কলকাতা, 22 অক্টোবর : গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুন কাণ্ডের তদন্তে নেমে প্রথম দিনই ডায়মন্ড হারবার থানায় মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ৷ সন্দেহ হওয়াতে মিঠু হালদারকে লালবাজারে এনে জেরা করার পর তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন গোয়েন্দারা। ধৃত বাপি মণ্ডলকেও সেদিন থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। মিঠু ও বাপি মণ্ডলকে ডায়মন্ড হারবার থানায় দুটি আলাদা ঘড়ে একই প্রশ্ন করেছিলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু উত্তর এসেছিল আলাদা আলাদা।
ফলে বাপি মণ্ডলের উপরই সন্দেহ বেশি হয় তদন্তকারীদের। মূলত তার গতিবিধি জানার জন্যই প্রথমে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। পরে লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পারেন বাপি মণ্ডলকে ছেড়ে দেওয়ার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথর প্রতিমার একটি ইটভাটায় গা ঢাকা দিয়েছিল সে। আর সেই ইট ভাঁটায় আগে থেকেই গা ঢাকা দিয়ে ছিল এই ঘটনায় যুক্ত জাহির গাজিও। পরে সেখান থেকেই এই দুজনকে শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার থানায় নিয়ে আসেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। পরে তাদের লালবাজারে এনে জেরার পর গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন : Gariahat Double Murder : গড়িয়াহাট জোড়া খুনে পাথরপ্রতিমা থেকে গ্রেফতার আরও দুই
গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুন কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেফতারির সংখ্যা তিন। পাশাপাশি, এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা ও হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় যে মূল অভিযুক্ত ভিকি, তাকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেননি লালবাজারের গোয়েন্দারা । জানা গিয়েছে, পলাতক ভিকির খোঁজ পেতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ঘুটিয়ারি শরিফ, পাথরপ্রতিমা, সরিষা, ডায়মন্ড হারবার এর একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একাধিক জায়গায় ধৃত মিঠু হালদারের কয়েকজন আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। পুলিশের অনুমান, জোড়া খুন কাণ্ডের পর কোনও আত্মীয়ের বাড়িতেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন ভিকি । পাশাপাশি এই খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রোও এখনও উদ্ধার হয়নি। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভিকিকে গ্রেফতার করা না গেলে মূল রহস্যের সমাধান করা সম্ভব হবে না।