ETV Bharat / state

TMC slams BJP: অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে বিজেপির 6 নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ, পালটা খোঁচা তৃণমূলের

বিজেপির ছয় নেতা-মন্ত্রীর নাম নিয়ে গত কয়েকবছরে তাঁদের সম্পত্তি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন শশী পাঁজা বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, জ্যোতিরাদিত্য রাজে সিন্ধিয়া, রাজেশ্বর তেলি, জগদম্বিকা পাল এবং অধিকারী পরিবারের নাম করে প্রশ্ন করেন, এদের সম্পত্তি খতিয়ান নিয়ে কেন তদন্ত করা হচ্ছে না ?

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 7, 2023, 6:41 AM IST

কলকাতা, 6 নভেম্বর: আবারও বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীর গত কয়েকবছরে অস্বাভাবিকভাবে সম্পত্তি বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। পাশাপাশি লোকসভার আগে এভাবে তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। জ্যোতিপ্রিয় ইস্যুতে আগেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পাশে দাঁড়ালেন দলের আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং পার্থ ভৌমিক। সোমবার স্পষ্ট ভাষায় তারা জানিয়ে দিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে দুর্বল করতেই ইডি এবং সিবিআইয়ের এত তৎপরতা।

এদিন বিজেপির ছয় নেতা-মন্ত্রীর নাম নিয়ে গত কয়েকবছরে তাঁদের সম্পত্তি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন শশী পাঁজা বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, জ্যোতিরাদিত্য রাজে সিন্ধিয়া, রাজেশ্বর তেলি, জগদম্বিকা পাল এবং অধিকারী পরিবারের নাম করে প্রশ্ন করেন, এদের সম্পত্তি খতিয়ান নিয়ে কেন তদন্ত করা হচ্ছে না? তিনি আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে বিজেপি।

এই বিষয় বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, "প্রথমে আমি বিধায়ক ছিলাম তখন 48 হাজার টাকা করে বেতন পেতাম। সাংসদ হওয়ার পরে প্রথমে বেতন পেতাম এক লক্ষ 20 হাজার টাকা এখন সেটা বেড়ে এক লক্ষ 89 হাজার হয়েছে। তাই 112 মাসে আমি দু'কোটি টাকার উপরে বেতন পেয়েছি। কিন্তু তাও আমার নিজস্ব সম্পত্তি 70 লক্ষ টাকার উপরে নয়। তাই শশী পাঁজাকে বলব কথা বলার আগে ভালো করে জেনে নিন। আমরা বিরুদ্ধে অনেক মামলা করা আছে। আগে প্রমাণ দেখাক। ওরা এখন ক্ষেপে গিয়ে এইসব কথা বলছে।"

এই বিষয় বিজেপি মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেন, "সরাসরি আদালতে গিয়ে অভিযোগ করুন। তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে এখানে আমাদের কী বলার থাকতে পারে ? নিজেদের কৃতকর্ম থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য অযথা বিজেপিকে টানা হচ্ছে। ইডি, সিবিআই যেখানেই পৌঁছেছে সেখানেই তো তারা অপার সম্পত্তির হদিস পাচ্ছে। বাম জমানায় যাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল, যাদের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ ছিল, তাদেরকে তৃণমূল কাছে টেনে নিয়েছে ৷ তাদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি করেছে। তার ফল হিসেবে মানুষ এটা দেখতে পাচ্ছে। মানুষকে মূর্খ মনে করার কোনও কারণ নেই। গণতন্ত্রে শেষ কথা বলবে মানুষ।"

আরও পড়ুন: কালীপুজো থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নামার বার্তা তৃণমূল বিধায়কের, কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের

প্রসঙ্গত, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক অভিযোগ করেন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিকে দিয়ে লোকসভার আগে তৃণমূলকে দুর্বল করে দেওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, "জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেহেতু উত্তর 24 পরগনায় বিধায়ক এবং সেই জেলায় যেহেতু পাঁচটা লোকসভা রয়েছে তাই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে সেই পাঁচটা আসনে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ করাই লক্ষ। কিন্তু মানুষ সব জানে, সব বোঝে। তারা তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেবেন।"

আরও পড়ুন: 2024 সালে নতুন সরকার, পুজোর টিজারে কি মিশে গেল রাজনীতির রং !

