ETV Bharat / state

ক্লাস টুয়েলভের বাংলা বইয়ে একাধিক ভুল, ছাপার ত্রুটি বলে স্বীকার সিলেবাস কমিটির

author img

By

Published : Oct 8, 2020, 7:13 AM IST

ক্লাস টুয়েলভের বাংলা পাঠ্যপুস্তকে একাধিক ভুল নজরে এসেছে । তবে এসব অধিকাংশই ছাপার ভুল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার ।

Shikkha Daptar
Shikkha Daptar

কলকাতা, 8 অক্টোবর : ক্লাস টুয়েলভের বাংলা পাঠ্যপুস্তকে একাধিক ভুল । কোথাও লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'অতসী মামী'- 'অসতীমামী' হয়ে গেছেন । আবার কোথাও সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'ভূতের বেগার' 'ভূতের ব্যাগার' হয়ে গেছে । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রূপ-নারানের কূলে কবিতার নামে এক বানান ও কবিতার মধ্যে আর এক বানান । এইসব ভুল নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে । তবে এসব অধিকাংশই ছাপার ভুল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার । তবে রূপ-নারানের কূলে কবিতায় দু'রকম বানান নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের বাংলা সাহিত্য ভালো করে জানার পরামর্শও দেন তিনি ।

প্রাক প্রাথমিক থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত স্কুলশিক্ষা দপ্তরের তরফে পড়ুয়াদের সব বিষয়ের বই বিনামূল্যে দেওয়া হয় । ইলেভেন ও টুয়েলভ ক্লাসে সরকারের তরফে শুধুমাত্র বাংলা ও ইংরাজি বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হয় । চলতি বছরে লকডাউনের মধ্যেই বাংলা ও ইংরাজির পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেক স্কুলে । স্কুল বন্ধ থাকলেও বইগুলি পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় ।

2017 সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে বাংলায় পাঠ্যপুস্তক হিসেবে সাহিত্যচর্চা বইটি চালু করা হয় । উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বইটি প্রকাশ করে । এই বইটির 2020 সালের সংস্করণে সম্প্রতি একাধিক ভুল নজরে এসেছে ।

  • বইয়ের শেষের দিকে কবি, লেখক ও নাট্যকার পরিচিতি অংশে । 156 পৃষ্ঠায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য রচনার উল্লেখে তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থগুলির নামে লেখা হয়েছে ‘অসতীমামী’। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অসতীমামী’ নামে কোনও গল্পগ্রন্থ না থাকলেও 'অতসী মামী' নামে একটি গল্পগ্রন্থ রয়েছে ।
  • আবার পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ অধ্যায়ে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখক পরিচিতি অংশেও ভুল নজরে আসে । তাঁর লেখা সৃষ্টির নাম লেখা হয়েছে ‘ভূতের ব্যাগার’ । অথচ, তা আসলে 'ভূতের বেগার' ।
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা রূপ-নারানের কূলে কবিতায় দু’রকম বানান । কবিতার শিরোনামে হাইফেন নেই, আবার কবিতার মধ্যে "রূপ-নারানে" হাইফেন কেন আছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ।

তবে ভুলগুলি আগামী বছরের সংস্করণে সংশোধনও করে নেওয়া হয়েছে বলে জানান সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান । বইটি প্রস্তুত করার দায়িত্বে বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার । তবে এগুলি নিছকই ছাপার ভুল বলে দাবি তাঁর । তিনি বলেন, "একটা দু'টো ছাপার ভুল হতেই পারে । এগুলি মূল পাঠ্যের অংশই নয় । এগুলি লেখক সম্পর্কিত তথ্য । ছাপার ভুল । ঠিক করে দেওয়া হয়েছে পরের সংস্করণে । একটা হাস্যকর অভিযোগ । এত বড় বইয়ে কয়েকটি ছাপার ভুল থাকতেই পারে । এটা নিয়ে এত হইহুল্লোড় কী আছে ?"

তবে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় 'হাইফেন' নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অভীক মজুমদার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দু'রকম বানান ব্যবহারটা কোনও ভুল নয় । যাঁরা বলছেন তাঁরা পড়াশোনা করেন না । মূল লেখায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাইফেন ব্যবহার করেছেন । নামকরণ পরে হওয়ায় সেখানে হাইফেন দেওয়া হয়নি । শিক্ষকরাই এর অর্থ বোঝাবেন । যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা রবীন্দ্রনাথের শেষ লেখা বলে বইটা যেন একটু দেখে নেন । রবীন্দ্রনাথ হাইফেন দিয়েছেন বলেই কবিতায় আছে । রবীন্দ্রনাথ 1, 2,3, 4 সংখ্যায় কবিতাগুলি বের করেছিলেন । পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর "রূপনারানের কূলে" নাম দিয়ে এটা প্রকাশিত হয় । সেখানে 'রূপনারানে'র মধ্যে কোনও হাইফেন দেওয়া হয়নি । আমরা ইচ্ছে করেই "রূপনারানের কূলে" নামটায় হাইফেন ব্যবহার করিনি । কারণ, নামটা দেওয়া হয়েছে ।

