কলকাতা, 25 অগাস্ট : বিশ্বভারতীর সম্পত্তি রক্ষায় সচেষ্ট উপাচার্য । তিনি গ্রিন ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু স্থানীয় বিধায়কের নেতৃত্বে এক শ্রেনির লোক সেখানে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে । সেই ঘটনার নিন্দা করে সরকারের হস্তক্ষেপ চাইলেন বেশ কিছু অধ্যাপক । অধ্যাপকদের একটি প্রতিনিধি দল আজ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছে পেশ করলেন বিশ্বভারতীর সম্পত্তির অধিকার দাবি ।
বিতর্কের কেন্দ্রে পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া । গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মোতাবেক ওই ঐতিহাসিক মাঠে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয় । বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই জলঘোলা হচ্ছিল । বিশ্বভারতীর মাঠে পাঁচিল দেওয়ার বিষয়টির বিরোধিতা চলছিল । বিষয়টি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সক্রিয় হতেই এক বিধায়কের নেতৃত্বে প্রচুর মানুষ জড়ো হয় । অভিযোগ, সেখান থেকেই পৌষ মেলায় মাঠের পাশের বিরোধী আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নেয় । ভেঙে ফেলা হয় পাঁচিল । ভাঙা হয় ঐতিহ্যশালী গেট । বিশ্বভারতীতেও ভাঙচুর চালানো হয় । থানার একেবারে লাগোয়া এলাকায় এত বড় ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে । যদিও আজ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, আপাতত বন্ধ থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় ।
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোভাব যতক্ষণ পর্যন্ত না সব দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে রাখা হবে । তাদের তরফে বিষয়টি নিয়ে CBI তদন্তের সুপারিশ জানানো হয় । ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট 5 টি FIR হয়েছে বলে জানিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং । তিনি জানান, পাঁচিল ভাঙাকে কেন্দ্র করে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে ।
ঘটনায় BJP - র বুদ্ধিজীবী সেলের সভাপতি অধ্যাপক পঙ্কজ রায়ের নেতৃত্বে কয়েকজন অধ্যাপক আজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে দেখা করেন । অধ্যাপক পঙ্কজ রায় বলেন, " গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পাঁচিল দেওয়ার যে কাজ শুরু করেছিল, স্থানীয় বিধায়কের নেতৃত্বে সেখানে রীতিমতো ভাঙচুর চালানো হয় । সে ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি । যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রধানমন্ত্রী, তাই এই ঘটনায় তার হস্তক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করি । বিষয়টি নিয়ে আমরা আজ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছি । তাকে অনুরোধ করেছি আমাদের দাবি সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য । রাজ্যপাল যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেবেন বলে কথা দিয়েছেন । "