কলকাতা, 14 জানুয়ারি: বাংলায় জোট করে সফল হয়নি বাম-কংগ্রেস । এর পর নানা কর্মসূচিতে এক সঙ্গে পা মেলালেও ভোটে আলাদা লড়াই করার পক্ষেই গিয়েছে রাজ্য সিপিএম ও প্রদেশ কংগ্রেস । তবে এবার একলা চলার কট্টর সমর্থক মানিক সরকারের (Tripura Chief Minister Manik Sarkar) রাজ্যে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে (Tripura Assembly Election) জোটের পথে বাম ও কংগ্রেস । আর বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের হাত মেলানো নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি ।
তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিমের আক্ষেপ: তিনি বলেন, "ভাগ্যিস কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করেছিলাম আমরা।" ভোট শেষ জোট শেষ 21- র বিধানসভা নির্বাচনে জোটের ভরাডুবির পর এই কথাই শোনা গিয়েছিল সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির (CPIM General Secretary Sitaram Yechury) মুখে । কংগ্রেসও পালটা ভোটে একলা চলার পক্ষে হাঁটেন । তবে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী শেষ পর্যন্ত জোট অটুট রাখার চেষ্টা করে যান । জোট বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত ত্রিপুরা সিপিএম ।
কংগ্রেসকে তোপ দাগেন ফিরহাদ: সম্প্রতি সেই ত্রিপুরায় সীতারাম ইয়েচুরি ও সে রাজ্যের প্রদেশ নেতৃত্ব একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে জোটের বার্তা দিয়েছেন । সিপিএমের (CPIM) হাত ধরা নিয়ে কংগ্রেসকে এদিন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ফিরহাদ আক্রমণ শানিয়েছেন । এদিন ফিরহাদ বলেন, "ভাগ্যিস আমরা কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছি । না-হলে যে সিপিএম আমাদের এত কংগ্রেস কর্মীকে খুন করল, আর তাদের গিয়েই বলছে আমি পথ চিনি না আমার হাত ধরে তুমি নিয়ে চলো । এটা এখানে ও ত্রিপুরা দু'জায়গায় যে সমস্ত কংগ্রেস কর্মী প্রাণ দিয়েছেন তাদের পক্ষে অসম্মান ও পরিবারের পক্ষে বড় যন্ত্রণা।"
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) ভারত জোড়ো কর্মসূচিতে সেলিমকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছেন ৷ সে বিষয়ে এদিন ফিরহাদ (Firhad Hakim) বলেন, "রাজ্যে অস্তিত্ব নেই কংগ্রেসের তাই ওরা এখন সিপিএম হাত ধরে বাঁচতে চাইছে । এটা খুবই দুঃখের । আমি কংগ্রেস করতাম এক সময় এটা দুঃখের । এ রাজ্যেও 2016 সিপিএমের হাত ধরেছিল । কিছু করতে পারেনি ।" উদাহরণ হিসেবে তিনি টেনে আনেন সাই বাড়ি হত্যাকাণ্ডের কথা । তিনি বলেন, "ভোট দেওয়ার অপরাধে কংগ্রেস কর্মীর হাত কেটে দিল । সেই পরিবারগুলি কী ভাবছে মনে করুন । তাদের ঘরের ছেলেটা প্রাণ দিল সিপিএমের হাতে । তাদের মনের অবস্থা কী ! তারা এখন ভাবছেন আমার ছেলে কংগ্রেস করে অন্যায় করেছেন ।"
জোট নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির: বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, "আসলে বিরোধীরা নিজেরাই দিক ভ্রান্ত । ত্রিপুরায় এক চেহারা এখানে আর এক । আসামে সিএএ সমর্থন করে সিপিএম । নীতি হীনতায় চূড়ান্ত জায়গায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি । আসলে হতাশা । কেউ কেউ শুধু হেঁটেই যাচ্ছেন কিলোমিটারের পর কিলোমিটার । এত দিনে হিউ এন সং চিন থেকে ভারতে চলে আসত । দাদু দেশ ভেঙে টুকরো করল । নাতি নাকি ঘুরে ঘুরে দেশ জুড়বে ৷"
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বিজেপি বিরোধী জোটের পক্ষে সওয়াল সিপিএমের