ETV Bharat / state

WB Recruitment Scam: অবশেষে পদক্ষেপ ! কুন্তল-শান্তনুকে বহিষ্কার করল তৃণমূল

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের (WB Recruitment Scam) জের ৷ কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC Expels Kuntal Ghosh and Santanu Banerjee) ৷ দুর্নীতি ইস্যুতে দেওয়া হল 'জিরো টলারেন্স' নীতির বার্তা ৷

TMC Expels Kuntal Ghosh and Santanu Banerjee due to WB Recruitment Scam
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Mar 14, 2023, 5:43 PM IST

কলকাতা, 14 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (WB Recruitment Scam) ধৃত কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে অবশেষে পদক্ষেপ করল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ দু'জনকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হল (TMC Expels Kuntal Ghosh and Santanu Banerjee) ৷ মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা ঘোষণা করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী তথা দলের প্রথম সারির নেতা-নেত্রী ব্রাত্য বসু ও শশী পাঁজা ৷

গত কয়েকদিন ধরেই সংবাদ শিরোনামে রয়েছেন শান্তনু ৷ রোজই তাঁর নতুন নতুন সম্পত্তির হদিশ মিলছে ৷ এখনও পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুসারে সস্ত্রীক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সম্পত্তির পরিমাণ অন্তত 20 কোটি টাকা ! পরিমাণটা আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ অন্যদিকে, শান্তনুর আগে থেকেই খবরে রয়েছেন কুণাল ৷ তাঁর ব্য়াংকের লেনদেন, রুপোলি জগতের সঙ্গে যোগাযোগ দেখে চোখ কপালে উঠেছে আমবাঙালির ৷ এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছিল, এত কিছুর পরও কেন এই দু'জনকে বহিষ্কার করছে না রাজ্যের শাসকদল ? অবশেষে সেই পদক্ষেপ করা হল ৷

মঙ্গলবার শশী পাঁজা জানান, কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দলের সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে ৷ কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে এবং আদালতের বিচারে তাঁরা যদি ভবিষ্যতে নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে দল তাঁদের বিষয়ে পুনরায় চিন্তাভাবনা করবে ৷ শশী বলেন, দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস কোনও আপস করবে না ৷ এই বিষয়ে দল 'জিরো টলারেন্স' নীতি নিয়ে চলে ৷ এদিকে, কুন্তল ও শান্তনুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর ৷ তাই দলের পক্ষে তাঁদের সদস্যপদ বহাল রাখা সম্ভব নয় ৷

শশী আরও বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত যে নগদ উদ্ধার হয়েছে, তা বিভিন্ন ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তি থেকে পাওয়া গিয়েছে ৷ এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই ৷ পাশাপাশি, বিপুল অর্থের লেনদেন, প্রচুর স্থাবর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে ৷ কিন্তু, সেসবের দায় দল নেবে না ৷ কারণ, সেগুলি দলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে রয়েছে ৷ ঠিক এই কারণেই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ৷ এবার একই কারণে কুন্তল-শান্তনু জুটিকেও বহিষ্কার করা হচ্ছে ৷ শশী জানান, দল চায় নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক ৷

আরও পড়ুন: অন্তত 20 কোটির মালিক শান্তনু ও তাঁর স্ত্রী ! সম্পত্তির বহর দেখে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের

প্রশ্ন উঠছে, যে যে কারণে কুন্তল ও শান্তনুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল, সেই একই কারণগুলি তো অনুব্রত মণ্ডল ও মানিক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রেও খাটে ৷ তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কেন কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে না ? এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্রাত্য বসু বলেন, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত ৷ তাঁদের এ নিয়ে কিছু বলার নেই ৷

কলকাতা, 14 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (WB Recruitment Scam) ধৃত কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে অবশেষে পদক্ষেপ করল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ দু'জনকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হল (TMC Expels Kuntal Ghosh and Santanu Banerjee) ৷ মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা ঘোষণা করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী তথা দলের প্রথম সারির নেতা-নেত্রী ব্রাত্য বসু ও শশী পাঁজা ৷

গত কয়েকদিন ধরেই সংবাদ শিরোনামে রয়েছেন শান্তনু ৷ রোজই তাঁর নতুন নতুন সম্পত্তির হদিশ মিলছে ৷ এখনও পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুসারে সস্ত্রীক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সম্পত্তির পরিমাণ অন্তত 20 কোটি টাকা ! পরিমাণটা আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ অন্যদিকে, শান্তনুর আগে থেকেই খবরে রয়েছেন কুণাল ৷ তাঁর ব্য়াংকের লেনদেন, রুপোলি জগতের সঙ্গে যোগাযোগ দেখে চোখ কপালে উঠেছে আমবাঙালির ৷ এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছিল, এত কিছুর পরও কেন এই দু'জনকে বহিষ্কার করছে না রাজ্যের শাসকদল ? অবশেষে সেই পদক্ষেপ করা হল ৷

মঙ্গলবার শশী পাঁজা জানান, কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দলের সমস্ত পদ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে ৷ কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে এবং আদালতের বিচারে তাঁরা যদি ভবিষ্যতে নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে দল তাঁদের বিষয়ে পুনরায় চিন্তাভাবনা করবে ৷ শশী বলেন, দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস কোনও আপস করবে না ৷ এই বিষয়ে দল 'জিরো টলারেন্স' নীতি নিয়ে চলে ৷ এদিকে, কুন্তল ও শান্তনুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর ৷ তাই দলের পক্ষে তাঁদের সদস্যপদ বহাল রাখা সম্ভব নয় ৷

শশী আরও বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত যে নগদ উদ্ধার হয়েছে, তা বিভিন্ন ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তি থেকে পাওয়া গিয়েছে ৷ এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই ৷ পাশাপাশি, বিপুল অর্থের লেনদেন, প্রচুর স্থাবর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে ৷ কিন্তু, সেসবের দায় দল নেবে না ৷ কারণ, সেগুলি দলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে রয়েছে ৷ ঠিক এই কারণেই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ৷ এবার একই কারণে কুন্তল-শান্তনু জুটিকেও বহিষ্কার করা হচ্ছে ৷ শশী জানান, দল চায় নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক ৷

আরও পড়ুন: অন্তত 20 কোটির মালিক শান্তনু ও তাঁর স্ত্রী ! সম্পত্তির বহর দেখে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের

প্রশ্ন উঠছে, যে যে কারণে কুন্তল ও শান্তনুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল, সেই একই কারণগুলি তো অনুব্রত মণ্ডল ও মানিক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রেও খাটে ৷ তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কেন কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে না ? এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্রাত্য বসু বলেন, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত ৷ তাঁদের এ নিয়ে কিছু বলার নেই ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.