তারা আরও বলেন যে বছরের পর বছর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করে চলেছে কিন্তু তার কোন ফল সামনে আসছে না এই বিষয়ে তৃণমূল বলে যে, তাপস পাল-সুলতান আহমেদ এরা মারা যাওয়ার আগে জেনে যেতে পারলেন না যে তারা দোষী নয়।

কলকাতা, 6 নভেম্বর: আবারও বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীর গত কয়েকবছরে অস্বাভাবিকভাবে সম্পত্তি বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। পাশাপাশি লোকসভার আগে এভাবে তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। জ্যোতিপ্রিয় ইস্যুতে আগেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পাশে দাঁড়ালেন দলের আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং পার্থ ভৌমিক। সোমবার স্পষ্ট ভাষায় তারা জানিয়ে দিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে দুর্বল করতেই ইডি এবং সিবিআইয়ের এত তৎপরতা।

এদিন বিজেপির ছয় নেতা-মন্ত্রীর নাম নিয়ে গত কয়েকবছরে তাঁদের সম্পত্তি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন শশী পাঁজা বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, জ্যোতিরাদিত্য রাজে সিন্ধিয়া, রাজেশ্বর তেলি, জগদম্বিকা পাল এবং অধিকারী পরিবারের নাম করে প্রশ্ন করেন, এদের সম্পত্তি খতিয়ান নিয়ে কেন তদন্ত করা হচ্ছে না? তিনি আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে বিজেপি।

এই বিষয় বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, "প্রথমে আমি বিধায়ক ছিলাম তখন 48 হাজার টাকা করে বেতন পেতাম। সাংসদ হওয়ার পরে প্রথমে বেতন পেতাম এক লক্ষ 20 হাজার টাকা এখন সেটা বেড়ে এক লক্ষ 89 হাজার হয়েছে। তাই 112 মাসে আমি দু'কোটি টাকার উপরে বেতন পেয়েছি। কিন্তু তাও আমার নিজস্ব সম্পত্তি 70 লক্ষ টাকার উপরে নয়। তাই শশী পাঁজাকে বলব কথা বলার আগে ভালো করে জেনে নিন। আমরা বিরুদ্ধে অনেক মামলা করা আছে। আগে প্রমাণ দেখাক। ওরা এখন ক্ষেপে গিয়ে এইসব কথা বলছে।"

এই বিষয় বিজেপি মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেন, "সরাসরি আদালতে গিয়ে অভিযোগ করুন। তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে এখানে আমাদের কী বলার থাকতে পারে ? নিজেদের কৃতকর্ম থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য অযথা বিজেপিকে টানা হচ্ছে। ইডি, সিবিআই যেখানেই পৌঁছেছে সেখানেই তো তারা অপার সম্পত্তির হদিস পাচ্ছে। বাম জমানায় যাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল, যাদের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ ছিল, তাদেরকে তৃণমূল কাছে টেনে নিয়েছে ৷ তাদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি করেছে। তার ফল হিসেবে মানুষ এটা দেখতে পাচ্ছে। মানুষকে মূর্খ মনে করার কোনও কারণ নেই। গণতন্ত্রে শেষ কথা বলবে মানুষ।"

আরও পড়ুন: কালীপুজো থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নামার বার্তা তৃণমূল বিধায়কের, কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের

প্রসঙ্গত, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক অভিযোগ করেন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিকে দিয়ে লোকসভার আগে তৃণমূলকে দুর্বল করে দেওয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, "জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেহেতু উত্তর 24 পরগনায় বিধায়ক এবং সেই জেলায় যেহেতু পাঁচটা লোকসভা রয়েছে তাই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে সেই পাঁচটা আসনে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ করাই লক্ষ। কিন্তু মানুষ সব জানে, সব বোঝে। তারা তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেবেন।"

আরও পড়ুন: 2024 সালে নতুন সরকার, পুজোর টিজারে কি মিশে গেল রাজনীতির রং !

তারা আরও বলেন যে বছরের পর বছর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করে চলেছে কিন্তু তার কোন ফল সামনে আসছে না এই বিষয়ে তৃণমূল বলে যে, তাপস পাল-সুলতান আহমেদ এরা মারা যাওয়ার আগে জেনে যেতে পারলেন না যে তারা দোষী নয়।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.