কলকাতা, 4 এপ্রিল: রামনবমীর মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে কেন অংশগ্রহণ ? আগেই এই প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুমিত সাউকে বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ ৷ তার পরই এই ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বৃদ্ধি করল বাংলার শাসক দল ৷ মঙ্গলবার এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷ সেখানে তিনি একাধিক ছবি তুলে ধরে সুমিতের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের যোগাযোগ থাকার বিষয়ে দাবি করেন ৷
একই সঙ্গে তৃণমূলের এই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তোলেন, "বিজেপি নেতারা কী বলবেন ? রামনবমীর পর উনি মুঙ্গেরে গিয়ে কী করছিলেন ? তাঁর হাতে রিভলভার দিল কে ? কারা জড়িত এই রিভলবার চক্রে ?’’ এর পর তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ খুঁজে খুঁজে এদের বের করে গ্রেফতার করুন ।"
এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন কুণাল ৷ তিনি বলেন, "শুভেন্দুরা হল প্রোমটার আর এরা হল অভিনেতা । তবে দেখতে হবে এর পিছনে আবার দিল্লির কোনও অ্যাসাইমেন্ট আছে কি না ?" মূলত, বাংলায় জমি তৈরি করার জন্যই এই ছেলেদেরকে পাঠাচ্ছে বিজেপি বলেই অভিযোগ করেন কুণাল ।
অন্যদিকে বাংলার বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি ছড়ানো নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি । এই নিয়ে কুণাল বলেন, "বিজেপি রাজভবনটাকে পার্টি অফিস ভেবেছিল জগদীপ ধনকরের সময় । উপরে রাজ্যপাল, নিচে ক্রিমিনাল- এই দিয়ে রাজনীতি করছে শুভেন্দু অধিকারীরা । সেটা এখন করতে পারছে না বলেই সমস্যা । কারণ বর্তমানে সিভি আনন্দ বোস জগদীপ ধনকরের মতো বিজেপির এজেন্টের মতো কাজ এখনও করেননি ।"
প্রসঙ্গত, রিভলবার হাতে রামনবমীর মিছিলে অংশ নেওয়ার ভিডিয়ো তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-নেত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন ৷ টুইট করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ পরে সাংবাদিক বৈঠকেও তিনি এই প্রশ্ন তোলেন ৷ যদিও সোমবার গেরুয়া শিবির দাবি করে যে তৃণমূলের দেওয়া ভিডিয়োটি হাওড়ার রামনবমীর মিছিলে নয় ৷
কিন্তু সুমিতের গ্রেফতারি ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে ৷ এই নিয়ে এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকেও সরব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর দাবি, বাইরে থেকে গুন্ডা এনে বিজেপি বাংলায় হিংসা ছড়িয়েছে ৷ রামের নাম বদনাম করেছে ৷
আরও পড়ুন: 'শিবপুরে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ভাইরাল তরুণ' গ্রেফতার মুঙ্গেরে ! সরব কুণাল