ETV Bharat / state

"আমরা প্রত্যেকেই বিবর্ণ, আশা করি পরের বছর রং খেলতে পারব"

author img

By

Published : Mar 21, 2019, 9:58 PM IST

রং খেলার দিনে ক্ষোভ প্রকাশ SSC প্রার্থীদের।

SSC প্রার্থী

কলকাতা, 21 মার্চ : আজ দোল। এই রঙের উৎসবে বেরং অনশনরত SSC চাকরিপ্রার্থীদের জীবন। তবে, হাল ছাড়েননি তাঁরা। চাকরি পেয়ে পরের বছর প্রিয়জনদের সঙ্গে দোল খেলার আশা করছেন অনশনকারীরা।

আজ ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভের ওয়েটিং লিস্টে থাকা SSC প্রার্থীদের অনশনের ২২তম দিন। যখন সবাই রং খেলায় মত্ত, তখন আন্দোলনের জন্য রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী অর্পিতা দাস বলেন, "সবাই রং খেললেও আমরা মনে করি, আমাদের জীবনে রঙের কোনও প্রভাব নেই। আমরা প্রত্যেকে খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। একটা চাকরির জন্য ছ'বছরের লড়াই। যেটা আজকে অনশন হয়ে রাজপথে নেমেছে। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করছি আমাদের জীবনের রং বলে কিছু নেই। আমরা প্রত্যেকেই বিবর্ণ।"

অর্পিতা দাসের পাশাপাশি গতকাল অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও এক প্রার্থী অনিন্দিতা জানা। তিনি বলেন, "আমাদের জীবনের রং তো অনেক দিন আগেই শেষ হয়ে গেছে। প্রায় ছ'বছর তো কোনও নিয়োগ নেই। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা অনশন শুরু করেছিলাম। ভেবেছিলাম, দোলের আগে নিশ্চয়ই কোনও উত্তর পেয়ে যাব। এবছর নতুন করে রং খেলব। কিন্তু সে আশা আমাদের পূরণ হল না। আশা করি সামনের বছর সবাই একসঙ্গে রং খেলতে পারব।"

অন্য এক প্রার্থী শর্মিলা মিত্র বলেন, "২২ দিন হল আমরা এখানে রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে বসে রয়েছি। প্রায় ৭০ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। যাঁরা এমপ‍্যানেলড তাঁরাই আজকে শুধু রঙটাকে উপলব্ধি করতে পারছেন। ফেসবুক টুইটারে তাদেরকে দেখে একটু হলেও হিংসা হচ্ছে। তাঁরা রঙ খেলছেন, আর আমরা বর্ণহীনভাবে ফ্যাকাসে অবস্থায় বসে রয়েছি।"

অনশনের ২২ তম দিনের পরিস্থিতি নিয়ে অর্পিতা দাস বলেন, "আজকে ২২ দিন। আমরা অনেকেই অসুস্থ। সকাল থেকে চারজন অসুস্থ হয়ে গেছেন। বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থা, বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীরা, বিভিন্ন সংগঠন আমাদের সমর্থন করছেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমাধান চাইছি।"

কলকাতা, 21 মার্চ : আজ দোল। এই রঙের উৎসবে বেরং অনশনরত SSC চাকরিপ্রার্থীদের জীবন। তবে, হাল ছাড়েননি তাঁরা। চাকরি পেয়ে পরের বছর প্রিয়জনদের সঙ্গে দোল খেলার আশা করছেন অনশনকারীরা।

আজ ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভের ওয়েটিং লিস্টে থাকা SSC প্রার্থীদের অনশনের ২২তম দিন। যখন সবাই রং খেলায় মত্ত, তখন আন্দোলনের জন্য রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী অর্পিতা দাস বলেন, "সবাই রং খেললেও আমরা মনে করি, আমাদের জীবনে রঙের কোনও প্রভাব নেই। আমরা প্রত্যেকে খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। একটা চাকরির জন্য ছ'বছরের লড়াই। যেটা আজকে অনশন হয়ে রাজপথে নেমেছে। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করছি আমাদের জীবনের রং বলে কিছু নেই। আমরা প্রত্যেকেই বিবর্ণ।"

