ত্রিপুরা পৌঁছয় । সেই মুহূর্তেই করোনা পরিস্থিতির যুক্তি দেখিয়ে তাঁদের আগরতলার একটি হোটেলে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে বিপ্লব দেবের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ।

বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে 3 সদস্যের প্রতিনিধি দল আগরতলা পৌঁছয় । রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় যান আগরতলা । অভিযোগ, মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে নামার পরেই "কোভিড বিধি"র কথা বলে তাঁদের বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয় । পরে আগরতলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে ব্রাত্য বসু জানান, "আপাতত আইপ্যাক টিমের কয়েক জনের সঙ্গে কথা হয়েছে । আমরা তাঁদের আশ্বস্ত করেছি । ওঁদের সবার কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আছে । ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অনুযায়ী চলে । এখানে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যাতায়াতে এ রকম কোনও বিধিনিষেধ নেই । এখানকার সরকার আমাদের ভয় পাচ্ছে, তাই এই ভাবে বাঁধা দিচ্ছে ।

আরও পড়ুন: হোটেলে অবরুদ্ধ টিম পিকে, আগরতলা আসবেন অভিষেক

ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁরা যে হোটেলে রয়েছেন, তা পুলিশ দিয়ে মুড়ে রাখা হয়েছে । এমনকি তাঁদের 3 জনের ঘরের বাইরেও রয়েছে পুলিশ । এ প্রসঙ্গে এই শ্রমিক নেতা বলেন, "কোনও গণতান্ত্রিক দেশে রয়েছি, না পুলিশ শাসিত রাষ্ট্রে রয়েছি বোঝা মুশকিল ৷"

আজ আইপ্যাকের পুরো দলের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে এই প্রতিনিধি দলের । আগামী কয়েক দিন ত্রিপুরায় থাকবে তৃণমূল নেতৃত্ব । এর মধ্যে দলের তরফে অন্য শীর্ষনেতারাও যাবেন ত্রিপুরায় । সবচেয়ে বড় কথা শুক্রবার যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন এই ঘটনায় বাড়তি উৎসাহিত । তবে বিজিপি সূত্রে খবর, ওইদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা গেলে, বিজেপি কর্মীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন । ফলে আগামীতে ঘটনা প্রবাহ কোন দিকে যায় সেদিকেই সকলের নজর থাকছে । তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যা, বিজেপি এবং তৃণমূল কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না ত্রিপুরায় ।

কলকাতা, 29 জুলাই: লড়াই জমে উঠেছে ত্রিপুরায় । রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি জমজমাট মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও । বুধবার ত্রিপুরায় (Tripura) ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা পৌঁছনোর পর থেকেই বিপ্লব দেবের সরকার তাদের আটকানোর চেষ্টা করছে । সরাসরি তাদের গতিবিধিতে হস্তক্ষেপ না করলেও কড়া পুলিশি নজরদারি রাখা হয়েছে । একেই রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস । আর তাই আজ সকালে দিল্লি থেকে ত্রিপুরায় পা রেখেছেন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O Brien) এবং বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবার দুপুরে ত্রিপুরা পৌঁছবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ।

আজই ত্রিপুরা যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে থাকায়, সেই সূচি বদল করে শুক্রবার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ।

মূলত ত্রিপুরায় আইপ্যাকের (I PAC) কর্মীদের আটকানো ও তাঁদের উপর পুলিশি নজরদারির ঘটনাকে সামনে রেখেই জোরালো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস । এই মুহূর্তে বিরোধী শক্তি হিসেবে যে শূন্যস্থান ত্রিপুরাতে তৈরি হয়েছে, এই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে মূলত পায়ের তলার মাটি তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল । তৃণমূলের দাবি, যে প্রক্রিয়ায় বিপ্লব দেবের সরকার প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীদের নজরবন্দি করে রেখেছে, তা সম্পূর্ণভাবে অগণতান্ত্রিক। এই বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ মানুষ ইতিবাচকভাবে নেবে বলেই আশা করছে তৃণমূল । আর সে কারণেই এ দিন তিন প্রতিনিধিকে আগরতলা পাঠানো হয় এবং একইভাবে আজ সেখানে গেলেন ডেরেক এবং কাকলি ।

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় ফ্যাসাদে টিম পিকে, পাকড়াও আই-প্য়াকের 22 সদস্য

ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের বেশ কিছু বাকি, কিন্তু এখন থেকেই রাজনৈতিক ভাবে তেতে রয়েছে বাংলার এই প্রতিবেশী রাজ্য । 21জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস পালনের দিন থেকেই আগরতলায় বিজেপি বনাম তৃণমূল পারদ চড়ছিল । তারপরেই আইপ্যাক সংস্থার তরফে 23 জনের একটি দল ত্রিপুরা পৌঁছয় । সেই মুহূর্তেই করোনা পরিস্থিতির যুক্তি দেখিয়ে তাঁদের আগরতলার একটি হোটেলে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে বিপ্লব দেবের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ।

বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে 3 সদস্যের প্রতিনিধি দল আগরতলা পৌঁছয় । রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় যান আগরতলা । অভিযোগ, মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে নামার পরেই "কোভিড বিধি"র কথা বলে তাঁদের বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয় । পরে আগরতলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে ব্রাত্য বসু জানান, "আপাতত আইপ্যাক টিমের কয়েক জনের সঙ্গে কথা হয়েছে । আমরা তাঁদের আশ্বস্ত করেছি । ওঁদের সবার কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আছে । ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অনুযায়ী চলে । এখানে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যাতায়াতে এ রকম কোনও বিধিনিষেধ নেই । এখানকার সরকার আমাদের ভয় পাচ্ছে, তাই এই ভাবে বাঁধা দিচ্ছে ।

আরও পড়ুন: হোটেলে অবরুদ্ধ টিম পিকে, আগরতলা আসবেন অভিষেক

ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁরা যে হোটেলে রয়েছেন, তা পুলিশ দিয়ে মুড়ে রাখা হয়েছে । এমনকি তাঁদের 3 জনের ঘরের বাইরেও রয়েছে পুলিশ । এ প্রসঙ্গে এই শ্রমিক নেতা বলেন, "কোনও গণতান্ত্রিক দেশে রয়েছি, না পুলিশ শাসিত রাষ্ট্রে রয়েছি বোঝা মুশকিল ৷"

আজ আইপ্যাকের পুরো দলের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে এই প্রতিনিধি দলের । আগামী কয়েক দিন ত্রিপুরায় থাকবে তৃণমূল নেতৃত্ব । এর মধ্যে দলের তরফে অন্য শীর্ষনেতারাও যাবেন ত্রিপুরায় । সবচেয়ে বড় কথা শুক্রবার যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন এই ঘটনায় বাড়তি উৎসাহিত । তবে বিজিপি সূত্রে খবর, ওইদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা গেলে, বিজেপি কর্মীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন । ফলে আগামীতে ঘটনা প্রবাহ কোন দিকে যায় সেদিকেই সকলের নজর থাকছে । তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যা, বিজেপি এবং তৃণমূল কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না ত্রিপুরায় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.