কলকাতা, 19 জুলাই : আমফান পরবর্তীতে মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, যা নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে CESC । শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, আমফানের ফলে CESC-র যে ক্ষতি হয়েছে তা উশুল নিচ্ছে ওই সংস্থা । তার জেরেই মাত্রাতিরিক্ত বিল আসছে । বিলের বহর থেকে বাদ যাননি খোদ রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও । সাধারণ মানুষের এই অভিযোগের পর, CESCকে নোটিস পাঠানোর কথা ভাবছে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। আগামীকাল সেই নোটিস পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে ।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে লণ্ডভণ্ড অবস্থা হয়েছিল শহর কলকাতার । ভেঙে যায় প্রচুর বিদ্যুতের পোস্ট । গাছ পড়ে ছিঁড়ে যায় প্রচুর বিদ্যুতের তার । পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে 7 দিনের ও বেশি সময় লেগে যায় CESC-র । সে সময় মানুষের ক্ষোভ সামাল দিতে প্রচুর খরচ করতে হয়েছিল বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থাকে । তারই ফল হিসেবে মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল পাঠান হচ্ছে বলে শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ ।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী । তখন ওই সংস্থার তরফে বলা হয়, লকডাউনের কারণে মানুষ এখন বেশি করে বাড়িতে থেকেছেন । গরমকাল হওয়ার গৃহস্থলীর বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে । লকডাউনের সময় গড় বিদ্যুৎ বিল পাঠান হয়েছিল । এখন মিটারের রিডিং নিয়ে সেই সময়ের অতিরিক্ত ইউনিট জোড়া হচ্ছে নতুন বিলে । তার জেরেই বিদ্যুতের বিল বেশি দেখাচ্ছে ।
যদিও বিদ্যুৎমন্ত্রী বৈঠকে জানিয়ে দেন গ্রাহকের অসুবিধা হয় এমন কিছু মেনে নেবেন না তিনি । অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের জেরে প্রতিদিনই শহরে বিক্ষোভ হচ্ছে । আগামীকাল ফের ABECA-র পক্ষ থেকে CESC অফিসের সামনে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাধন পাণ্ডে বলেন, “লকডাউনের ফলে ঠিকমতো মিটার রিডিং না নেওয়ার ফলে বিদ্যুতের বিল নিয়ে কথা বলা হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষ মানতে চাইছে না । মানুষের ওপর অতিরিক্ত বিলের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে । একে লকডাউনে মানুষের আয় কমেছে, তার উপর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বোঝায় নাজেহাল গ্রাহকরা । বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে আগামীকাল বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থাকে চিঠি দেওয়ার কথা ভাবছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর ।"