কলকাতা, 7 নভেম্বর : সাধারণভাবে গাড়িটি দেখে বোঝার উপায় ছিল না । কিন্তু গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, কলকাতায় ঢুকছে পার্টি ড্রাগ । শুরু হয় গাড়ির তল্লাশি । আনন্দপুর চৌভাগা রোডে WB-06 G 3981 নম্বরের গাড়িটিতে তল্লাশি চালাতেই গোয়েন্দাদের চোখ চড়কগাছ । যা খবর ছিল, তার থেকে আরও বেশি মাদক আনা হয়েছে কলকাতায় ৷ এক লাখ পিস ইয়াবা । যার বাজার মূল্য এক কোটি টাকা । ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) ।
কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সূত্রে খবর, গতকাল সকাল দশটা নাগাদ তল্লাশি চালানো হয় গাড়িটিতে । নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে মাদুরদহ-চৌবাগা রোডে থামানো হয় গাড়িটি । সেই সময় গাড়িতে ছিল উত্তর 24 পরগনার তিন মাদক পাচারকারী । তাদের নাম মেহের আলি, সিরাজুল শেখ এবং ইন্দ্রজিৎ দাস । গাড়ি চালাচ্ছিল ইন্দ্রজিৎ । পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রটির মাথা মেহের আলি । প্রথমে তাদের আটক করে পুলিশ । তারপর তল্লাশি চালানো হয় গাড়িটিতে । আর তাতেই মেলে 50টি প্যাকেট । এই প্যাকেটেই ছিল ইয়াবা ।
সাধারণভাবে থাইল্যান্ড এবং মায়ানমার থেকে আসে পার্টি ড্রাগ ইয়াবা । সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা বলছে মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি দিয়ে কলকাতায় আসছে পার্টি ড্রাগ । কখনও তা ব্যবহার করা হচ্ছে এই শহরেই । কখনও আবার কাজ চলে যাচ্ছে পড়শি দেশ বাংলাদেশে । এই চক্রটি কি উদ্দেশ্যে ওই ইয়াবা কলকাতা এনেছিল খতিয়ে দেখছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
ইয়াবার উৎপত্তিস্থান থাইল্যান্ড । বাংলাদেশের বহু যুবক এই ট্যাবলেটের নেশায় পড়ে প্রায় সর্বস্বান্ত । সেদিক থেকে কলকাতাতেও আসছে এই মাদক । ব্যবহার হচ্ছে পার্টি ড্রাগ হিসেবে । পুলিশ জানাচ্ছে, এই ট্যাবলেট মূলত তৈরি করা হয় মেথঅ্যাম্ফিটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রণে । ইদানিং নাকি আবার এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে হেরোইন । মূলত এটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয় । কখনও আবার এটি ব্রাউন সুগার কিংবা হেরোইনের ইনহেল করা হয় । থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারে । সেখান থেকেই ঢুকছে বাংলাদেশ । তারপর সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছে কলকাতায় । সম্প্রতি কলকাতায় পার্টি ড্রাগ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ইয়াবা । ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ।