ETV Bharat / state

WB Recruitment Scam: সিবিআইয়ের পেশ করা প্রমাণ বিকৃত নয় তো ? ডিভিশন বেঞ্চে প্রশ্ন 'চাকরিহারা অযোগ্যদের' !

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (WB Recruitment Scam) চাকরিহারা গ্রুপ সি কর্মীরা পালটা মামলা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench) ৷ কী হল সেই মামলায় ?

Terminated Group C Employees file case in Division Bench against Single Bench verdict on WB Recruitment Scam
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Mar 21, 2023, 7:22 PM IST

কলকাতা, 21 মার্চ: দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, এবার পালটা আদালতের দ্বারস্থ হলেন তাঁরাই ! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (WB Recruitment Scam) প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চাকরি হারাতে হয়েছে 842 জন গ্রুপ সি কর্মীকে ৷ সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করলেন চাকরিহারারা ৷ প্রশ্ন তুললেন সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া এবং আদালতে পেশ করা তাদের তথ্যপ্রমাণের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ! মঙ্গলবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench) এই মামলার শুনানি হয় ৷

এদিনের শুনানিতে চাকরিহারারা নিজেদের অসহায়তার কথা তুলে ধরেন ৷ তাঁদের বক্তব্য, চাকরি হারিয়ে সংসার চালানোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ তাই তাঁদেরও জেলে ভরে দেওয়া হোক ! তাতে অন্তত উপোস করে মরতে হবে না ! যেহেতু এই মামলায় মন্ত্রী, আধিকারিকরাও জেলে রয়েছেন, তাই তাঁরাও জেলে যেতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন চাকরিহারা মামলাকারীরা !

মামলাকারীদের আইনজীবীরা বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে আদালতে ওএমআর শিট জমা করা হয়েছে ৷ সেই ওএমআর শিট দেখিয়ে সিবিআই দাবি করেছে, বেআইনিভাবে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে ৷ চাকরিহারাদের প্রশ্ন, সিবিআইয়ের পেশ করা এই ওমআরশিট যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিকৃত করা হয়নি, তার নিশ্চয়তা কী ? কারণ, এই ওএমআর শিট নাইসার দফতর থেকে পাওয়া যায়নি ৷ তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সংস্থার এক প্রাক্তন কর্মীর বাড়ি থেকে ! তাহলে এগুলি যে আসল, তা কীভাবে প্রমাণিত হল ?

এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, "চাকরিহারা মামলাকারীরা আপনাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা ওএমআর শিট নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ৷ তাঁদের বক্তব্য, এগুলি জেপিজি ফরম্য়াটে আছে এবং এগুলিকে সহজেই বিকৃত করা সম্ভব ! এই বিষয়ে আপনাদের কি কোনও বক্তব্য রয়েছে ? সিবিআইয়ের পেশ করা নথি আপনারা কীসের ভিত্তিতে সঠিক বলে গ্রহণ করলেন ?"

আরও পড়ুন: ইডির নজরে অয়নের ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী ! কে সেই রহস্যময়ী ?

জবাবে কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র বলেন, "নথি সবসময়ই বিকৃত করা সম্ভব ৷ কিন্তু, এক্ষেত্রে আদৌ কি তেমন কিছু করা হয়েছে ? সেটাই হল আসল প্রশ্ন ৷ সিবিআই আমাদের যে নথি দিয়েছিল, আমরা তা খতিয়ে দেখেছিলাম ৷ তারপরই সেগুলি আসল বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ আমাদের তরফে আগে কিছু ভুল হয়েছিল ৷ আমরা সেই ভুল সংশোধন করার চেষ্টা করছি ৷" এদিনের শুনানিতে বিচারপতিরা নির্দেশ দেন, এই মামলায় সিবিআইকেও 'পার্টি' করতে হবে ৷ বুধবার (22 মার্চ, 2023) এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৷

কলকাতা, 21 মার্চ: দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, এবার পালটা আদালতের দ্বারস্থ হলেন তাঁরাই ! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (WB Recruitment Scam) প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চাকরি হারাতে হয়েছে 842 জন গ্রুপ সি কর্মীকে ৷ সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করলেন চাকরিহারারা ৷ প্রশ্ন তুললেন সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া এবং আদালতে পেশ করা তাদের তথ্যপ্রমাণের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ! মঙ্গলবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench) এই মামলার শুনানি হয় ৷

এদিনের শুনানিতে চাকরিহারারা নিজেদের অসহায়তার কথা তুলে ধরেন ৷ তাঁদের বক্তব্য, চাকরি হারিয়ে সংসার চালানোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ তাই তাঁদেরও জেলে ভরে দেওয়া হোক ! তাতে অন্তত উপোস করে মরতে হবে না ! যেহেতু এই মামলায় মন্ত্রী, আধিকারিকরাও জেলে রয়েছেন, তাই তাঁরাও জেলে যেতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন চাকরিহারা মামলাকারীরা !

মামলাকারীদের আইনজীবীরা বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে আদালতে ওএমআর শিট জমা করা হয়েছে ৷ সেই ওএমআর শিট দেখিয়ে সিবিআই দাবি করেছে, বেআইনিভাবে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে ৷ চাকরিহারাদের প্রশ্ন, সিবিআইয়ের পেশ করা এই ওমআরশিট যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিকৃত করা হয়নি, তার নিশ্চয়তা কী ? কারণ, এই ওএমআর শিট নাইসার দফতর থেকে পাওয়া যায়নি ৷ তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সংস্থার এক প্রাক্তন কর্মীর বাড়ি থেকে ! তাহলে এগুলি যে আসল, তা কীভাবে প্রমাণিত হল ?

এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীকে বলেন, "চাকরিহারা মামলাকারীরা আপনাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা ওএমআর শিট নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ৷ তাঁদের বক্তব্য, এগুলি জেপিজি ফরম্য়াটে আছে এবং এগুলিকে সহজেই বিকৃত করা সম্ভব ! এই বিষয়ে আপনাদের কি কোনও বক্তব্য রয়েছে ? সিবিআইয়ের পেশ করা নথি আপনারা কীসের ভিত্তিতে সঠিক বলে গ্রহণ করলেন ?"

আরও পড়ুন: ইডির নজরে অয়নের ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী ! কে সেই রহস্যময়ী ?

জবাবে কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র বলেন, "নথি সবসময়ই বিকৃত করা সম্ভব ৷ কিন্তু, এক্ষেত্রে আদৌ কি তেমন কিছু করা হয়েছে ? সেটাই হল আসল প্রশ্ন ৷ সিবিআই আমাদের যে নথি দিয়েছিল, আমরা তা খতিয়ে দেখেছিলাম ৷ তারপরই সেগুলি আসল বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ আমাদের তরফে আগে কিছু ভুল হয়েছিল ৷ আমরা সেই ভুল সংশোধন করার চেষ্টা করছি ৷" এদিনের শুনানিতে বিচারপতিরা নির্দেশ দেন, এই মামলায় সিবিআইকেও 'পার্টি' করতে হবে ৷ বুধবার (22 মার্চ, 2023) এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.