অর্পিতা দাসের পাশাপাশি গতকাল অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও এক প্রার্থী অনিন্দিতা জানা। তিনি বলেন, "আমাদের জীবনের রং তো অনেক দিন আগেই শেষ হয়ে গেছে। প্রায় ছ'বছর তো কোনও নিয়োগ নেই। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা অনশন শুরু করেছিলাম। ভেবেছিলাম, দোলের আগে নিশ্চয়ই কোনও উত্তর পেয়ে যাব। এবছর নতুন করে রং খেলব। কিন্তু সে আশা আমাদের পূরণ হল না। আশা করি সামনের বছর সবাই একসঙ্গে রং খেলতে পারব।"

অন্য এক প্রার্থী শর্মিলা মিত্র বলেন, "২২ দিন হল আমরা এখানে রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে বসে রয়েছি। প্রায় ৭০ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। যাঁরা এমপ‍্যানেলড তাঁরাই আজকে শুধু রঙটাকে উপলব্ধি করতে পারছেন। ফেসবুক টুইটারে তাদেরকে দেখে একটু হলেও হিংসা হচ্ছে। তাঁরা রঙ খেলছেন, আর আমরা বর্ণহীনভাবে ফ্যাকাসে অবস্থায় বসে রয়েছি।"

অনশনের ২২ তম দিনের পরিস্থিতি নিয়ে অর্পিতা দাস বলেন, "আজকে ২২ দিন। আমরা অনেকেই অসুস্থ। সকাল থেকে চারজন অসুস্থ হয়ে গেছেন। বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থা, বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীরা, বিভিন্ন সংগঠন আমাদের সমর্থন করছেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমাধান চাইছি।"

Intro:কলকাতা, ২১ মার্চ: আজ দোল। রঙের উৎসব। আর এই রঙের উৎসবে বেরঙ অনশনরত SSC চাকরিপ্রার্থীদের জীবন। তবে, হাল ছাড়েননি তাঁরা। চাকরি পেয়ে পরের বছর প্রিয়জনদের সঙ্গে দোল খেলার আশা দেখছেন অনশনকারীরা। রং খেলা নয়, চাকরি পাওয়াটাই তাঁদের মূল লক্ষ্য। তার জন্য রঙের উৎসবে বর্ণহীন হয়ে থাকতেও আপত্তি নেই তাঁদের।


Body:আজ ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভের ওয়েটিং লিস্টে থাকা SSC প্রার্থীদের অনশনের ২২তম দিন। আজ বাঙালির দোলও। এই উৎসবের দিনেও প্রখর রোদে রং খেলা তো দূরস্থান, ছাতা মাথায় দিয়ে, একটুকরো ছাউনির তলায় মাথা গুজে রোদের দাবদাহ থেকে বাঁচাটাই তাঁদের কাছে বড় হয়ে উঠেছে‌। এই উৎসবের দিনে যখন সবাই রং খেলায় মত্ত তখন নিজেদের অধিকার নিয়ে রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। এই নিয়ে আন্দোলনের অন‍্যতম নেত্রী অর্পিতা দাস বলেন, " সবাই রং খেললেও আমরা মনে করি, আমাদের জীবনে রঙের কোনও প্রভাব নেই। আমরা প্রত্যেকে খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। একটা চাকরির জন্য ছয় বছরের লড়াই। যেটা আজকে অনশনরূপে রাজপথে নেমে এসেছে। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করছি আমাদের জীবনের রং বলে কিছু নেই। আমরা প্রত্যেকেই বিবর্ণ।"

গতকাল অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন অর্পিতা দাস। আর আজ দোল। অসুস্থতা ও উৎসব দুই মিলিয়ে আজ পরিবার পরিজনের কথা কি মনে পড়ছে? অর্পিতা দাস বলেন, "অবশ‍্যই, ফ্যামিলিকে তো মিস করছিই। কেননা আমার বাড়ি অনেকটাই দূর, উত্তর দিনাজপুর। বাবা মাও আমাকে খুব মিস করছে। কিন্তু, এই মিস করার মাঝেও এই কথাটা বলব যে, আমরা তো প্রত্যেকে এখানে চাকরি পেতে এসেছি, ছয় বছরের একটা প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে রাজপথে নেমে এসেছি। আশা করব আমরা আগামীতে সেই জায়গায় সাফল্য লাভ করব এবং এখান থেকে জয়ী হয়ে ফিরব।"

