কলকাতা, 28 জুলাই: 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' কর্মসূচির জন্য টেন্ডার ডাকাকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি হয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে থাকা স্বরাষ্ট্র দফতর এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, শুক্রবার এই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এর পালটা শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল ৷ রাজ্যের শাসক দলের দাবি, শুভেন্দু অভিকারীর করা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা, কাল্পনিক ও মনগড়া ৷ কোনও কোনও মহলের প্রশ্রয়ে শুভেন্দু এই অভিযোগ করেছেন বলেও দাবি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের ৷
এদিন শুভেন্দু অভিকারীর সাংবাদিক বৈঠকের পরেই পালটা তথ্য দিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন কুণাল ঘোষ ৷ তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে বলেন, "চোরের মায়ের বড় গলা ৷ লোডশেডিং করে জেতা তথাকথিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে । সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী জন্য যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল তা সম্পূর্ণভাবে সরকারি বিধি মেনে করা হয়েছিল ফলে এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ভিত্তিহীন ।"
আরও পড়ুন: 'ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি, চিরকুটে চাকরি' অভিযোগ শুভেন্দুর
কুণাল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার সময়ই বলা হয়েছিল কল সেন্টার ফেসিলিটি রয়েছে এবং সমস্ত সাপোর্ট সিস্টেম রয়েছে এমন কোনও সংস্থাকে এই টেন্ডার দেওয়া হবে । শুধু তাই নয়, এখানে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন সংস্থাকে আবেদন করতে বলা হয়েছিল ৷ কুণাল ঘোষের দাবি, এই টেন্ডারের ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি ছিল না । 11টি সংস্থা এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় ৷ তার মধ্যে তিনটি সংস্থার মধ্যে থেকে সবথেকে কম দর দেওয়া সংস্থাকে বেছে নেওয়া হয় ৷ চার বছরের জন্য 152.47 কোটি টাকায় এই ওই সংস্থা বরাত পায় ৷
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কর্মসূচিতে টেন্ডার দুর্নীতি, মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু
এদিন বিরোধী দলনেতার তোলা সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন কুণাল । বরং তাঁর পালটা অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী নিজে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, সারদা মামলার এফআইআর-এ তাঁর নাম আছে । তাঁর মুখে এ কথা মানায় না । একই সঙ্গে তিনি পালটা সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি প্রকাশ্যে এনে বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন । একইভাবে এদিন এই নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অপর মুখপাত্র তাপস রায় । তিনি জানান, শুভেন্দু অধিকারী গল্প তৈরি করে ভাবনা-চিন্তাগুলিকে প্রত্যেকদিন মানুষের সামনে তুলে নিয়ে আসেন । এর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই । দশ বছর উনি দলে অথবা সরকারি পদে ছিলেন । আজকে দলের বাইরে গিয়ে সেই সরকারের বিরুদ্ধেই কুৎসা করছেন । মানুষ এগুলোকে ভালোভাবে নেয় না ।