কলকাতা, 8 অক্টোবর : ক্লাস টুয়েলভের বাংলা পাঠ্যপুস্তকে একাধিক ভুল । কোথাও লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'অতসী মামী'- 'অসতীমামী' হয়ে গেছেন । আবার কোথাও সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'ভূতের বেগার' 'ভূতের ব্যাগার' হয়ে গেছে । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রূপ-নারানের কূলে কবিতার নামে এক বানান ও কবিতার মধ্যে আর এক বানান । এইসব ভুল নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে । তবে এসব অধিকাংশই ছাপার ভুল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার । তবে রূপ-নারানের কূলে কবিতায় দু'রকম বানান নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের বাংলা সাহিত্য ভালো করে জানার পরামর্শও দেন তিনি ।

প্রাক প্রাথমিক থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত স্কুলশিক্ষা দপ্তরের তরফে পড়ুয়াদের সব বিষয়ের বই বিনামূল্যে দেওয়া হয় । ইলেভেন ও টুয়েলভ ক্লাসে সরকারের তরফে শুধুমাত্র বাংলা ও ইংরাজি বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হয় । চলতি বছরে লকডাউনের মধ্যেই বাংলা ও ইংরাজির পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেক স্কুলে । স্কুল বন্ধ থাকলেও বইগুলি পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় ।

2017 সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে বাংলায় পাঠ্যপুস্তক হিসেবে সাহিত্যচর্চা বইটি চালু করা হয় । উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বইটি প্রকাশ করে । এই বইটির 2020 সালের সংস্করণে সম্প্রতি একাধিক ভুল নজরে এসেছে ।

  • বইয়ের শেষের দিকে কবি, লেখক ও নাট্যকার পরিচিতি অংশে । 156 পৃষ্ঠায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য রচনার উল্লেখে তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থগুলির নামে লেখা হয়েছে ‘অসতীমামী’। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অসতীমামী’ নামে কোনও গল্পগ্রন্থ না থাকলেও 'অতসী মামী' নামে একটি গল্পগ্রন্থ রয়েছে ।
  • আবার পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ অধ্যায়ে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখক পরিচিতি অংশেও ভুল নজরে আসে । তাঁর লেখা সৃষ্টির নাম লেখা হয়েছে ‘ভূতের ব্যাগার’ । অথচ, তা আসলে 'ভূতের বেগার' ।
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা রূপ-নারানের কূলে কবিতায় দু’রকম বানান । কবিতার শিরোনামে হাইফেন নেই, আবার কবিতার মধ্যে "রূপ-নারানে" হাইফেন কেন আছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ।

তবে ভুলগুলি আগামী বছরের সংস্করণে সংশোধনও করে নেওয়া হয়েছে বলে জানান সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান । বইটি প্রস্তুত করার দায়িত্বে বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার । তবে এগুলি নিছকই ছাপার ভুল বলে দাবি তাঁর । তিনি বলেন, "একটা দু'টো ছাপার ভুল হতেই পারে । এগুলি মূল পাঠ্যের অংশই নয় । এগুলি লেখক সম্পর্কিত তথ্য । ছাপার ভুল । ঠিক করে দেওয়া হয়েছে পরের সংস্করণে । একটা হাস্যকর অভিযোগ । এত বড় বইয়ে কয়েকটি ছাপার ভুল থাকতেই পারে । এটা নিয়ে এত হইহুল্লোড় কী আছে ?"

তবে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় 'হাইফেন' নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অভীক মজুমদার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দু'রকম বানান ব্যবহারটা কোনও ভুল নয় । যাঁরা বলছেন তাঁরা পড়াশোনা করেন না । মূল লেখায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাইফেন ব্যবহার করেছেন । নামকরণ পরে হওয়ায় সেখানে হাইফেন দেওয়া হয়নি । শিক্ষকরাই এর অর্থ বোঝাবেন । যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা রবীন্দ্রনাথের শেষ লেখা বলে বইটা যেন একটু দেখে নেন । রবীন্দ্রনাথ হাইফেন দিয়েছেন বলেই কবিতায় আছে । রবীন্দ্রনাথ 1, 2,3, 4 সংখ্যায় কবিতাগুলি বের করেছিলেন । পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর "রূপনারানের কূলে" নাম দিয়ে এটা প্রকাশিত হয় । সেখানে 'রূপনারানে'র মধ্যে কোনও হাইফেন দেওয়া হয়নি । আমরা ইচ্ছে করেই "রূপনারানের কূলে" নামটায় হাইফেন ব্যবহার করিনি । কারণ, নামটা দেওয়া হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.