কলকাতা, 30 জুলাই : রাজা রামমোহন রায় সরণির 45 নম্বর বাড়ি থেকে শেষবারের জন্য বিদায় নিলেন ছোড়দা । অন্তিম যাত্রায় । এই বাড়িতেই কাটিয়েছেন ছাত্রজীবন । এই পাড়ার অলিগলিগুলিতেই একটা সময়ে ছুটে বেরাতেন তিনি । এই বাড়ি থেকেই রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছেন সোমেন মিত্র । রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ওঠা নামার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই বাড়ি । এই এলাকা । আমহার্স্ট স্ট্রিটের কালীপুজো সোমেন মিত্র হাত ধরেই এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে । খুব কম বয়সেই ইয়ং স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্য হন তিনি । একসময় তিনি সভাপতি হন এই ক্লাবের । তাঁর অনুপ্রেরণাতেই বিখ্যাত হয়ে ওঠে এই এলাকার কালীপুজো । আজ তার অন্তিম যাত্রায় শামিল হতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্ত-অনুরাগীরা ।
শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শুধুমাত্র দলীয় কর্মী ও সমর্থকরাই নয়, ভিড় জমিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষও । বহু সময় বিভিন্ন মানুষ উপকৃত হয়েছেন । তাই শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই সকাল থেকেই ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড় । আজ ভেঙেছে সামাজিক দূরত্ব বিধি । আজ শুধু চোখে জল আর আবেগ । কোরোনার সংক্রমণের মধ্যেই ছোড়দাকে শেষ বিদায় জানান সাধারণ মানুষ । সোমেন মিত্রকে শেষ বিদায় জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত । বলেন, "পারিবারিক সম্পর্ক ছিল । সোমেন মিত্র আমার বড় দাদার মতো ছিলেন । "
সোমেন মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন মুকুল রায় । শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে মুকুল রায় বলেন, "মাঝখানে সুস্থ হয়েছিলেন । ফোনে কথা হয়েছিল । হঠাৎ করে এইভাবে চলে যাওয়াটা অপ্রত্যাশিত । বাংলা রাজনীতির বড় ক্ষতি হয়ে গেল ।" এদিন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছিলেন রাহুল সিনহা । তিনি বলেন, "সোমেন মিত্র এমন একটা মানুষ ছিলেন যিনি সকলের কাছে সমানভাবে গৃহীত । যে কোনও রাজনৈতিক দলের মানুষই হোক না কেন, সকলে সমান ভাবে শ্রদ্ধা করতেন সোমেন মিত্রকে । উনিও কোন ভেদাভেদ না করে সকলের সঙ্গে সমান ব্যবহার করতেন । বাংলার রাজনীতিতে এটি একটি বড় ক্ষতি ।"