কলকাতা, 25 মে: দেশে থাইরয়েড আক্রন্ত সংখ্যা 4 কোটি 20 লাখের মত । তবে দেশের তুলনায় এই থাইরয়েড আক্রান্তের সংখ্যা কলকাতায় বেশ অনেকটাই বেশি । কলকাতায় এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 21 শতাংশের বেশি । কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, থাইরয়েড আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ৷ আর এই রোগ নিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে যতটা কাজ এগোনো যায় ততটা করার চেষ্টা করছে পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ ।
কলকাতায় 144টি ওয়ার্ডের আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে চিকিৎসকদের স্পোক ও হাবের মাধ্যমে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থাইরয়েড নিরীক্ষণ ও তার প্রাথমিক স্তরের চিকিৎসার ট্রেনিং দিয়েছে । কলকাতায় জনসংখ্যার 21 শতাংশ থাইরয়েড আক্রান্ত, যা খুবই চিন্তার বিষয় চিকিৎসকদের কাছে । বেশির ভাগ আয়োডিন ভারসাম্যজনিত সমস্যা বলেই দেখা যাচ্ছে । তাই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে চাপ কমাতে ধাপে ধাপে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কলকাতা পৌরনিগমের হেলথ ইউনিটেই দেখা হয় । থাইরয়েড পরীক্ষার জন্য 15টি কেন্দ্র আছে কলকাতা পৌরনিগমের ।
তথ্য বলছে, চলতি বছরে প্রথম চার মাসে আরবান হেলথ ইউনিটগুলিতে থাইরয়েড পরীক্ষা হয়েছে 6000 জনের । গত বছর সারা বছর জুড়ে সংখ্যাটা ছিল 20000-22000 । ফলে কলকাতায় ক্রম বর্ধমান এই থাইরয়েড বাড়ছে । তবে এই রোগ আক্রান্তের প্রবণতা কমাতে কলকাতা পৌরনিগমের ফুড সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি শাখা মাঝে মধ্যেই অভিযান চালায় নুনের ব্যবসা ক্ষেত্রে । সেখানে বিভিন্ন সংস্থার বিক্রি হওয়া নুনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ।
এই বিষয় কলকাতা পৌরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা করে থাকি । কোনও রোগী থাইরয়েড আক্রান্ত কি না সেটা নির্ণয় করা । থাইরয়েড পরীক্ষা করা । তাদের ওষুধ বলে দেওয়া । কিন্তু ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশনের নিয়ম অনুসারে একটি অন্তরায় আমাদের থেকে যায় । সেটি হল এটি সামান্য মূল্যের এই রোগের ওষুধ । তবু আমরা বিনামূল্যে রোগীদের দিতে পারি না । কারণ তাদের তালিকা অনুসারে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই রোগীর ওষুধ দেওয়ার নিয়ম নেই । তবে বিভিন্ন সময় এই সমস্ত রোগ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার আমরা চালিয়ে যাই ।"
আরও পড়ুন: গ্যাস ও থাইরয়েডের ওষুধ একসঙ্গে খাওয়া বিপদজনক ! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক