কলকাতা, 12 জুন: নতুন কৌশল তৃণমূলের । শেষ বেলাতেই মনোনয়ন । গোঁজ সামলাতে মোক্ষম চাল । একইসঙ্গে সব গোষ্ঠী মিলিয়ে একটা সহমতের ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা প্রস্তুতের প্রয়াস চলছে । এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য বড় কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল । তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির পাশাপাশি গ্রাম বাংলার মতামত নিয়ে মানুষের প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল । এক্ষেত্রে প্রার্থী হবে তারাই যাদের মানুষ পছন্দ করবে, যাদের মানুষের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে । যারা ভালো কাজ করেছেন ও করছেন ।
কিন্তু ভোট নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে অভিষেকের গ্রাম বাংলার মতামত নামে যে পঞ্চায়েত ভোটকেন্দ্রিক প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া । এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে 16 জুন কাকদ্বীপে অভিষেকের জনজোয়ার কর্মসূচির সমাপ্তির পরেই 17 জুন অর্থাৎ শনিবার নির্বাচনের ব্লু-প্রিন্ট রেডি করতে বসছে সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে তৈরি নির্বাচনী কমিটি । এই বৈঠকের পরই গোটা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে এমনটাই তৃণমূল সূত্রে খবর ।
রাজ্যের এক শীর্ষ তৃণমূল নেতার কথায়, "দলের রাজ্য সভাপতি তথা নির্বাচন কমিটির প্রধান সুব্রত বক্সি আগামী 17 জুন বৈঠক ডেকেছেন । এই বৈঠকের পর প্রার্থীদের নাম দলনেত্রীর কাছে অনুমোদন করে জেলায় জেলায় পাঠানো হবে । মনোনয়নের শেষ বেলাতেই শাসকদলের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন জমা দেবেন ।"
যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে শাসকদলের তরফ থেকে এমনটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এতেও যে পুরোপুরিভাবে গোঁজ প্রার্থী দেওয়া আটকানো যাবে এমনটা নয় । কারণ ইতিমধ্যেই অনেকেই তাদের মতো করে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নের কাগজ তুলে রেখেছেন ৷ সেক্ষেত্রে শেষ বেলায় যদি দলের তরফ থেকে প্রতীক না দেওয়া হয় তারা নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে পারে । কিন্তু এসব করলে যে পুরোপুরিভাবেই গোঁজ প্রার্থী দাঁড় করানো আটকে দেওয়া যাবে এমনটা মনে করছে না ওয়াকিবহাল মহল ।
বরং তাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । খুব তাৎপর্যপূর্ণভাবে মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই এবার দেখা যাচ্ছে শাসকদলের তুলনায় প্রতিদিনই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে বিরোধী পক্ষ । কিন্তু যত সময় যাচ্ছে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে এসব আসলে শাসক দলের নির্বাচনী কৌশলেরই অংশ ।