কলকাতা, 27 মে: নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর মতো আরও কয়েকটি অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এদিনের বৈঠকে যোগ দেননি । আর যা নিয়ে শনিবার বিজেপি-সিপিএম এবং কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ।
কুণাল ঘোষের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হেঁটেছেন সিপিএম শাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন-সহ অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীরা । তাই, মমতা যখন নীতি আয়াগের বৈঠকে যোগ দেবেন না বলার পরে সিপিআই, কংগ্রেস সমালোচনা করে তা কখনোই উচিত নয় বলে মনে করেন কুণাল । রাজ্যের বিজেপির সঙ্গে সিপিএম-কংগ্রেসের আতাঁত আছে বলেও মনে করেন তিনি । সিপিএম-কংগ্রেস বিজেপির ভাই বলেই মনে করেন তৃণমূলের এই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ।
শনিবার তিনি বলেন, "নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন না তো আগেই জানিয়েছিলেন । এখন দেখা যাচ্ছে সারা ভারতবর্ষে দশজনেরও বেশি বিজেপি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না । বয়কট করছেন । গতকাল পর্যন্ত বামেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে কথা বলছিল, কিন্তু আজকে দেখা যাচ্ছে বাম শাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ান সাহেব তিনি বয়কট করছেন । কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরাও বয়কট করছেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদের যে পথ দেখিয়েছেন, সেই পথেই তো হাঁটছেন বাকিরা ।"
এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নীতি আয়োগ বৈঠকে যাননি, সেই ব্যাখ্যা দেন তিনি কুণাল ৷ তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নীতি আয়োগের বৈঠকে যাবেন ? রাজ্যের এক লক্ষ আঠারো হাজার কোটি ন্যায্য টাকা পাওনা রয়েছে । বকেয়া আছে । আমাদের টাকা দিচ্ছে না । ওখানে মিটিং করে কী হবে ? মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখেছেন । সাংসদ হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যেখানে চিঠি লেখার দরকার, তা লিখেছেন । সমস্ত রকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে ।’’
আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের বৈঠক এড়ালেন মমতা-সহ 11 মুখ্যমন্ত্রী
তাঁর প্রশ্ন, ‘‘মিটিং করে কী হবে । মিটিং করে ছবি তুলে হবেটা কী ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ যা ভাবেন, আগামিদিনে গোটা ভারতের বিরোধীদের তা ভাবতে হয়, তা আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল ।"