কলকাতা, 9 নভেম্বর: দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) বেশ কয়েকটি বড় সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়েছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হল নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন । করোনার আগে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন (Anti CAA Protest) দেখেছিল দেশ । করোনার ভয় কাটতেই আবারও ইতিউতি ধার বাড়ছে আন্দোলনের (Once again CAA has come into the center stage of national politics) । পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারও নয়া রণকৌশল নিয়ে হাজির । বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে গুজরাতের দুটি জেলায় কার্যত সিএএ লাগুই করে দেওয়া হয়েছে । আনন্দ এবং মহসেনা এই দুটি জেলার বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মের মানুষরা নাগরিকত্ব পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
গুজরাতের এই ঘটনা স্বভাবতই প্রভাব ফেলেছে বাংলাতেও । বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেই দিয়েছেন, "সিএএ লাগুর এই শুরু।" কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নীশীথ প্রামানিক আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, "শুধু এ রাজ্য নয় গোটা দেশেই সিএএ লাগু হবে।" এমতাবস্থায় শুরু হতে চলা বিধানসভার অধিবেশনে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনার কথা ভাবছে রাজ্য ।
আরও পড়ুন: 'মায়ের কোল খালি হয়ে যাবে', কেশিয়াড়িতে ফের বিতর্কে দিলীপ ঘোষ !
প্রকাশ্যে এ নিয়ে সরকারি তরফে এখনও কোনও বিবৃতি আসেনি । তবে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay ) বলেছেন, "কয়েকটি বিলের পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর প্রস্তাব আনা হবে।" সেই নির্দিষ্ট বিষয়টি কী তা যদিও স্পষ্ট করে বলেননি তিনি । তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে সেটির সিএএ বিরোধী প্রস্তাব হওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি । এমনিতেই গুজরাত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বাংলার বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি । এর উপর শুভেন্দু বা নীশীথরা যেভাবে প্রকাশ্যে সিএএ লাগুর ব্যাপারে কথা বলছেন তার পালটা হিসেবে বিধানসভায় প্রস্তাব আনার কথা ভাবতেই পারে তৃণমূল । এই ধরনের বহু প্রস্তাব বিভিন্ন সময় বিধানসভায় পেশ হয়েছে । গত অধিবেশনেও সিবিআই থেকে শুরু করে ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রস্তাব এনেছিল সরকার পক্ষ । আর সে নিয়ে বিজেপির তরফে তুমুল বিরোধিতাও দেখেছিল বিধানসভা । এবারও সিএএ বিরোধী প্রস্তাব দিনের আলো দেখলে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা তাঁর তুমুল বিরোধিতা যে করবেন তা বুঝতে বিশেষ অসুবিধা হয় না ।