কলকাতা, 31 জুলাই: দলীয় বিধায়কদেরও এ বার শৃঙ্খলার বাঁধনে বাঁধতে চাইছে দল । আর তাই তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের তরফ থেকে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করা হল ।
অস্বস্তিতে ফেলেন হুমায়ুন কবীর: প্রসঙ্গত, চলতি অধিবেশনে ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের করা প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের শাসক দলকে ! তথ্য তলাশ করতে গিয়ে দল জানতে পেরেছিল, প্রশ্নোত্তর পর্বের দেওয়া প্রশ্ন পরিষদীয় দলের কাছে অ্যাপ্রুভ না করিয়েই দিয়ে দিয়েছিলেন বিধায়ক । তারপর এই নিয়ে কম জলখোলা হয়নি । এ বার সেই অস্বস্তি এড়াতে নিয়মের বেড়াজালে দলকে বাঁধার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় দল ।
শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন: এ দিন বিধানসভায় মণিপুর নিয়ে আলোচনার পর এই বিষয় নিয়ে বিধানসভায় আলোচনায় বসেন তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দল । ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও । ঠিক হয়, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করা হচ্ছে । এই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও বীরবাহা হাঁসদা ।
আরও পড়ুন: অপছন্দ হলেই শোকজ, হুমায়ুন কবীর নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ সুজনের
শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির কাজ: এই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি ঠিক করবে কোন বিধায়ক কী বলবেন, কতটা বলবেন, কখন আসবেন, কতক্ষণ থাকবেন । বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় বিধানসভা চলছে অথচ অনুপস্থিত বিধায়কেরা । ফলে অধ্যক্ষের উষ্মার মুখে পড়তে হয় পরিষদীয় দলকে । এ বার সমস্ত বিষয়টা সামলাবেন এই পাঁচ বিধায়কই । এমনকী প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশ্ন দেওয়ার আগে এঁদের কাছে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে ।
কেন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি? আসলে শাসক দল চাইছে না, হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে যে অস্বস্তি চলতি বিধানসভা অধিবেশনে তৈরি হয়েছিল, তা আর দ্বিতীয়বার তৈরি হোক । তাই এই ব্যবস্থা । এ দিন এই নিয়ে শাসকদলের এক বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলে তাদের বিধায়কদের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয় ৷ এ ক্ষেত্রে এই বিষয়টা কিছু নতুন নয় । পার্থ চট্টোপাধ্যায় থাকতে তিনি বিষয়টি দেখতেন । তবে এখন যেহেতু গোটা বিষয়টি আলাদা করে কারওকে দায়িত্ব নির্দিষ্ট করা নেই, তাই এ দিন বৈঠক করে সেটাই ঠিক করে নেওয়া হল ।