হায়দরাবাদ: এবার বড় অভিযানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ইসরো । ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি অনুভা জৈনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান ভি. নারায়ণন জানিয়েছেন, গগনযান মিশনের কর্মসূচি আগামিদিনে সবচেয়ে বড় অভিযান ৷ এছাড়াও আরও বেশকয়েকটি মিশন রয়েছে, প্রপালশন সিস্টেম, 200 টন থ্রাস্ট ইঞ্জিন, ভেনাস মিশন, মঙ্গল গ্রহের অরবিটার মিশন, চন্দ্রযান-4 এবং চন্দ্রযান-5 মিশনের সঙ্গে যুক্ত ইসরো ৷
আসন্ন গগনযানে মানব মহাকাশ অভিযানের চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান ভি. নারায়ণন ৷ প্রসঙ্গত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং চলতি মাসের শুরুতে নিশ্চিত করেছিলেন যে গগনযান মিশন 2026 সালে চালু হবে ৷ মহাকাশচারীরা পাড়ি দেবে এই মিশনে ৷ কয়েকদফায় পরীক্ষামূলকভাবে মহাকাশচারিহীন উৎক্ষেপণ মিশন চলবে ৷ তার চতুর্থ দফায় নভশ্চর পাঠাবে ভারত ৷ গগনযান মিশন হল ভারতের প্রথম মানববাহী মহাকাশ অভিযান। তিনি আরও জানান, যে শ্রীহরিকোটা থেকে প্রথম ফ্লাইট (মহাকাশযান) এই বছর চালু হবে।
গগনযান মিশন প্রসঙ্গেই বলেন, "এই মিশনের জন্য নভশ্চরীদের শারীরিক ভাবে প্রস্তুতির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ৷ ক্রুহীন সফল পরীক্ষার পরে নভশ্চর পাঠানো হবে মহাকাশে ৷"
ইসরোর শততম মিশনে যান্ত্রিক ত্রুটি, কক্ষপথে পৌঁছতে ব্যর্থ স্যাটেলাইট
ভি নারায়ণন বলেন, "গগনযান মিশনে মানব-রেটেড LVM 3 যানে (HLVM 3) ব্যবহার করে তিনজন মহাকাশচারীকে 400 কিলোমিটার নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (LEO) নিয়ে যাওয়া হবে। ক্রু সুরক্ষার স্বার্থে অরবিটাল মডিউল ব্যবস্থাপনা এবং উন্নত পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে । মহাকাশযানটি নভশ্চরীদের নিয়ে প্রথমে 170 কিলোমিটার, তারপর 400 কিলোমিটার কক্ষপথ অতিক্রম করবে ৷ মিশন শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে।"
ইসরো প্রধান আরও বললেন, "সার্ভিস মডিউলের প্রপালশন সিস্টেমের উৎক্ষেপণ এবং অবতরণ দু’টি পরিচালনা করবে ৷ পুনঃপ্রবেশের সময় গতি কমবে, তারপরে প্যারাসুটের সাহায্যে অবতরণ হবে।" উচ্চ-গতির যান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশ করে, এটি প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। মহাকাশযানটি যাতে সফট অবতরণ করে সেই দিকেও নজর দেওয়া ।"
ইসরো চন্দ্রযান মিশন-সহ একাধিক মিশনের অনুমোদন পেয়েছে । জাপানের অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (JAXA) এর সহযোগিতায় চন্দ্রযান মিশন 4 এবং মহাকাশ আবিষ্কার আরও সহজ হবে ৷