কলকাতা, 27 মে : পরের বছর নতুন ধরনের প্রশ্নপত্র তৈরির ভাবনাচিন্তা করছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ । উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানাচ্ছেন, প্রশ্নপত্রের সংবেদনশীলতা রক্ষা করতে পরের বছর প্রশ্ন ও উত্তর একসঙ্গে করে একটি বুকলেট তৈরির ভাবনাচিন্তাও করা হচ্ছে । সব বিষয়ের জন্যই এই ধরনের প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে । তবে, গোটা বিষয়টি এখন প্রাথমিকভাবে ভাবনাচিন্তার পর্যায়ে রয়েছে । এই চিন্তা ভাবনা কতটা ফলপ্রসূ হয় তা পরের বছরই দেখা যাবে বলে জানাচ্ছেন মহুয়া দাস । এই নতুন ধরনের প্রশ্নপত্র বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না । বুকলেটের প্রশ্নের উত্তর সেই বুকলেটেই লিখে জমা দিয়ে আসতে হবে তাঁদের ।
এবিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বলেন, "এবার আমরা আরও একটা জিনিস যেটা অভিনব করব সেটা হচ্ছে যে, আমরা পরের বছর থেকে আমরা পার্ট-A, পার্ট-B দুটো খাতা আর রাখব না । এবার একটা খাতাতেই পরীক্ষা হবে । আরও বেশি তাদের ক্যারিয়ারমুখী যে ধরনের প্রশ্নগুলো হয়, ন্যাশনাল লেভেলের কম্পিটিশনগুলোতে যাতে তাঁরা ভালো করতে পারে, ওয়ার্ড লিমিটের মধ্যে লিখতে পারে, সেটাকে সায়েন্টিফিক করার জন্য আমরা চিন্তাভাবনা করছি ।"
কীভাবে একসঙ্গে করা হবে পার্ট-A ও পার্ট-B-কে? মহুয়া দাস বলেন, "আমাদের তো আগে পার্ট-A, পার্ট-B দুটো খাতা ছিল । আমরা সেটা একটাই খাতার মধ্যে আনার চেষ্টা করছি । যাতে সেই খাতাতে লিখে সে খাতাটা জমা দিয়ে বাড়ি চলে যেতে পারে। এরকম একটা বিষয় ভেবেছি আমরা । " সুতরাং, পরের বছর প্রশ্ন ও উত্তর একটিই বুকলেটে করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। বর্তমানে ICSE ও CBSE বোর্ডে সব বিষয়েই এই প্রশ্ন-উত্তর বুকলেট দেওয়া হয়। মাধ্যমিকের ইংরেজি বিষয়ে এই বুকলেট দেওয়া হয় । যেখানে থাকে প্রশ্ন থাকে ও তার উত্তর লেখার জায়গাও থাকে। এই বুকলেটেই উত্তর লিখে তা জমা দিয়ে বাড়ি চলে যান পরীক্ষার্থীরা । তাঁরা কোনও প্রশ্নপত্র বাড়ি নিয়ে যান না ।
মহুয়া দাস বলেন, "প্রশ্ন ও উত্তর একসঙ্গে, এটাকে QCAB বলে। কোয়েস্চেন কাম অ্যানসার বুকলেট । এটা সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক জায়গাতে ব্যবহার করা হয় । " তার মানে কি পড়ুয়ারা প্রশ্নপত্র বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না ? মহুয়া দাস বলেন, "বাড়িও নিয়ে যেতে পারবে না, আর ফটোও তুলতে পারবে না । প্রশ্ন উত্তর একটাই থাকবে। এটা আমরা ভেবেছি পরের বছরের জন্য। এটা আমরা কতটা রূপায়িত করতে পারব সেটা জানি না । " এই নতুন ধরনের বুকলেট চালু করা হলে তাতে প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা বজায় রাখতে অনেক সুবিধা হবে বলে জানাচ্ছেন মহুয়া দাস। তিনি বলেন, "এতে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। আমাদের কোশ্চেনের সিকিউরিটি যেটা, কনফিডেন্সিয়ালিটি বজায় থাকবে । আলাদা, আলাদা করে দুটো খাতা দিতে হবে না । অনেক সময় থাকতে দিলে আমাদের এরকম সমস্যা হয় যে , একটা পাতা, একটা পার্ট হয়তো মিসিং , একটা পার্টের নম্বর হয়তো মেলানো যাচ্ছে না । ফলে সেই জায়গাগুলোকে একেবারে সলভ করার জন্য আমরা এবং হায়ার এডুকেশনে যে ফরম্যাটে পরীক্ষা হয় সেটাকেই যাতে তাঁরা কাউন্টার করতে পারে তার জন্য ওদের আরও তৈরি করা হচ্ছে । আমরা প্রত্যেক বছরই ছাত্রদের জন্য নতুন কিছু করার চেষ্টা করি যাতে তাদের আরো কী করে পুশ করা যায় সামনের দিকে এবং তাঁরা ন্যাশনাল লেভেলের পরীক্ষায় , রিজিওনাল লেভেলের পরীক্ষায় আরও সাকসেসফুল হতে পারে উইথ প্লেসমেন্ট সাপোর্ট ।"