গতকাল অর্পিতা দাসের পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে পড়া আরও এক প্রার্থী অনিন্দিতা জানা বলেন, " আমাদের জীবনের রং তো অনেক দিন আগেই শেষ হয়ে গেছে। প্রায় ছয় বছর তো কোনও নিয়োগ নেই। সেই হিসেবে আমাদের জীবনের রঙটা অধিকাংশ শেষ হয়ে গেছে। ২৮ তারিখ থেকে আমরা শুরু করেছিলাম অনশনের, আমরা ভেবেছিলাম, দলের আগে নিশ্চয়ই কোনও উত্তর পেয়ে যাব। এ বছর নতুন করে রং খেলব। কিন্তু সে আশা আমাদের পূরণ হল না। আর পরিস্থিতি যেভাবে কঠিন হয়ে যাচ্ছে, রোদ, এই রোদটা আমাদের কাছে খুবই চরম। অসহায় হয়ে পড়ছি আমরা। তাই নতুন করে এই হোলি, রং, চারিপাশে দেখছি মানুষ খুবই আনন্দে রয়েছেন। ওদেরকে দেখে ভালো লাগছে অবশ্যই, কিন্তু নিজে রঙ মাখছি না এটা খুবই কষ্ট। আশা করি, পরের বছর আমরা সবাই রং খেলতে পারব। বাড়ির কথা তো খুবই মনে পড়ছে। পরিবারের সবাই রং খেলছে। দেখছি ফোনে, ফেসবুকে। কষ্টের মধ্যে তো রয়েছি। কিন্তু, অবশ্যই আশা করব সামনের বছর সবাই রং একসাথে খেলতে পারব।"

শর্মিলা মিত্র বলেন, " সাত বছর আগেই রঙটা বর্ণহীন হয়ে যাচ্ছিল। আজ তার পূর্ণ প্রমাণ। যদি এই সরকারের সহমত হয় তাহলে আমাদের জীবনে আবার ফিরে আসবে রং। ঐদিক থেকে ওনার কাছে বিনীত অনুরোধ উনি যেন ফিরিয়ে দেন। আজকে ২২ দিন হল আমরা এখানে রোদ, বৃষ্টি, ঝড় সমস্ত প্রতিকূলতা, দুর্যোগকে উপেক্ষা করে বসে রয়েছি। আজ পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন অসুস্থ হয়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর। গতকাল আমাদের গন-কনভেনশন ছিল। সেখানে আমাদের অন্যতম নেত্রী অর্পিতা দাস অসুস্থ হয়ে পড়েন। এভাবেই ৭০ জনের কাছ থেকে কিন্তু রঙটা চলে গেছে। আমরা যারা পড়ে রয়েছি তাঁদের কাছ থেকেও রং চলে গেছে। যাঁরা এমপ‍্যানেলড তাঁরাই আজকে শুধু রঙটাকে উপলব্ধি করতে পারছেন। তাঁদের ফেসবুক টুইটারে তাদেরকে দেখে একটু হলেও হিংসা হচ্ছে। তাঁরা রঙ খেলছে, আর আমরা বর্ণহীনভাবে ফ্যাকাসে অবস্থায় বসে রয়েছি।"

এই দিনে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবকে মিস করার বিষয়ে শর্মিলা মিত্র বলেন, " অবশ্যই করছি। আগের বছরের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে। আগেই বললাম দোল আমরা এই ৭ বছরে খেলেছি বটে। ততটা উৎফুল্লতা, ততটা উৎসাহতার সঙ্গে কিন্তু খেলিনি। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ভেবেছিলাম এই বছর জমকালো রঙে সাজব। সেই রঙটা এতটাই অন্ধকারে পরিণত হয়ে গেছে যে আর খুঁজে পাচ্ছি না। আর তাঁদেরকে মিস করছি যারা আমাদের গাইড করেছেন, যারা এতদিন পর্যন্ত আমাদের বড় করেছেন। তাদের মুখে একটু হাসি সবচেয়ে বড় রঙ। সেটাই দিতে পারছি না। সামান্যই আবির দিয়ে কী করব?"










Conclusion:অনশনের ২২তম দিনের পরিস্থিতি নিয়ে অর্পিতা দাস বলেন, "আজকে ২২ দিন। অনেকেই আমরা অসুস্থ। সকাল থেকে চারজন অসুস্থ হয়ে গেছেন। বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থা, বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীরা, বিভিন্ন সংগঠনের মানুষরা আমাদের সমর্থন করছেন। কিন্তু, এই অবস্থাতেও আমরা একমাত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই সমাধান চাইছি।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.